খৃষ্টান ধর্মের পাপমোচন বিশ্বাস
খৃষ্টান ধর্মের পাপমোচন বিশ্বাস ও তার অসারতার প্রমাণ ৷
ধারণাঃ– খৃষ্টানধর্মের অন্যতম একটি গুরুত্ব পূর্ণ বিশ্বাস হলো, প্রায়শ্চিত্তে বিশ্বাস বা পাপ মোচন বিশ্বাস এই বিশ্বাসটাকে খৃষ্টান ধর্মের প্রাণ বলা হয় । এ বিশ্বাসের সারকথা হলো, আদম ও হাওয়া আল্লাহ কর্তৃক নিষিদ্ধ গাছের ফল খেয়ে পাপ করেছিলেন। আর মানুষ যেহেতু তাদেরই বংশধর, তাই তাঁরা পাপী হওয়ার কারণে তাঁদের সন্তানগণ ও পাপী এবং কিয়ামত পর্যন্ত যতো মানুষ দুনিয়াতে আসবে, সবাই পাপী , এখন দুইটি বিষয় দেখা দিল।
১/ আল্লাহ ন্যায় বিচারক অপরাধী কে পাপের শাস্তি না দিলে?
…
‘ঈসা’ নামের অর্থ
#খ্রীষ্টান_ভাইদের_প্রতি_যীশু_সম্পর্কে_কিছু_প্রশ্ন।
প্রশ্ন ১ – আপনারা বলেন ‘ঈসা’ শব্দের অর্থ নাজাত দাতা, মুক্তিদাতা, পরিত্রাণ দাতা। বলুনতো এই অর্থটি কোন বিধানে আছে? ঈসা শব্দটি আরবি। আরবি কোন অভিধানে ঈসা শব্দের অর্থ নাজার দাতা নেই এ বিষয়ে কী বলবেন?
“কোন বিধানে আছে?” আপনি কি ‘অভিধান’ বোঝাতে চাচ্ছিলেন?…
প্রকৃত খ্রিস্টান কারা?
প্রশ্ন:
যখনই আমি কোন খ্রিস্টানকে ইসলামের দাওয়াত দিতে যাই তখনই একটা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়,,, তারা উলটো আমাকে খ্রিস্টান হওয়ার জন্য বলে!!! যীশু বা ইসা আঃ কে যে অনুসরন করে তাকে যদি খ্রিস্টান বলা হয় তাহলে আমি মনে করি আমি খ্রিস্টানদের থেকেও বড় খ্রিস্টান। কারন :-
- যীশু শোকরের গোশত খেত না [দ্বিতীয় বিবরন ১৪:৮]( আমিও খাইনা)
ইঞ্জিলের সরাসরি উদ্ধৃতি দিয়ে সবচেয়ে ভালো উত্তর হয়:
ঈসা তাঁদের বললেন, “তোমরা কি এতই অবুঝ?
…
ইম্মানুয়েল ভবিষ্যদ্বাণী কি মিথ্যা?
প্রশ্ন:
জাতির কাছে এক কঠিন প্রশ্ন: বাইবেলের এই ভবিষ্যত বাণী কি মিথ্যা নয়? লজিকালি উত্তর দিবেন।
বাইবেলে ভবিষ্যত বাণী করা হয়েছিল যে, মরিয়মের ছেলের নাম রাখা হবে ইম্মানুয়েল। ইম্মানুয়েল অর্থ ” ঈশ্বর আমাদের সাথে”। আর যিশু অর্থ “অভিষিক্ত ত্রানকর্তা”। গস্পেল অফ মথি ১/২২,২৩ এ বলা হয়েছে,
“একজন অবিবাহিতা সতী মেয়ে গর্ভবতী হবে, আর তার একটি ছেলে হবে, তার নাম রাখা হবে ইম্মানুয়েল।”(মথি ১:২২,২৩)
বাইবেলে স্পষ্ট বলা হয়েছে তার নাম হবে ইম্মানুয়েল, যার অর্থ “ঈশ্বর আমাদের সাথে”। তাহলে মরিয়মের পুত্রের এমন এক নাম রাখা হবে যার নামের অর্থ হবে “ঈশ্বর আমাদের সাথে।” মরিয়মের পুত্রের নাম কি তাই রাখা হয়েছে যার অর্থ “ঈশ্বর আমাদের সাথে?”
…
ঈসা কি প্রত্যেকে ক্ষমা করেছেন?
প্রশ্ন:
খ্রিস্টানদের প্রতি কিছু প্রশ্ন:
১. যীশু (তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক) যদি সবার পাপ নিয়ে মারা যাই তাহলে
- জাহান্নাম কেন সৃষ্টি করা হয়েছে
- আর যিশু যখন পৃথিবীতে আসবে তখন কিসের বিচার করবেন?
আর যারা পাপি তারা যদি শাস্তি পায় তাহলে যীশু কাদের পাপ নিয়ে মারা গিয়েছেন?
…
যীশু কি মনুষ্যপুত্র নাকি ঈশ্বরপুত্র?
অভিযোগ:
যীশু কি মনুষ্যপুত্র নাকি ইশ্বরপুত্র???
যদি বলেন ইশ্বরেরপুত্র তাহলে বাইবেলে তাকে মনুষ্যপুত্র বলা হলো কেন? যেমন…
“মনে রেখো, মনুষ্যপুত্র সেবা পেতে আসেননি বরং সেবা করতে এসেছেন এবং অনেক লোকের মুক্তির মূল্য হিসাবে তাদের প্রাণের পরিবর্তে নিজের প্রাণ দিতে এসেছেন।”” (মার্ক ১০:৪৫)
যীশু খ্রীষ্টের এই নাম প্রথম বলা হয়েছে দানিয়েল ৭:১৩ পদে। এই নামটি যীশু খ্রীষ্ট নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেছেন। যদিও অন্যেরা এই নাম খুব কমই ব্যবহার করত। এই নাম যীশু খ্রীষ্টের মানব হওয়া প্রকাশ করে। আরো কিছু সূত্র: দানিয়েল ৭:১৩, মথি ১৬:২৭-২৮, ২৬:৬৪, লূক ২১:২৭।
উত্তর:
ইঞ্জিল শরিফে ঈসাকে উভয়ই বার বার বলা হয়েছে, “মনুষ্যপুত্র” ও “ঈশ্বরপুত্র” – দুটোই ঠিক। “আল্লাহ্র পুত্র” রুপক বর্ণনা দিয়ে বোঝানো হচ্ছে যে পিতা ও পুত্রের যে বিশেষ ভালোবাসা ও বাধ্যতার সম্পর্ক থাকে সেটা আল্লাহ ও ঈসার মধ্যেও ছিল (সেটা শারীরিক কিছু বোঝায় না)। “মনুষ্যপুত্র” উপাধির দুটি অর্থ আছে:
- ১.
…
হযরত পৌল এবং ইয়াকুব বিপরীত নয়?
ইয়াকুব—“নাজাতের ব্যাপারে হযরত পৌল এবং ইয়াকুব বিপরীত নয়?”
নাজাত আসে কাজের মাধ্যমে না ঈমানের মাধ্যমে? কিছু সমালোচক হযরত পৌল এবং ইয়াকুবের বিশেষ কিছু আয়াত নিয়ে দাবী করেন যে প্রথম ঈসায়ী নেতাদের মধ্যে এই ব্যাপারে অনেক অমিল ছিল। কিন্তু ইঞ্জিল শরীফ ভালভাবে জানলে এই যুক্তি ভেঙ্গে যায়। হযরত পৌল এবং ইয়াকুবের সুসংবাদ বাণী এক ছিল, যদিও এরা শ্রোতাদের প্রয়োজন অনুসারে সুসংবাদের আলাদা অংশের উপর জোর দিতেন। তারা উভয় এই মূল বাণী বিশ্বাস করতেন:
শরিয়ত ভাল, কিন্তু তার মাধ্যমে কখনও নাজাত অর্জন করা সম্ভব না, যেহেতু মানুষ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তা পালন করতে পারে না। কিন্তু আল্লাহ্ তার নাজাত এবং প্রায়শ্চিত্তের ব্যবস্থা প্রকাশ করেছেন—ঈসা মসীহ্। এই বিনামূল্য দান আল্লাহ্র কাছে গ্রহণ করতে হবে ঈমান দিয়ে, তওবা দিয়ে এবং তার উম্মত হওয়ার মধ্য দিয়ে। ভাল কাজ (শরিয়ত পালন) হচ্ছে প্রকৃত ঈমানের চিহ্ন বা ফলাফল। একজনের “ঈমান”-এর ফলে যদি ভাল কাজ না আসে তাহলে বোঝা যায় এটি সত্যিকারের ঈমান ছিল না (এবং সেই ব্যক্তির নাজাত হবে না)। তাই ঈমান এবং কাজ দু’টোই প্রয়োজন, কিন্তু ঈমান হচ্ছে ভিত্তি।
পৌল এবং ইয়াকুব দু’জনেরই লেখাগুলি উপরোক্ত বাণীর সঙ্গে মিলে যায়। হযরত পৌল কি সত্যি শরিয়তকে “ঘৃণা” করেছিলেন যেমন করে সমালোচকরা দাবী করেন?…
হযরত ঈসা মসীহের পরিচয়
ঈসা মসীহ্ কে?
আহল-ই-কিতাব-বিশ্বাসীদের মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয় হল মরিয়ম-তনয় ঈসা মসীহ্ (আঃ)-কে নিয়ে এবং তার সঠিক পরিচয়। যেমন ধরেন, জাকির নায়েক এবং আহ্মেদ দীদাতের মত কিছু মুসলমান সহজে ঈসাকে কুমারী-মেয়ে জন্মিত ‘মসীহ্’ হিসেবে গ্রহণ করে। কিন্তু খ্রীষ্টানদের ভুলপ্রমাণ করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে তারা প্রচুর চেষ্টা করে, কারণ তারা মনে করা যে খ্রীষ্টানরা ‘তিন আল্লাহ্ বিশ্বাস করে’ এবং যে ঈসা মসীহ্ ক্রুশে মারা যাননি। আবার ইহুদীগণ সহজে গ্রহণ করে যে মসীহ্ ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিল, কিন্তু তিনি যে কুমারী-মেয়ে জন্মিত ‘মাসীহ্’ ছিলেন তা এরা গ্রহণ করতে পারে না। এমনকি খ্রীষ্টানদের মধ্যেও ঈসার সঠিক পরিচয় নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্ক হয়েছিল।
এতো মতের অমিলের স্পষ্ট কারণ হল যে হযরত ঈসা অনন্য, তিনি পৃথিবীর অন্যান্য মানুষদের মত না। তার জন্ম, শিক্ষা, কাজ, অলৌকিক ঘটনা, এবং মৃত্যু—সবই অনন্য। তাই এতো বিস্ময়কর মানুষের পরিচয় নিয়ে বিতর্ক করা স্বাভাবিক।
এই আলোচনায় আমি দার্শনিকদের অর্থহীন তর্কযুদ্ধের ফাঁদ এড়াতে চাই। যেমন ‘ত্রিত্ববাদ’-এর মত শব্দ নিয়ে প্রচণ্ড তর্কাতর্কি হয়েছে, যদিও সেই শব্দ ইঞ্জিলে নাই। কিতাবে অনুপস্থিত শব্দ নিয়ে তর্ক না করে আমি বরং ঈসার বিষয়ে বিভিন্ন কিতাবে যা যা বলা হয় তার উপর লক্ষ্য করব। বিভিন্ন কিতাব থেকে, বিশেষ করে ইঞ্জিল থেকে, আমি ঈসা মসীহের পরিচয় এবং কাজ সম্বন্ধে একটি স্পষ্ট ছবি উপস্থাপন করতে চাই।
আল্লাহ্ এক
এই তদন্তের আরম্ভ বা ভিত্তি হল সকল আহলে-কিতাবীদের সেই স্বীকৃত মূল সত্য, আল্লাহ্র একতা। সকল কিতাবী লোক একমত যে মাত্র একজন আল্লাহ্ আছেন, যিনি সৃষ্টিকর্তা, চিরন্তন, অপরিবর্তনীয়, সর্বশক্তিমান এবং সর্বজ্ঞ। এই হল তৌরাত, জবুর, নবীদের কিতাব, ইঞ্জিল এবং কোরআনের স্পষ্ট সাক্ষ্য এবং আমাদের ঈমানের ভিত্তি।
উদাহরণস্বরূপ, যখন একজন ইহুদী আলেম হযরত ঈসাকে জিজ্ঞাসা করল কোন্ হুকুম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তিনি বলেছিলেন:
জবাবে ঈসা বললেন, “সবচেয়ে দরকারী হুকুম হল, ‘বনি-ইসরাইলরা, শোন, আমাদের মাবুদ আল্লাহ্ এক। তোমরা প্রত্যেকে তোমাদের সমস্ত দিল, সমস্ত প্রাণ, সমস্ত মন এবং সমস্ত শক্তি দিয়ে তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্কে মহব্বত করবে।’ (মার্ক ১২:২৯,৩০)
তাঁর স্পষ্ট সাক্ষ্য হল যে আল্লাহ্ এক। অথবা ইঞ্জিলের অন্য জায়গায় এই ভাবে লেখা আছে—
আল্লাহ্ মাত্র একজনই আছেন এবং আল্লাহ্ ও মানুষের মধ্যে মধ্যস্থও মাত্র একজন আছেন। সেই মধ্যস্থ হলেন মানুষ মসীহ্ ঈসা। (১ তীমথিয় ২:৫)
একজন অদ্বিতীয় নবী
তাহলে প্রশ্ন উঠে, যদি সকল কিতাবীগণ তাই বিশ্বাস করে, তাহলে হযরত ঈসা মসীহ্কে নিয়ে এতো বিতর্ক কেন হয়?…
কোরআন শরীফে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
কোরআন শরীফ আরবীতে লিখা একটি বিশাল বড় কিতাব, বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষের জন্য বিদেশী ভাষা। সেই কারণে খুব অল্প কিছু মানুষ এর বিভিন্ন বিষয়গুলো সঠিক ভাবে বুঝে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আল্লাহ্ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নবী ও রাসূলদের পৃথিবীতে পাঠানো সম্পর্কে। ঐ সব নবী ও রাসূলদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) যাঁর কথা কোরআন শরীফে অনেক কিছু বলা হয়েছে।
পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনী ও কর্ম সম্পর্ক কম-বেশী কথাও শুনেছে। যাই হোক, কোরআন শরীফের বর্ণনা আনুযায়ি তাঁর অনেক ও বিভিন্ন পথের কথা অনেক মানুষ সঠিকভাবে জানে না। সেইজন্য এই পাঠের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছোট এই পাঠটির উদ্দেশ্য হল পাঠককে কোরআন শরীফ আনুসারে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে সঠিক ও পরিষ্কারভাবে ধারনা দেওয়া। নিচের উক্তিগুলো সরাসরি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ হতে প্রকাশিত আল-কুরআনুল করীম থেকে নেওয়া হয়েছে। একজন পাঠক এই বইটি পড়ে নিজে আরো সঠিক ও ভাল ভাবে জানতে সক্ষম হবে, কিভাবে কোরআন শরীফে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে বর্ণনা করা হয়েছে। তা ছাড়া, যারা আরো জানতে আগ্রহী, তাদেরকে আমরা উৎসাহ দিব তারা যেন কোরআন শরীফের একটা বাংলা তরজমা সংগ্রহ করে নিজে পড়তে শুরু করে।
একজন রাসূল (رَّسُول)
مَّا أَصَابَكَ مِنْ حَسَنَةٍ فَمِنَ اللّهِ وَمَا أَصَابَكَ مِن سَيِّئَةٍ فَمِن نَّفْسِكَ وَأَرْسَلْنَاكَ لِلنَّاسِ رَسُولاً وَكَفَى بِاللّهِ شَهِيدًا
কল্যাণ যাহা তোমার হয় তাহা আল্লাহ্র নিকট হইতে এবং অকল্যাণ যাহা তোমার হয় তাহা তোমার কাজের কারণে এবং তোমাকে মানুষের জন্য রাসূলরূপে প্রেরণ করিয়াছি; সাক্ষী হিসাবে আল্লাহ্ই যথেষ্ট। (সূরা নিসা ৪:৭৯)
وَمَا مُحَمَّدٌ إِلاَّ رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِن قَبْلِهِ الرُّسُلُ أَفَإِن مَّاتَ أَوْ قُتِلَ انقَلَبْتُمْ عَلَى أَعْقَابِكُمْ وَمَن يَنقَلِبْ عَلَىَ عَقِبَيْهِ فَلَن يَضُرَّ اللّهَ شَيْئًا وَسَيَجْزِي اللّهُ الشَّاكِرِينَ
মুহাম্মদ একজন রাসূল মাত্র; তাহার পূর্বে বহু রাসূল গত হইয়াছে। সুতরাং যদি সে মারা যায় অথবা সে নিহত হয় তবে তোমরা কি পৃষ্ঠপ্রদর্শন করিবে?
…
কোর’আন শরীফে হযরত ঈসা মসীহের নাম ও উপাধী
কোর’আন শরীফ আরবীতে লেখা একটি বিশাল বড় বই, বিশ্বের অধিকাংশ মানুষের জন্য বিদেশী ভাষায়। সেই কারণে খুব অল্প কিছু মানুষ এর বিভিন্ন বিষয়গুলো সিঠিকভাবে বুঝে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আল্লাহ্ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নবী ও রাসূলদের পৃথিবীতে পাঠানো সম্পর্কে। ঐ সব নবী ও রাসূলদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন বিবি মারইয়ামের পুত্র ঈসা নবী যাঁর কথা কোর’আনে অনেক কিছু বলা হয়েছে।
পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষ হযরত ঈসার নাম জানে এবং তাঁর জীবনী ও কর্ম সম্পর্ক অল্প কিছু কথাও শুনেছে। যাই হোক, কোরআনের বর্ণনা আনুযায়ী তাঁর অনেক ও বিভিন্ন পথের কথা খুব অল্প কিছু মানুষ সঠিকভাবে জানে। সেইজন্য এই পাঠের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছোট এই পাঠটির উদ্দেশ্য হল পাঠককে কোর’আন আনুসারে ঈসা নবী সম্পর্কে সঠিক ও পরিষ্কারভাবে ধারণা দেওয়া। নিচের উক্তিগুলো সরাসরি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ হতে প্রকাশিত আল-কুরআনুল করীম থেকে নেওয়া হয়েছে। একজন পাঠক এই বইটি পড়ে নিজে আরো সঠিক ও ভালভাবে জানতে সক্ষম হবে, কিভাবে কোরআন ঈসা নবীকে নবুয়তের মর্যাদা দিয়েছে।
’ঈসা (নাজাতদাতা)
فَلَمَّا أَحَسَّ عِيسَى مِنْهُمُ الْكُفْرَ قَالَ مَنْ أَنصَارِي إِلَى اللّهِ قَالَ الْحَوَارِيُّونَ نَحْنُ أَنصَارُ اللّهِ آمَنَّا بِاللّهِ وَاشْهَدْ بِأَنَّا مُسْلِمُونَ
“যখন ‘ঈসা তাহাদের অবিশ্বাস উপলব্ধি করিল তখন সে বলিল, ‘আল্লাহ্র পথে কাহারা আমার সাহায্যকারী?’
…