ঈসা উদ্ধৃতিতে যোগ ও বাদ দিতেন

বাইবেলের Satanic Verse এবং ভণ্ড মাসিহ =================================. আল কুরআন থেকে Satanic Verse বের করতে আর মুসলিমদের ঈমান নষ্ট করার জন্য খ্রিষ্টান ধর্ম প্রচারকরা কী প্রাণান্তকর প্রচেষ্টাটাই না চালায়।

তাই? সেটা আসলে বেশি প্রচলিত পেয়েছে মুসলমান সম্প্রদায়ের একজনের প্রচেষ্টার মাধ্যমে – সালমান রুশদি। সেট্যানিক ভার্স নিয়ে আমার বেশি ইন্টারেস্ট নেই।

কিন্তু তাদের ধর্মগ্রন্থ বাইবেল ভালোমত পর্যবেক্ষণ করলে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য বেরিয়ে আসে!

জাগো খ্রীষ্টান জাগো-৩

জাগো খ্রীষ্টান জাগো -3)

নবীর কিতাবে তাঁরই মৃত্যু ও কবরের গল্প

আমরা জানি যে, তাওরাত মূসা (আ)-এর উপর অবতীর্ণ। অথচ প্রচলিত তাওরাতের দ্বিতীয় বিবরণের ৩৪ অধ্যায়ে মূসা (আ)-এর মৃত্যু, দাফন, কবর. তার উম্মাতের ত্রিশ দিন শোক পালন এবং যুগের আবর্তনের মূসার কবরটি হারিয়ে যাওয়ার বর্ণনা রয়েছে।

একটি কিতাব যে শুধু একজনকে দিয়েই আল্লাহকে পাঠাতেই হবে, আমরা কি আল্লাহকে সেইভাবে সীমাবদ্ধ করতে পারি?…

ইয়াহিয়া ও ঈসা মসীহ

এখানে ইয়াহিয়ার বিষয়ে সেই দুই প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি:

প্রথম প্রশ্ন

ঈসা মসীহ বলেছেন মাতৃগর্ভ গর্ভ থেকে যতজন জন্মগ্রহণ করেছে ইয়াহিয়া সবচেয়ে মহান। তাহলে ইয়াহিয়া কি ঈসা মসীহের চেয়েও মহান?

এটা লেখা আছে মথি ১১:১১ আয়াতে:

“আমি আপনাদের সত্যিই বলছি, মানুষের মধ্যে তরিকাবন্দীদাতা ইয়াহিয়ার চেয়ে বড় আর কেউ নেই। কিন্তু বেহেশতী রাজ্যের মধ্যে যে সকলের চেয়ে ছোট সে-ও ইয়াহিয়ার চেয়ে মহান।” (মথি ১১:১১)

ঈসা মসীহ যে নতুন ব্যবস্থা (চুক্তি) চালু করেছিলেন তার মৃত্যু ও পুনরুত্থান দিয়ে, সেই নতুন ব্যবস্থার অপর নাম হল “আল্লাহর রাজ্য”। ঈসা মসীহ এখানে বলছে যে তরিকাবন্দীদাতা ইয়াহিয়া এতো মহান হলেও আল্লাহর রাজ্য যারা দেখতে পারবে তারা আরও ভাগ্যবান বা মহান। তরিকাবন্দীদাতা ইয়াহিয়া ঈসা মসীহের প্রচারকালে মারা গেলেন (মার্ক ৬:১৪-২৯) তাই তিনি আল্লাহর রাজ্যের পূর্ণতা দেখতে পায়নি। আল্লাহর রাজ্যে ঈসা মসীহ জনসাধারণদের মধ্যে গোনা হচ্ছে না (“মাতৃগর্ভ গর্ভ থেকে যতজন জন্মগ্রহণ করেছে”)। ইয়াহিয়া স্পষ্টভাবে বলেছিলেন যে ঈসা তার থেকে অনেক মহান:

“ইয়াহিয়া তাঁর বিষয়ে জোর গলায় সাসাক্ষ্য দিয়ে বললেন, “উনিই সেই লোক যাঁর বিষয়ে আমি বলেছিলাম, যিনি আমার পরে আসছেন তিনি আমার চেয়ে মহান, কারণ তিনি আমার অনেক আগে থেকেই আছেন।” (ইউহোন্না ১:১৫)

“এর জবাবে ইয়াহিয়া বললেন, “বেহেশত থেকে দেওয়া না হলে কারও পক্ষে কোন কিছুই পাওয়া সম্ভব নয়। 28 তোমরাই আমাকে বলতে শুনেছ যে, আমি মসীহ নই, কিন্তু আমাকে তাঁর আগে পাঠানো হয়েছে। 29 যার হাতে কন্যাকে দেওয়া হয়েছে, সে-ই বর। বরের বন্ধু দাঁড়িয়ে বরের কথা শোনে এবং তাঁর গলার আওয়াজ শুনে খুব খুশী হয়। ঠিক সেইভাবে আমার আনন্দও আজ পূর্ণ হল। তাঁকে বেড়ে উঠতে হবে আর আমাকে সরে যেতে হবে।যিনি উপর থেকে আসেন তিনি সকলের উপরে। যে দুনিয়া থেকে আসে সে দুনিয়ার, আর সে দুনিয়ার কথাই বলে। কিন্তু যিনি বেহেশত থেকে আসেন তিনিই সকলের উপরে। তিনি যা দেখেছেন আর শুনেছেন তারই সাক্ষ্য দেন, কিন্তু কেউ তাঁর সাক্ষ্য অগ্রাহ্য করে না। যে তাঁর সাক্ষ্য গ্রাহ্য করেছে সে তার দ্বারাই প্রমাণ করেছে যে, আল্লাহ্ যা বলেন তা সত্য। আল্লাহ যাঁকে পাঠিয়েছেন তিনি আল্লাহরই কথা বলেন, কারণ আল্লাহ্ তাঁকে পাক-রূহ্ মেপে দেন না। পিতা পুত্রকে মহব্বত করেন এবং তাঁর হাতে সমস্তই দিয়েছেন। যে কেউ পুত্রের উপর ঈমান আনে সে তখনই অনন্ত জীবন পায়, কিন্তু যে পুত্রকে অমান্য করে সে সেই জীবন কখনও পাবে না, বরং আল্লাহর গজব তার উপরে থাকবে। (ইউহোন্না ৩:২৭-৩৬)

তাই সংক্ষেপে:

  1. ১.

ইম্মানুয়েল ভবিষ্যদ্বাণী কি মিথ্যা?

প্রশ্ন:

জাতির কাছে এক কঠিন প্রশ্ন: বাইবেলের এই ভবিষ্যত বাণী কি মিথ্যা নয়? লজিকালি উত্তর দিবেন।

বাইবেলে ভবিষ্যত বাণী করা হয়েছিল যে, মরিয়মের ছেলের নাম রাখা হবে ইম্মানুয়েল। ইম্মানুয়েল অর্থ ” ঈশ্বর আমাদের সাথে”। আর যিশু অর্থ “অভিষিক্ত ত্রানকর্তা”। গস্পেল অফ মথি ১/২২,২৩ এ বলা হয়েছে,

“একজন অবিবাহিতা সতী মেয়ে গর্ভবতী হবে, আর তার একটি ছেলে হবে, তার নাম রাখা হবে ইম্মানুয়েল।”(মথি ১:২২,২৩)

বাইবেলে স্পষ্ট বলা হয়েছে তার নাম হবে ইম্মানুয়েল, যার অর্থ “ঈশ্বর আমাদের সাথে”। তাহলে মরিয়মের পুত্রের এমন এক নাম রাখা হবে যার নামের অর্থ হবে “ঈশ্বর আমাদের সাথে।” মরিয়মের পুত্রের নাম কি তাই রাখা হয়েছে যার অর্থ “ঈশ্বর আমাদের সাথে?”

ঈসা কয়টায় মারা গেলেন?

প্রশ্ন:

যীশু কয়টায় মারা গেলেন?

কোন খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রশ্ন করলে তারা জোরালো ভাবে একটাই উত্তর দেয় অবশ্যই, মারা গেছেন। তারা তখন বাইবেল থেকে লুক ২৩:৪৬ উদ্ধৃতি দেয়,

“যীশু চিৎকার করে বললেন, ‘পিতা আমি তোমার হাতে আমার আত্মাকে সঁপে দিচ্ছি৷’ এই কথা বলে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ফেললেন৷” (লূক ২৩:৪৬)

আসুন আজকে এই বিষয়ে আলোচনা করি। যদি আমি ধরে নেই ঈসা আঃ ক্রুশবিদ্ধ হয়ে মারা যান তাহলে সেটি কোন সময়?

ইউহোন্না ৫:৩১ – নিজের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য?

ইউহোন্না ৫:৩১—“নিজের বিষয়ে ঈসা মসীহ্‌র সাক্ষ্য সত্যি (ইউহোন্না ৮:১৪) নাকি সত্যি নয় (৫:৩১)?”

প্রথম অনুচ্ছেদে (৫:৩১), ঈসা মসীহ্ আলোচনার জন্য ইহুদী নিয়ম মেনেছেন, যে কোন কিছু প্রতিষ্ঠিত করতে হলে একাধিক সাক্ষ্যর দরকার (দ্বিতীয়বিবরণ ১৯)। এই যুক্তি মেনে তিনি বলছেন যে তার পক্ষে ইয়াহিয়া (যাকে এরা সম্মান করেন) এবং পাক-কিতাব দুজনই সাক্ষ্য দিচ্ছেন।

দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে (৮:১৪), তিনি বলছেন যে তা হলেও, তার নিজের সাক্ষ্য যথেষ্ট কারণ তিনি এক আল্লাহ্‌র জীবন্ত কালাম (ইউহোন্না ১:১), তিনিই সত্য (ইউহোন্না ১৪:৪) এবং তিনি মসীহ্।

তাই পঞ্চম অধ্যায় তিনি বলছেন যে মানুষের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী তার আত্মসাক্ষ্য অবৈধ হলেও, আমার পক্ষে আরও সাক্ষ্য রয়েছে…” কিন্তু ৮ অধ্যায়ে তিনি তার আত্মসাক্ষ্য বৈধতা প্রমাণ করেন। এখানে কোন পরস্পর-বিরোধী নেই।

ইউহোন্না ১:২১ – ইয়াহিয়া কি ইলিয়াস ছিলেন?

ইউহোন্না ১:২১—“তরিকাবন্দিদাতা ইয়াহিয়া কি ইলিয়াস ছিলেন (মথি ১১:১৪; ১৭:১৭:১০-১৩) নাকি তিনি ইলিয়াস ছিলেন না (ইউহোন্না ১:২১)?”

তরিকাবন্দিদাতা ইয়াহিয়া আক্ষরিক অর্থ ইলিয়াসের অবতার অবশ্যই ছিলেন না, কিন্তু তিনি নবী মালাখি এবং জিবরাইলের ভবিষ্যদ্বানী পূরণ করেছেন যে ইলিয়াসের মত একজন নবী এসে মসীহ্র পথ প্রস্তুত করবেন। ইয়াহিয়ার জন্মের আগে, জিব্রাইল ইয়াহিয়ার পিতা জাকারিয়ার কাছে এসে বললেন যে তার সন্তান “নবী ইলিয়াসের মত মনোভাব ও শক্তি নিয়ে সে মাবুদের আগে আসবে…লোককে সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত করবে।” (লূক ১:১৭)। জিব্রাইলের কথা অনেকটা নবী মালাখির কথা মত, যে মাবুদের দিনের আগে একজন ইলিয়াস এসে তার পথ প্রস্তুত করবে।

ফরীশীগণ এই ভবিষ্যদ্বানী ভুলব্যাখ্যা করে মনে করতেন যে ইলিয়াস নিজেই ফিরে আসবেন। তাই ইয়াহিয়া তাদের খুলাখুলি বললেন, যে তিনি সেই আক্ষরিক অর্থে ইলিয়াস নন। ঈসা মসীহ্ বরং বুঝতে পেরেছেন যে ইয়াহিয়া সেই ভবিষ্যদ্বানী পূরণ করেন যে ইলিয়াসের মত একজন আসবেন।

কোরআন শরীফে তেমন ধরনের জটিলতা রয়েছে। কোরআনের কিছু কিছু আয়াত কোন সাফায়াত পুরোপুরি অস্বীকার করেন (২:১২২-১২৩; ২:২৫৪; ৬:৫১; ৮২:১৮-১৯), আবার কিছু আয়াতে বলা হয় যে সাফায়াত সম্ভব হতে পারে (২০:১০৯; ৩৪:২৩; ৪৩:৮৬; ৫৩:২৬)।

লূক ১৪:২৬ – বাবা-মাকে ঘৃণা করা?

লূক ১৪:২৬—“ঈসা মসীহ্‌ কি এখানে বাবা-মাকে ঘৃণা করতে বলেছিলেন?”

উপরোক্ত প্রশ্ন থেকে বোঝা যায় সমালোচক প্রাচীন সাহিত্যের সাথে অপরিচিত। এই rhetorical device-কে বলা হয় hyperbole, এবং প্রাচীন লেখায় তা খুব বেশী দেখা যায়। ঈসা মসীহ্‌র যুগে সবাই বুঝেছিল যে তিনি আক্ষরিক ‘ঘৃণা’ বলেননি বরং “তুলনামূলক ভাবে চেয়ে কম ভালবাসা”। কিতাবুল মোকাদ্দেসের অন্যান্য জায়গায় এই hyperbole –এর উদাহরণ পাওয়া যায় যেখানে সুস্পষ্টই আক্ষরিক ঘৃণার কথা বলা হচ্ছে না বরং শুধু “তুলনামূলক ভাবে কম মহব্বত করা”, যেমন পয়দায়েশ ২৯:৩০-৩১। আরেকটি উদাহরণ আছে লূক ১৬:১৩:

“কোন গোলাম দু’জন কর্তার সেবা করতে পারে না, কারণ সে একজনকে ঘৃণা করবে ও অন্যজনকে ভালবাসবে, কিংবা সে একজনের প্রতি মনোযোগ দেবে ও অন্যজনকে তুচ্ছ করবে। আ্লাহ্ ও ধন-সম্পত্তি এই দু’য়েরই সেবা তোমরা একসংগে করতে পার না।” (লূক ১৬:১৩)

এখানে অবশ্যই আক্ষরিক ঘৃণা বোঝানো হচ্ছে না, কারণ তিনি সাধীনভাবে দু’জন মালিক পছন্দ করার কথা বলছেন। এই hyperbole–এর আরেকটি উদাহরণ দেওয়া যায় গ্রীক লেখা কোর্পুস হের্মেটিকুম থেকে:

“প্রিয় সন্তান, প্রথমে নিজের শরীরকে ঘৃণা না করলে নিজেকে মহব্বত করতে পারবে না” (পইমান্দ্রেজ ৪:৬)

Poetae Lyrici Graeci বইয়ের একটি যুদ্ধের গানে বলা হয়েছে যে মানুষ:

“স্পার্টা শহরের মর্জাদার জন্য নিজের জীবনকে নিজের শত্রু মনে করতে হবে”

এখানে আক্ষরিক ঘৃনা বলা হচ্ছে?…

লূক ৩:৩৫-৩৬—“কীনান নাকি আরফাখশাদ?”

লূক ৩:৩৫-৩৬—“শালেখের আব্বা কীনান (লূক ৩:৩৫) নাকি আরফাখশাদ (পয়দায়েশ ১১:১২)?”

এটা দুইভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। অনেকে বলেন যে পয়দায়েশে “জন্ম দেওয়া” এবং “পিতা” বোঝাতে হয় শুধু পিতা নয় বরং পিতার পিতা বা দাদা, এবং তাই কীনান ছিলেন শালেখের পিতা এবং আরফাখশাদ ছিলেন এর দাদা। এর সমর্থনে তওরাতের গ্রীক পাণ্ডুলিপি অনুযায়ী আরফাখশাদের বয়স ১৩৫ বছর ছিল যখন শালেখের জন্ম হয়।

আবার অনেকে বলেন যে লূক কিতাবের সবচেয়ে প্রাচীন পাণ্ডুলিপির মত বাড়তি কীনান দেওয়া উচিত না। এর সমর্থনে ঐতিহাসিক ফ্লাভিয়ুস যোসেফুস এবং জুলিয়স আফ্রিকানুস তাদের বংশতালিকায় দ্বিতীয় কীনান বাদ দিয়েছেন। এই ব্যাখ্যা অনুযায়ী, একজন প্রাচীন লেখক কিতাবের অনুলিপি করতে গিয়ে ভুল করে কীনানের নাম দুই বার লিখেছেন।

    ১.

লূক ১:৩২ – মসীহ্‌ কি দাউদের সিংহাসনের উত্তরাধিকারী?

লূক ১:৩২—“এই আয়াতের কথায়, ঈসা মসীহ্‌ ছিলেন বাদশাহ্‌ দাউদের সিংহাসনের উত্তরাধিকারী, কিন্তু ঈসা মসীহ্‌র পুর্বপুরুষ যিকনিয় (মথি ১:১১) বংশধরের শেষ রাজা হয়ে বহিষ্কৃত হয়েছেন (ইয়ারমিয়া ৩৬:৩০), তাই সেই সূত্র অবৈধ ।”

হযরত ঈসা মসীহ্‌র বংশ শুধু তার পিতা ইউসুফের মাধ্যমে নয় বরং তার মা মরিয়মের মধ্যেও (লূকের বংশতালিকা), এবং সেটা যিকনিয় ছাড়া অন্য এক লাইনে। আল্লাহ্‌র ফেরেশতা জিবরাইল আবার এই লাইনের বৈধতা সমর্থন করে বলেছেন: “মাবুদ আল্লাহ্ তাঁর পূর্বপুরুষ বাদশাহ্ দাউদের সিংহাসন তাঁকে দেবেন” (লূক ১:৩২)।