ইঞ্জিল কীভাবে অবতীর্ণ হয়েছিল?

“কোরআন অনুযায়ী, ইঞ্জিল ঈসা মসীহ্‌র কাছে “নাজিল” হয়েছিল, কিন্তু বর্তমান ইঞ্জিল সাহাবীরাই লিখেছিলেন”

“নাজিল” কথাটির মানে এই না যে জিনিসটা বেহেশত থেকে পড়ে গিয়েছিল বা একজন নবীর হাতে দেওয়া হয়েছিল, বরং “নাজিল” দিয়ে আল্লাহ্‌র একটি উপহার বোঝায়। যেমন কোরআন শরীফে বলা হয় যে আল্লাহ্‌ মানব জাতির কাছে লৌহ “নাজিল” করেছিলেন:

“আমি আমার রসূলগণকে সুস্পষ্ট নিদর্শনসহ প্রেরণ করেছি এবং তাঁদের সাথে অবতীর্ণ করেছি কিতাব ও ন্যায়নীতি, যাতে মানুষ ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি নাযিল করেছি লৌহ, যাতে আছে প্রচন্ড রণশক্তি এবং মানুষের বহুবিধ উপকার। এটা এজন্যে যে, আল্লাহ জেনে নিবেন কে না দেখে তাঁকে ও তাঁর রসূলগণকে সাহায্য করে। আল্লাহ শক্তিধর, পরাক্রমশালী” (সূরা হাদীদ ৫৭:২৫)

তার মানে কি এই, যে একজন নবীর হাতের মাধ্যমে আমরা লৌহ পেয়েছিলাম?…

“চারটা আলাদা গসপেল রয়েছে কেন?”

“চারটা আলাদা গসপেল রয়েছে কেন?”

value=”http://www.youtube.com/v/ugBH9KK_qWo&hl=id_ID&fs=1?version=3&autohide=1&rel=0″ > type=”application/x-shockwave-flash”wmode=”transparent”allowscriptaccess=”always”width=”100%”>

আল্লাহ্‌তা’লা আমাদের কাছে অন্ধবিশ্বাস চান না, তিনি যথেষ্ট প্রমাণ সহকারে তার সত্য অবতীর্ণ করেন যেন সংশয়ীদের কাছেও সেটা অনস্বীকার্য হয়। চারজন আলাদা আলাদা সাক্ষীদের সাক্ষ্যতে হযরত ঈসার সমস্ত দাবী, অলৌকিক কাজ, মৃত্যু এবং পুনরুত্থান অস্বীকার করতে চারগুণ কঠিন হয়। দু’একজন সাক্ষীর সাক্ষ্য হয়ত সন্দেহ বা প্রশ্ন করা যায়, কিন্তু চারটি সাক্ষ্য সন্দেহ করা কঠিন।

তৌরাত শরীফের শরিয়ত বনি-ইসরাইলের জন্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম রেখে গেছে—

“মাত্র একজন সাক্ষী দাঁড়ালে চলবে না; দুই বা তিনজন সাক্ষীর কথা ছাড়া কোন বিষয় সত্যি বলে প্রমাণিত হতে পারবে না।” (দ্বিতীয় বিবরণ ১৯:১৫)

তৌরাতের এই নিয়ম অনুযায়ী বনি-ইসরাইলের কাছে হযরত ঈসার বাণী প্রমাণ করার জন্য একাধিক সাক্ষীর সাক্ষ্যর প্রয়োজন ছিল।

তারপরেও, ইঞ্জিল এবং কোরআন থেকে আমরা জানি যে হযরত ঈসা ছিলেন নিজেই আল্লাহ্‌র জীবন্ত কালাম, এবং তাই ইঞ্জিলের মূল ভূমিকা হচ্ছে সেই জীবন্ত কালামের জীবন এবং শিক্ষা সম্বন্ধে সাক্ষ্য হওয়া। অর্থাৎ হযরত ঈসার ক্ষেত্রে নবীই প্রধান, কিতাব অপ্রধান।

চারটি সুখবর থাকার আরেকটি কারণ হচ্ছে যে, আলাদা আলাদা সাক্ষীর দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা হযরত ঈসার জীবন ও শিক্ষা সম্বন্ধে আরও বেশী শিক্ষালাভ করতে পারি, যেহেতু প্রত্যেক দলিলে ঈসার কাজের বিশেষ একটি দিকের উপর জোর দেওয়া হয়।

১৮০ খ্রীষ্টাব্দে, ঈসায়ী নেতা এরেনেউস এই চারটি সুখবর (মথি,মার্ক,লূক,ইউহোন্না) সম্বন্ধে বলেছেন—

সুখবরগুলোর সংখ্যা যে চারের বেশী অথবা চারের কম হবে তা সম্ভব নয়, কারণ যেহেতু আমাদের এই দুনিয়ার চার দিক আছে, এবং চারটি প্রধান বায়ু, যখন ঈসায়ী জামাত দুনিয়ার বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে আছে, এবং জামাতের ভিত্তি এবং স্তম্ভ হল সেই ইঞ্জিল এবং জীবন্ত রূহ্‌; সেহেতু তা যুক্তিসঙ্গত হয় যে এর স্তম্ভও চারটি থাকবে, চারদিকে নিঃশ্বসিত হচ্ছে অনন্ত জীবন…কারণ জীবন্ত প্রাণী হল চতুর্পদ, এবং সুখবরও তেমনই চতুর্গুণ।

এই ইরিনেওস ছিলেন সাহাবী ইউহোন্নার “রূহানি নাতি”, কারণ তিনি ঈসার প্রিয় উম্মত এবং ইউহোন্না-সমাচারের লেখক হযরত ইউহোন্নার শিষ্য পলিকার্পের শিষ্য ছিলেন।


অন্যান্য সম্পর্কিত প্রবন্ধ:

ঈসার কাছে একটি ইঞ্জিল, নাকি তার অনুসারীদের কাছে চারটি ইঞ্জিল?

“কোরআন শরীফে হযরত ঈসার কাছে নাজিলকৃত একটি ইঞ্জিলের কথা বলা হয়, কিন্তু বর্তমান ইঞ্জিল লিখেছেন তার সাহাবীরা”

এই অভিযোগের মধ্যে চারটি প্রশ্ন আছে:

কোরআন শরীফে যেমন বলা হয়, ঈসা মসীহ্‌ সত্যই “ইঞ্জিল” (অর্থাৎ সুসংবাদের বাণী) পেয়েছিলেন, কিন্তু সেটা ঈসার জীবনকালে একটি বই ছিল না বরং একটি বাণী বা শিক্ষা। সেই শিক্ষা “ইঞ্জিল” কিতাবের মধ্যে পাওয়া যায়।

হযরত ঈসা এবং হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) উভয়ই নিজে কোন কিতাব লিখে রাখেননি, যদিও বর্তমান কাল অনেকে এমনভাবে কথা বলে থাকেন। তাদের মৃত্যুর পরে সাহাবীগণ তাদের কিতাব লিখে রেখেছেন।

হযরত ঈসার ইঞ্জিল শরীফ একটু ভিন্নভাবে নাজিল হয়েছে। অধিকাংশ নবীদের ক্ষেত্রে, যেমন হযরত ইশাইয়া (আঃ) এবং হযরত ইয়ারমিয়া (আঃ), আল্লাহ্‌ তাদের কাছে একটি বিশেষ বাণী নাজিল করেছেন “আল্লাহ্‌র কালাম” হিসাবে, এবং তাই সেই নবীর কিতাব হল সেই লিখিত আল্লাহ্‌র বিশেষ বাণী।

কিন্তু ইঞ্জিল কোরআন উভয় গ্রন্থে যেমন বলা হয়েছে, হযরত ঈসা হচ্ছেন নিজেই একক “আল্লাহ্‌র বাণী,” অর্থাৎ তিনি নিজেই ছিলেন প্রধান বাণী।

অন্যান্য নবীরা লিখিত বাণী (“আল্লাহ্‌র কালাম”) নিয়ে আসলেন, কিন্তু হযরত ঈসার ক্ষেত্রে বিষয়টি সম্পূর্ণ বিপরীত ছিল। তিনি নিজেই আল্লাহ্‌র জীবন্ত বাণী ছিলেন, এবং এইজন্য তার কিতাব (ইঞ্জিল) অপ্রধান, বরং হযরত ঈসাই প্রধান বাণী। ইঞ্জিল কিতাব হচ্ছে সেই জীবন্ত আল্লাহ্‌র বাণীর জীবন ও শিক্ষা সম্পর্কে পাক-রূহের পরিচালনায় লিখিত সাক্ষীদের পবিত্র লিখিত বর্ণনা। হযরত ঈসা নিজেই তার সাহাবীদের এমন দায়িত্ব দিয়ে গেলেন, যেন তারা দুনিয়ার কাছে তার জীবন ও সমস্ত শিক্ষা সম্পর্কে সাক্ষ্য দেয় (ইঞ্জিল, মথি ২৮:১৮-২০)। তিনি আবার প্রতিজ্ঞা করলেন যে পাক রূহ্‌ নিজেই তার শিক্ষা সম্বন্ধে সাহাবীদের মনে করিয়ে দেবেন (ইউহোন্না ১৪:২৬)। আল্লাহ্‌র জীবন্ত কালাম সম্পর্কে এই পবিত্র বাণী সংরক্ষণ করার উদ্দেশ্যে, মসীহ্‌র বারজন উম্মত এবং তাদের সঙ্গীরা পাক-রূহের পরিচালনায় মসীহ্‌র জীবন-চরিত এবং শিক্ষা লিখে রাখলেন ইঞ্জিল কিতাব হিসাবে।

ইঞ্জিলের শব্দার্থ

তাহলে “ইঞ্জিল” সম্পর্কে আমরা কোরআনে কী ধারণা পাই?…

আল্লাহ্‌ কথা নাকি মানুষের কথা?

“কোরআন শরীফ পুরোপুরি আল্লাহ্‌র কথা, কিন্তু কিতাবুল মোকাদ্দসে মিশ্রিত আছে আল্লাহ্‌র কথা, নবীদের নিজেদের কথা, এবং ঐতিহাসিকদের কথা”

আল্লাহ্‌র কালাম (كلمةﷲ) সম্বন্ধে একটি ভুল ধারণার কারণেই এই অভিযোগ তুলা হয়। অনেকে মনে করে যে একবচন উত্তম পুরুষ বাক্য ছাড়া কোন কিছু আল্লাহ্ কালাম হতে পারে না, শুধুমাত্র আল্লাহ্‌র কণ্ঠের উক্তি হতে পারে। কিন্তু এই ক্ষুদ্র মাপকাঠি ব্যবহার করলে শুধু ইঞ্জিল নয় বরং কোরআন শরীফও অযোগ্য হয়ে পড়ে, কারণ এই ভুল মাপকাঠি অনুযায়ী কোরআনের মধ্যে আল্লাহ্‌র বাণী, মানুষের বাণী এমনকি ফেরেশতার বাণীও রয়েছে। কোরআন শরীফের অধিকাংশ আয়াত মানুষদের কাছে আল্লাহ্‌র কথা। কিন্তু সূরা ফাতিহা হচ্ছে বিপরীত; আল্লাহ্‌র কাছে মানুষদের কথা। আবার সূরা মরিয়মের মধ্যে বাহক ফেরেশতা জিবরাইলেরও একটি উক্তি আছে – “আমি আপনার পালনকর্তার আদেশ ব্যতীত অবতরণ করি না”।

তাই ‘আল্লাহ্‌র কালামের’ এই ভুল সংজ্ঞা চলবে না, যে আল্লাহ্‌র বাণী শুধু একবচন উত্তম পুরুষ উক্তি হতে পারে। ইঞ্জিল শরীফে বলা হয়েছে:

“এই কথা মনে রেখো যে, কিতাবের মধ্যেকার কোন কথা নবীদের মনগড়া নয়, কারণ নবীরা তাঁদের ইচ্ছামত কোন কথা বলেন নি; পাক-রূহের দ্বারা পরিচালিত হয়েই তাঁরা আল্লাহ্‌র দেওয়া কথা বলেছেন। (ইঞ্জিল শরীফ, ১ পিতর ১:২১)

যেহেতু আল্লাহ্‌ অনেক সময় ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে তার ইচ্ছা বিশেষভাবে প্রকাশ করেন, সেহেতু এই গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস সঠিকভাবে লিখে রাখার জন্য তিনি বিশেষ কিছু কিছু মানুষকে লিখতে পরিচালনা করেছেন, যেমন তৌরাত শরীফের ক্ষেত্রে তিনি হযরত মূসাকে লিখতে পরিচালনা করেছেন।

আল্লাহ্‌র কালামের একটি সুন্দর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তার পর্যাপ্ততা এবং পরিপূর্ণতা – আল্লাহ্‌র প্রতি ভয়পূর্ণ জীবন কাটাতে যা যা জানা দরকার সবকিছু আল্লাহ্‌র কালামের মধ্যে পাওয়া যায়, অন্য কোথাও যেতে হয় না। হেদায়েত, দিক-নির্দেশনা, শরিয়ত এবং ইতিহাস, যথেষ্ঠ পরিমানে আল্লাহ্‌র কালামে রয়েছে, মানব জাতির জন্য আল্লাহ্‌র পরিপূর্ণ উপদেশ। অন্যান্য ধর্মগ্রন্থের ক্ষেত্রে সেগুলো অপর্যাপ্ত, যার কারণে মূল ধর্মগ্রন্থ বাদ দিয়ে অন্য ইতিহাস বইয়ের মধ্যে ব্যস্ত থাকতে হয়।

ইঞ্জিল শরীফের মধ্যে পাক-রূহ্‌-শাশ্বত ‘ঐতিহাসিকদের কথা’ থাকার আরেকটি কারণ হচ্ছে ঈসা মসীহ্‌র অনন্য ভূমিকা। আগের যুগে আল্লাহ্‌ বিভিন্ন নবীদের কাছে বিশেষ বাণী দিতেন, কিন্তু ঈসা মসীহ্‌ হচ্ছে আল্লাহ্‌র জীবিত কালাম, তার জীবনই ছিল মানুষের কাছে আল্লাহ্‌র শাশ্বত বাণী। এইজন্য ইঞ্জিল শরীফের ভূমিকা একটু আলাদা, সেটা হচ্ছে প্রধানত আল্লাহ্‌র এই জীবিত কালামের কথা এবং কাজের একটি পাক-রূহ-শাশ্বত লিখিত সাক্ষ্য।

    ১.

কিতাবুল মোকাদ্দস কি মানুষের গল্পের মত?

কিতাবুল মোকাদ্দস সহ অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ পড়তে মানুষের গল্পের মত হয়,
কিন্তু কোরআন শরীফ সেরকম না”

আসলে অধিকাংশ ধর্মগ্রন্থ পড়তে কাহিনীর মত নয় বরং এলোমেলো মন্ত্রের মত।

আল্লাহ্‌র কালামের মূল উদ্দেশ্য হল আল্লাহ্‌র ইচ্ছা মানব জাতির কাছে সুন্দরভাবে, স্পষ্টভাবে প্রকাশ করা। এইজন্য তিনি যেহেতু সবকিছুতে শ্রেষ্ঠ, তার কালাম এলোমেলো উক্তি বা অসংলগ্ন মন্ত্রতন্ত্রের মত হবে না, বরং ভূমিকা ও উপসংহার সহ সুন্দর ও ধারাবাহিক একটি পরিপূর্ণ লেখা – যেভাবে সকল যুক্তিসঙ্গত যোগাযোগ হয়। কিতাবুল মোকাদ্দসে আমরা এমন লেখা পাই। চিন্তা করেন – কোন স্কুল টেক্সটবুক বা প্রবন্ধ যদি প্রতিটি তিন লাইন পরপর হঠাৎ করে আলোচনার বিষয় পরিবর্তন হত, তাহলে সেটা কোন সুশিক্ষিত লোক ব্যবহার করত না।

আল্লাহ্‌ অবশ্য মানুষের ভাষার চেয়ে মহান, কিন্তু যখন মানবজাতির কাছে তিনি তার ইচ্ছা প্রকাশ করছেন মানুষদের ভাষায়, তখন তিনি স্পষ্ট যোগাযোগে শ্রেষ্ঠ। তার কালাম যদি অস্পষ্ট এবং অসংলগ্ন হত, তাহলে তার অস্পষ্ট দূর্বল কালাম সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাখ্যা করার জন্য মানুষ আরো স্পষ্ট বিকল্প ধর্মীয় বই লিখতে হত (নাউজুবিল্লাহ)। না, তার অসীম জ্ঞানে মাবুদ আল্লাহ্‌ তার কালাম নিখঁত এবং পরিপূর্ণ করেছেন। তার মধ্যে আছে ইতিহাসে আল্লাহ্‌র বিভিন্ন কাজের স্পষ্ট বিবরণ, এবং ধর্মসংক্রান্ত প্রতিটি বিষয়ের যথেষ্ট বিস্তারিত আলোচনা আল্লাহ্‌র কালামে পাওয়া যায়। হেদায়েতের জন্য অন্য কোথাও যাওয়া দরকার নেই।

আসলে কিতাবুল মোকাদ্দসের একটি আশ্চর্য বিষয় হল যে ২০০০ বছর জুড়ে প্রায় ৪০ আলাদা ব্যক্তির কাছে প্রদত্ত বাণী হলেও, তার মধ্যেকার লেখার এত স্পষ্ট মিল আছে। তার শুরুতে আছে ভূমিকা (পয়দায়েশ ১-১১), মাঝখানে ক্রমে ক্রমে প্রকাশিত হয় আল্লাহ্‌র মহাপরিকল্পনা, এবং শেষ কিতাবে আছে ভবিষ্যতের সমাপ্ত। তার মধ্যে আল্লাহ্‌র ইচ্ছা ভালভাবে জানার জন্য যথেষ্ট বিবরণ আছে—কোন গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাদ দেওয়া হয় নি বা অন্য কোন ব্যাখ্যা বা টেক্সটবুক বা মানুষের লেখার কাছে যেতে হয় না। শুধুমাত্র নিজ মাতৃভাষায় আল্লাহ্‌র কালাম থাকলে, বিশ্বের যেকোন লোকের কাছে থাকত আল্লাহ্‌র পূর্ণাঙ্গ ইচ্ছা জানার জন্য যথেষ্ট হেদায়েত।

মরিস বুকাইলি দাবি করেছেন যে ইঞ্জিল শরীফের গসপেলগুলো রূপকাহিনী Song of Roland এর মত, “যেটা একটা বাস্তব ঘটনা মিথ্যা ভাবে সাজায়”। বুকাইলির দাবি হল যে ইঞ্জিলের গল্পগুলো ঐতিহাসিক বর্ণনা হিসেবে লেখা হয়নি বরং সৃজনশীল উপন্যাস হিসেবে লেখা হয়েছে। ডাঃ মৌরিস বুকাইলি কোন সাহ্যিতের বিশেষজ্ঞ নয়, কিন্তু বিখ্যাত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহিত্য বিশেষজ্ঞ C.S.