ইম্মানুয়েল ভবিষ্যদ্বাণী কি মিথ্যা?

প্রশ্ন:

জাতির কাছে এক কঠিন প্রশ্ন: বাইবেলের এই ভবিষ্যত বাণী কি মিথ্যা নয়? লজিকালি উত্তর দিবেন।

বাইবেলে ভবিষ্যত বাণী করা হয়েছিল যে, মরিয়মের ছেলের নাম রাখা হবে ইম্মানুয়েল। ইম্মানুয়েল অর্থ ” ঈশ্বর আমাদের সাথে”। আর যিশু অর্থ “অভিষিক্ত ত্রানকর্তা”। গস্পেল অফ মথি ১/২২,২৩ এ বলা হয়েছে,

“একজন অবিবাহিতা সতী মেয়ে গর্ভবতী হবে, আর তার একটি ছেলে হবে, তার নাম রাখা হবে ইম্মানুয়েল।”(মথি ১:২২,২৩)

বাইবেলে স্পষ্ট বলা হয়েছে তার নাম হবে ইম্মানুয়েল, যার অর্থ “ঈশ্বর আমাদের সাথে”। তাহলে মরিয়মের পুত্রের এমন এক নাম রাখা হবে যার নামের অর্থ হবে “ঈশ্বর আমাদের সাথে।” মরিয়মের পুত্রের নাম কি তাই রাখা হয়েছে যার অর্থ “ঈশ্বর আমাদের সাথে?”

সর্বোচ্চ পাহাড় থেকে সকল রাজ্য দেখা?

প্রশ্ন:

সর্বোচ্চ পাহাড় থেকে সকল রাজ্য দেখা?

গসপেল অব ম্যাথিউ এর ৪র্থ অধ্যায়ের ৮ম ধারায় আছে-‘শয়তান তাকে (যীশু) একটি অতি উচ্চ পাহাড়ে নিয়ে গেল এবং পৃথিবীর সব রাজ্যসমূহ ও তাদের মহিমা দেখাল’

“শয়তান তাঁকে একটি উঁচু পাহাড়ে উঠাল এবং তাকে পৃথিবীর সব রাজ্য দেখাল।” (লূক ৪:৫)

আপনি যদি উচ্চতম পর্বত মাউন্ট এভারেস্টেও যান এবং আপনার দৃষ্টিশক্তি যদি খুব ভালও হয় তবুও আপনি পৃথিবীর সব রাজ্য দেখতে পাবেন না। কারণ পৃথিবী বর্তুলাকার। ফলে আপনি আপনার বিপরীত পাশে কি আছে তা দেখতে পাবেন না। বর্ণিত বক্তব্য সত্য হতো যদি পৃথিবী হতো চ্যাপ্টা।

উত্তর:

এর উত্তর এর মধ্যে লেখা হয়েছে, এখানে পাওয়া যাবে। নিচেও পেস্ট করছি:

মথি ৪:৮—“এখানে বলা হয়েছে যে পৃথিবী সমতল, কিন্তু পৃথিবী গোলাকার।”

সমালোচক যদি ভালভাবে পড়লেন, তিনি লক্ষ্য করতেন যে এটা আসলে এক মুহূর্তের মধ্যে একটি অলৌকিক দর্শন, যেমন লূক ৪:৫ আয়াতে স্পষ্ট আছে: “এর পরে ইবলিস তাঁকে একটা উঁচু জায়গায় নিয়ে গেল এবং মুহূর্তের মধ্যে দুনিয়ার সব রাজ্যগুলো দেখালো…”। লূক এবং মথি অবশ্যই মনে করেননি যে রোম শহর একটি উঁচু পাহাড় থেকে দেখা যাবে—এরা বরং একটি অলৌকিক দর্শনের কথা বলেছিলেন।

একই মাপকাঠিতে আমরা প্রশ্ন করতে পারি কেমন করে নবীজীর মি’রাজ হল, কেমন করে তিনি ‘বুরাক’ নামের এক স্বর্গীয় বাহন চড়ে জেরুজালেমে গেলেন। কোরআনেও কিছু আয়াত আছে যেগুলো আপাত দৃষ্টিতে সমতল পৃথিবীর কথা বলে—

“এবং আকাশের প্রতি লক্ষ্য করে না যে, তা কিভাবে উচ্চ করা হয়েছে?

খ্রিষ্টধর্মে হাসপাটাল হারাম?

প্রশ্ন:

খ্রিষ্টধর্মে হাসপাটাল হারাম?

কোনো খ্রিস্টিয়ান অসুস্থ হলে তারা হসপিটালে কেন যায়? ইয়াকুব ৫:১৪-১৬ এখানে উল্লেখ আছে যে কেউ অসুস্থ হলে গীর্জার পাদ্রীর কাছে যাবে। সুতারাং খ্রিস্টিয়ান হসপিটালে যাওয়া হারাম,প্রার্থনা দিয়ে কাজ চালান

উত্তর:

এই অভিযোগ সম্পূর্ণ যুক্তিহীন। ইসলামেও অসুস্থদের জন্য দু’য়া ও রুকইয়াহ করা হয়; হাদিস অনুযায়ী জিব্রাইল নবীজীর অসুখবিসুখের জন্য মোনাজাত করতেন, এবং নবীজী নিজেই সাহাবীদের অসুখের নিরাময়ের জন্য দু’য়া ও রুকইয়াহ করতেন। ইয়াকুব ৫:১৪-১৬ আয়াতে আছে:

“তোমাদের মধ্যে কেউ কি কষ্টভোগ করছে?

ঈসা কয়টায় মারা গেলেন?

প্রশ্ন:

যীশু কয়টায় মারা গেলেন?

কোন খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রশ্ন করলে তারা জোরালো ভাবে একটাই উত্তর দেয় অবশ্যই, মারা গেছেন। তারা তখন বাইবেল থেকে লুক ২৩:৪৬ উদ্ধৃতি দেয়,

“যীশু চিৎকার করে বললেন, ‘পিতা আমি তোমার হাতে আমার আত্মাকে সঁপে দিচ্ছি৷’ এই কথা বলে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ফেললেন৷” (লূক ২৩:৪৬)

আসুন আজকে এই বিষয়ে আলোচনা করি। যদি আমি ধরে নেই ঈসা আঃ ক্রুশবিদ্ধ হয়ে মারা যান তাহলে সেটি কোন সময়?

পিতা নিজ কন্যাকে ধর্ষকের কাছে তুলে দেওয়া

প্রশ্ন:

একজন পিতা, নিজ কন্যাকে ধর্ষকের কাছে তুলে দিতে চায়

খ্রিষ্টানদের বাইবেলে, একজন পিতা, নিজ কন্যাকে ধর্ষকের কাছে তুলে দিতে চায় (বাইবেল, আদিপুস্তুক ১৯:১-৩৮) । “লোটের” এর বাড়িতে ২ জন মেহমান আসল। তখন সন্ধ্যায়,”সদোম শহরের” লোকেরা “লোটের” বাড়ি ঘিরে পেললো… এবং তারা বললো, তোমার মেহমানরা কোথায়?..তাদের

পয়দায়েশ ১–“তৌরাত শরীফের সৃষ্টিবর্ণনা বিজ্ঞানের তথ্যের সঙ্গে মিলে না, কারণ সৃষ্টি ছয় দিনে হয় নি।”

পয়দায়েশ ১–“তৌরাত শরীফের সৃষ্টিবর্ণনা বিজ্ঞানের তথ্যের সঙ্গে মিলে না, কারণ সৃষ্টি ছয় দিনে হয় নি।”

জাকির নায়েকের মতো সমালোচক প্রায়ই দাবি করে বলেন যে বাইবেল অনুযায়ী পৃথিবী ৬টি আক্ষরিক দিনে সৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু কোরআন অনুযায়ী সৃষ্টি দিনগুলো আসলে ‘যুগ’। এ দাবিগুলো পরিষ্কাররূপে মিথ্যা—

পয়দায়েশ খণ্ডে তৌরাত শরীফের বর্ণনা দীর্ঘস্থায়ী পৃথিবীর অস্তিত্বের সঙ্গে মিলানোর দুটি ব্যাখ্যার পন্থা আছে। আধুনিক বিজ্ঞানের তথ্যের সঙ্গে মিলানোর প্রচেষ্টা এগুলো নয়, কারণ উভয় মতবাদের মূল থাকে প্রাচীনকাল লেখকদের লেখাতে, যারা আজকাল দীর্ঘস্থায়ী পৃথিবী তথ্য আবিষ্কারের বহুদিন আগে এই ধরনের ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

পয়দায়েশের প্রথম ব্যাখ্যা : দিন-যুগ ব্যাখ্যাটি

পয়দায়েশের প্রথম অধ্যায়ে “দিনের” মূল হিব্রু শব্দ হল ইয়ম (হিব্রু יום), যেমন করে কোরআনেও একই “দিন” শব্দ (يَوْم ইয়োম ) ব্যবহার হয়েছে। উভয় ভাষায়ই, এই ইয়ম শব্দ দিয়ে বোঝানো হয় ১২ ঘন্টা, ২৪ ঘন্টা, অথবা একটা অনির্দিষ্ট মেয়াদ বা যুগ। আবার কিতাবুল মোকাদ্দসে আমরা পরি যে “প্রভুর কাছে এক দিন এক হাজার বছরের সমান এবং এক হাজার বছর এক দিনের সমান” (ইঞ্জিল ২ পিতর ৩:৮ এবং জবুর শরীফ ৯০:৪)। আবারও তৌরাতে যে শব্দগুলো অনুবাদ হয় “সকাল” (בקר) ও “সন্ধ্যা” (ערב) দিয়ে, সেগুলোর আবার শুধু বোঝায় “ইয়মের শুরু” এবং “ইয়মের শেষ”, যেমন করে বলা হয় ‘the dawn of world history’ [বিশ্ব-ইতিহাসের ভোর] অথবা the sunset years of one’s life’ [একজনের জীবনের সূর্যাস্ত বছরগুলো]। লেখক যে আক্ষরিক সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত বুঝাতে চাননি তা অতি পরিষ্কার, কারণ চতুর্থ দিনে সূর্য দেখা দেওয়ার আগেও তিনি এই בקרערב শব্দগুলো ব্যবহার করেছেন।

তৌরাতের সৃষ্টির এই দিন-যুগ ব্যাখ্যার সবচেয়ে মজবুত প্রমাণ হল যে ঈসায়ী ইতিহাসের প্রথম ৪০০ বছর ধরে অধিকাংশ তৌরাত-তাফসীরকারীগণ সুনির্দিষ্টভাবে ব্যাখ্যা করতেন যে সৃষ্টির এই ‘দিন’ বা ‘ইয়ম’গুলো দীর্ঘ সময়ের মেয়াদ ছিল (যেমন প্রতি ইয়মের কাল ১০০০ বছর)। এসব দুই হাজার পৃষ্টার তাফসীর লেখা হয়েছে আধুনিক বিজ্ঞানের তথ্যের হাজার বছর আগে, যখন সৃষ্টিতে দিনের দীর্ঘতা বিশ্বাস করার কোনো দ্বিতীয় কারণ ছিল না।

কিন্তু সহীহ হাদিস অনুযায়ী, কোরআনের সৃষ্টি-দিনগুলোর সম্পর্কে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ব্যাখ্যা ছিল আক্ষরিক- ‘শনিবার, রবিবার, সোমবার’, ইত্যাদি হিসেবে ধরে নিয়েছেন:

আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (ছ) আমার হাত ধরে বললেন, আল্লাহ্‌ তা’আলা শনিবার দিন মাটি সৃষ্টি করেন। রোববার দিন তিনি এতে পর্বত স্থাপন করেন। সোমবার দিন তিনি বৃক্ষরাজি পয়দা করেন। মঙ্গলবার দিন তিনি আপদ বিপদ সৃষ্টি করেন। বুধবার দিন তিনি নূর পয়দা করেন। বৃহস্পতিবার দিন তিনি যমীনে পশু-পাখি ছড়িয়ে দেন এবং জুম’আর দিন আসরের পর তিনি আদম (আ) কে সৃষ্টি করেন। অর্থাৎ জুম’আর দিনের সময়সমূহের শেষ মুহূর্তে সর্বশেষ মাখলুক আসর থেকে রাত পর্যন্ত সময়ের মধ্যবর্তী সময়ে তিনি সৃষ্টি করেছেন। (সহীহ মুসলিম #৬৮৮৭)

প্রথম তাফসীরকারীগণ একই ব্যাখ্যা দিলেন; আল-তাবারীতে ইবন আব্বাসের এই কথা আছে—

ইহুদীগণ নবীজীর কাছে এসে তাঁকে জিজ্ঞেস করেন আসমান ও জমীনের সৃষ্টির সম্পর্কে। তিনি বলেন, “রবিবার ও শোমবারে আল্লাহ্‌ তা’আলা দুনিয়া সৃষ্টি করেন। মঙ্গলবারে তিনি পাহাড়পর্বত এবং এদের ব্যবহার সৃষ্টি করেন। বুধবারে তিনি গাছ, পানি, শহর এবং চাষের অনুর্বর জমি সৃষ্টি করেন। এগুলো চার (দিন)। তিনি আবার বললেন (কোরআন উদ্ধৃতি করে): “বল, তোমরা কি তাঁকে অস্বীকার করবেই, যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দুই দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষে দাঁড় করাইতেছ?

১ ইউহোন্না ৫:৭ – পরে ঢুকানো হয়েছে?

১ ইউহোন্না ৫:৭—“বিশেষজ্ঞরা বলেন যে এই আয়াত জাল, এটা পরে ঢুকানো হয়েছে”

শত শত ভাল ইংরেজী অনুবাদের মধ্যে শুধুমাত্র কিং জেম্‌স অনুবাদেই ১ ইউহোন্না ৫:৭-এর শেষে এই বাক্য রয়েছে: —“For there are three that bear record in heaven, the Father, the Word and the Holy Ghost, and these three are one.”

ইউহোন্না ১০:৮ – নবীরা কি চোর ও ডাকাত?”

ইউহোন্না ১০:৮—“ঈসা কীভাবে বলতে পারেন যে আগেকার সমস্ত নবী-পয়গম্বর ছিলেন চোর ও ডাকাত?”

ইঞ্জিলের উপর এই আক্রমন খুব দুর্বল। ইঞ্জিলের একটুমাত্র পড়লে বোঝা যায় যে ঈসা মসীহ্ আগেকার নবীদের খুব সম্মান করতেন (যেমন মথি ৫:১৭; মথি ১২:৩; লূক ১৩:২৮; ইউহোন্না জ৮:৩৯,৪০)। এইজন্য বোঝা যায় যে ঈসা মসীহ্ এখানে প্রকৃত নবীদের “চোর ও ডাকাত” বলেননি, বরং ভণ্ড নবী ও ভণ্ড ‘মসীহ’দের “চোর ও ডাকাত” বলেছিলেন (যারা নবীদের যুগের পরে এসে নিজেকে নবী বা মসীহ্ বলে মানুষকে ঠকিয়েছে)। তেমনভাবেও নবী ইহিষ্কেল তাদের সমালোচনা করেছিলেন, যারা নিজেকে ইহুদীদের নেতা বা নবী বলে কিন্তু শুধু নিজেকে সেবা করে। ঈসা মসীহ্ তাদের ‘চোর’ বলেছিলেন কারণ তারা অনেকসময় কৌশলে মানুষকে আকৃষ্ট করতেন এবং ‘ডাকাত’ বলতেন কারণ ভণ্ড নেতারা হিংস্রতা ব্যবহার করতেন।

ইউহোন্না ৮:১-১১ – মূল ইঞ্জিলে অনুপস্থিত?

ইউহোন্না ৮:১-১১—“কিতাবুল মোকাদ্দস কীভাবে নির্ভরযোগ্য হতে পারে যেহেতু এই অনুচ্ছেদ সবচেয়ে প্রাচীন পাণ্ডুলিপিতে ছিল না?”

মাঝে মাঝে কিছু সমালোচকগণ এই অনুচ্ছেদ দেখিয়ে বলেন যে কিতাবুল মোকাদ্দস নির্ভরযোগ্য নয়, যেহেতু কিছু পাণ্ডুলিপিতে এটা লূকের শেষে পাওয়া যায় এবং অন্য কিছু পাণ্ডুলিপিতে এটা নাই। কিন্তু ইউহোন্না ৮:১-১১ এর নির্ভরযোগ্যতার পক্ষে আমাদের যথেষ্ঠ প্রমাণ রয়েছে। এই অনুচ্ছেদের ভাষা এবং স্টাইল ইউহোন্নার সঙ্গে ভালভাবে মিলে যায়, এবং ঘটনার ক্রমের মধ্যে মিলে যায়। আবার মনে রাখতে হবে যে এই দুই ছোট বিতর্কিত অনুচ্ছেদ (মার্ক ১৬:৯-২০ এবং ইউহোন্না ৮:১-১১) হচ্ছে কিতাবুল মোকাদ্দসের মাত্র ০.০০০৭% এবং এগুলো থাকলে বা না থাকলে কিতাবের শিক্ষার কোনো পরিবর্তন হয় না।

যারা এগুলো দিয়ে ইঞ্জিলের নির্ভরযোগ্যতা প্রশ্ন করেন, তারা বলে না যে কোরআনের ক্ষেত্রেও সেরকম সন্দেহজনক অংশ আছে। নবীজী (স) ইবন মাসঊদকে সম্মান করেছেন কোরআনের শ্রেষ্ঠ পাঠক হিসেবে—

আব্দুল্লাহ্‌ ইবনে আমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী(স)-কে বলতে শুনেছি, চার ব্যক্তির নিকট থেকে তোমরা কোরআনের পাঠ গ্রহণ করঃ (১) ইবনে মাসউদ (২) আবু হুযাইফার মুক্ত গোলাম সালিম (৩) উবাই (ইবনে কা’ব) ও (৪) মুয়ায ইবনে জাবাল।” (সহীহ আল-বোখারী, ৩৫২৪ (জামে’ সহীহ্‌ আল-বোখারী অনুবাদ মাওলানা মোবারক করীম জওহর, খান ব্রাদার্স আণ্ড কোম্পানি, ৯ বাংলাবাজার ১১০০; ঢাকা ২০০৮, পৃষ্ঠা ৬৪৩)

এই ইবনে মাসউদ সূরা ফাতেহা, সূরা আল-ফালাক, এবং সূরা আন-নাস কোরআনের অংশ হিসেবে তিনি গ্রহণ করেননি। অপর দিকে, উপরোক্ত উবাই ইবনে কা’ব (রা)-এর মুসহাফে দু’টি বাড়তি সূরা ছিল—সূরা আল-হাফ্‌দ এবং সূরা আল-খাল’—
সূরা আল-হাফ্দ
সূরা আল-খাল

হযরত উবাই ইবনে কা’ব (রা)-এর মুসহাফের সূরা আল-হাফ্দ এবং সূরা আল-খাল
(বর্তমান কোরআনে অনুপস্থিত)
আব্দুল মালিক বিন মারওয়ানের কথা অনুযায়ী, আলী ইবন আবি তালিবের কোরআনের মধ্যে “আল-খাফ্‌ধ” নামক একটি বাড়তি সূরা ছিল, যেটা আজকাল কোরআনে নাই। আবার বিভিন্ন শি’য়া উলেমাদের কথা অনুযায়ী, হযরত উসমান কোরআন শরীফ থেকে “সূরা উলায়াহ্‌” এবং “সূরা নুরাইন” নামক দু’টি সূরা বাদ দিয়েছেন।

হয়ত এইজন্য ‘আব্দুল্লাহ্‌ ইবন ‘ওমর (মৃঃ৬৯২) বলেছেন, “কেউ না বলুক, ‘আমি পুরো কোরআন শিখেছি!’…

ইউহোন্না ৫:৩১ – নিজের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য?

ইউহোন্না ৫:৩১—“নিজের বিষয়ে ঈসা মসীহ্‌র সাক্ষ্য সত্যি (ইউহোন্না ৮:১৪) নাকি সত্যি নয় (৫:৩১)?”

প্রথম অনুচ্ছেদে (৫:৩১), ঈসা মসীহ্ আলোচনার জন্য ইহুদী নিয়ম মেনেছেন, যে কোন কিছু প্রতিষ্ঠিত করতে হলে একাধিক সাক্ষ্যর দরকার (দ্বিতীয়বিবরণ ১৯)। এই যুক্তি মেনে তিনি বলছেন যে তার পক্ষে ইয়াহিয়া (যাকে এরা সম্মান করেন) এবং পাক-কিতাব দুজনই সাক্ষ্য দিচ্ছেন।

দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে (৮:১৪), তিনি বলছেন যে তা হলেও, তার নিজের সাক্ষ্য যথেষ্ট কারণ তিনি এক আল্লাহ্‌র জীবন্ত কালাম (ইউহোন্না ১:১), তিনিই সত্য (ইউহোন্না ১৪:৪) এবং তিনি মসীহ্।

তাই পঞ্চম অধ্যায় তিনি বলছেন যে মানুষের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী তার আত্মসাক্ষ্য অবৈধ হলেও, আমার পক্ষে আরও সাক্ষ্য রয়েছে…” কিন্তু ৮ অধ্যায়ে তিনি তার আত্মসাক্ষ্য বৈধতা প্রমাণ করেন। এখানে কোন পরস্পর-বিরোধী নেই।