“আল্লাহ্র কালামের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ভাষা আরবী”
“আল্লাহ্র কালামের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ভাষা আরবী”
অনেকে মনে করেন যে আল্লাহ্র কালাম হল অনন্ত দিন আগে থেকে বেহেশতে সংরক্ষিত আল্লাহ্র মুখে উচ্চারিত কথা। এই ভিত্তিতে অনেকে তাবিজ-কবচ, মন্ত্রপাঠ এবং পানি-পড়ার মাধ্যমে কোরআন শরীফের আয়াত ব্যবহার করে। কিন্তু এই ধারণা আসলে ভুল – অন্যান্য ভাষার মত আরবী ভাষাও একটি আঞ্চলিক অস্থায়ী এবং বিবর্তিত ভাষা, কিন্তু আল্লাহ্ অসীম, সর্বজনীন এবং চিরন্তন। আরবী ভাষার বিভিন্ন হরফ সঠিকভাবে উচ্চারণ করার জন্য দাঁত লাগে, কণ্ঠ লাগে, জিভ লাগে। আল্লাহ্র কি দাঁত, কণ্ঠ, জিভ আছে?…
“ইঞ্জিল গ্রীক ভাষায় হতে পারে না, কারণ ঈসা মসীহ্ হিব্রু ভাষায় বলত”
“ইঞ্জিল গ্রীক ভাষায় হতে পারে না, কারণ ঈসা মসীহ্ হিব্রু ভাষায় বলত”
জাকির নায়েক দাবি করেছেন:
যদিও ঈসা মসীহ্ (আঃ) হিব্রু ভাষায় কথা বলত, তোমাদের মূল পাণ্ডুলিপি তো গ্রীক ভাষায়”
ঈসা মসীহ্ সম্ভবত হিব্রু ভাষা একটু বুঝতে পারলেন, কিন্তু তার মাতৃভাষা অবশ্য হিব্রু না বরং গালীল প্রদেশের আরামীয় ভাষা। গ্রীক ছিল তখনকার বিশ্বের আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ভাষা, এবং তাই প্যালেস্টাইনেও তা প্রচলিত ছিল। বিশেষজ্ঞরা বলেন যে একজন রাজমিস্ট্রি হয়ে ঈসা মসীহ্ গ্রীক ভাষাও বলতে পারতেন। কিছু কিছু সময়ে ঈসা মসীহ্ আরামীয় ভাষায় শিক্ষা দিতেন, অন্য সময়ে গ্রী ভাষায় (যেমন মার্ক ৭:২৬-৩০)। ইঞ্জিল শরীফ অবশ্যই প্রথমে গ্রীক ভাষায় লেখা হয়েছিল, আরামীয় নয়। সারা বিশ্বে ঈসা মসীহ্র বাণী পৌঁছানোর জন্য গ্রীক ভাষা সবচেয়ে উপযুক্ত ছিল, কারণ সেটা তখনকার বিশ্বের সবচেয়ে প্রচলিত ভাষা ছিল। যারা এই রকম দাবি করে তারা সম্ভবত মনে করেন যে শুধুমাত্র আরবী এবং হিব্রুর মত সেমিতীয় ভাষায় নাজিলকৃত কিতাব আসতে পারে। কিন্তু কোরআন শরীফ নিজেই বলে যে কোরআন শরীফ আরবিতে নাজিল হয়েছে মাত্র একটি কারণে, “যাতে তোমরা বুঝতে পার” (সূরা ইউসুফ ১২:২)।
অন্যান্য সম্পর্কিত প্রবন্ধ:
…
মূল হিব্রু তৌরাত কি হারিয়ে গেছে?”
“মূল হিব্রু তৌরাত, জবুর ও নবীদের কিতাব (পুরাতন নিয়ম) হারিয়ে গেছে, তাই বর্তমান পুরাতন নিয়ম গ্রীক ভাষার অনুবাদ থেকে অনুবাদ হয়েছে”
জাকির নায়েক এই অবিশ্বাস্য দাবি করেছে:
“ওল্ড টেস্টামেন্টের মূল হিব্রু আর নাই। আপনারা কি জানেন? ওল্ড টেস্টামেন্টের যে হিব্রু অনুবাদ আছে, সেটা গ্রীক ভাষা থেকে। তাই এমনকি মূল ওল্ড টেস্টামেন্ট, যেটা হিব্রুতে, সেটাও হিব্রুতে নাই।”
নায়েকের এই দাবি যে হিব্রু ওল্ড টেস্টামেন্ট পাওয়া যাচ্ছে না, সেটা পুরোপুরি ভুল। ওল্ড টেস্টামেন্টের জন্য শত শত প্রাচীন হিব্রু পাণ্ডুলিপি আছে, এমনকি ঈসা মসীহ্র আগে থেকে, যেগুলোর নাম Dead Sea Scrolls বা Qumran scrolls। এগুলো হচ্ছে ওল্ড টেস্টামেন্টের সবচেয়ে পুরানো পাণ্ডুলিপি। এই পাণ্ডুলিপিগুলোর আবিষ্কারের আগে, সবচেয়ে প্রাচীন পাণ্ডুলিপি ছিল হিব্রু ওল্ড টেস্টামেন্টের একটি গ্রীক অনুবাদ যাকে বলা হয় Septuagint.…