“ইঞ্জিল গ্রীক ভাষায় হতে পারে না, কারণ ঈসা মসীহ্ হিব্রু ভাষায় বলত”
“ইঞ্জিল গ্রীক ভাষায় হতে পারে না, কারণ ঈসা মসীহ্ হিব্রু ভাষায় বলত”
জাকির নায়েক দাবি করেছেন:
যদিও ঈসা মসীহ্ (আঃ) হিব্রু ভাষায় কথা বলত, তোমাদের মূল পাণ্ডুলিপি তো গ্রীক ভাষায়”[1]
ঈসা মসীহ্ সম্ভবত হিব্রু ভাষা একটু বুঝতে পারলেন, কিন্তু তার মাতৃভাষা অবশ্য হিব্রু না বরং গালীল প্রদেশের আরামীয় ভাষা। গ্রীক ছিল তখনকার বিশ্বের আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ভাষা, এবং তাই প্যালেস্টাইনেও তা প্রচলিত ছিল। বিশেষজ্ঞরা বলেন যে একজন রাজমিস্ট্রি হয়ে ঈসা মসীহ্ গ্রীক ভাষাও বলতে পারতেন। কিছু কিছু সময়ে ঈসা মসীহ্ আরামীয় ভাষায় শিক্ষা দিতেন, অন্য সময়ে গ্রী ভাষায় (যেমন মার্ক ৭:২৬-৩০)। ইঞ্জিল শরীফ অবশ্যই প্রথমে গ্রীক ভাষায় লেখা হয়েছিল, আরামীয় নয়। সারা বিশ্বে ঈসা মসীহ্র বাণী পৌঁছানোর জন্য গ্রীক ভাষা সবচেয়ে উপযুক্ত ছিল, কারণ সেটা তখনকার বিশ্বের সবচেয়ে প্রচলিত ভাষা ছিল। যারা এই রকম দাবি করে তারা সম্ভবত মনে করেন যে শুধুমাত্র আরবী এবং হিব্রুর মত সেমিতীয় ভাষায় নাজিলকৃত কিতাব আসতে পারে। কিন্তু কোরআন শরীফ নিজেই বলে যে কোরআন শরীফ আরবিতে নাজিল হয়েছে মাত্র একটি কারণে, “যাতে তোমরা বুঝতে পার” (সূরা ইউসুফ ১২:২)।
অন্যান্য সম্পর্কিত প্রবন্ধ:
ইঞ্জিল শরীফের মধ্যে কেন চারটি 'গসপেল' আছে? (মথি, মার্ক, লূক, ইউহোন্না)
কোরআন শরীফে কিতাবুল মোকাদ্দসের উল্লেখ আছে কি?
কিতাবুল মোকাদ্দস কি শুধু অংশত আল্লাহ্র বাক্য?
ইঞ্জিল ঈসার কিতাব নাকি সাহাবীদের লেখা কিতাব?
Zakir Naik, The Qur’ān and the Bible in the Light of Science. (Adam Publishers, New Delhi, 2008) p.118. ↩︎