লূক ৯:৯ – হেরোদ এবং ইয়াহিয়া

লূক ৯:৯—“হেরোদ ঈসা মসীহ্‌কে ইয়াহিয়া মনে করতেন (মথি ১৪:২; মার্ক ৬:১৬) নাকি তিনি তা মনে করেননি (লূক ৯:৯)?”

লূক রাজা হেরোদের প্রথম প্রতিক্রিয়ার বর্ণনা দিয়েছেন (যে ঈসা ইয়াহিয়া নন), কিন্তু মার্ক এবং মথি হেরোদের শেষ মতামত বর্ণনা করেন। লূকের বর্ণনা থেকে বোঝা যায় যে হেরোদ ঈসার পরিচয় নিয়ে একটু অনিশ্চিত, কিন্তু মার্ক ও মথি অনুযায়ী তিনি শেষ সিদ্ধান্ত নেন যে ঈসা হচ্ছে মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত ইয়াহিয়া নবী।

সূরা বাকারা ২:৯৭ আয়াতে ‘কিতাব পরিবর্তন’

“সূরা বাকারা ২:৯৭ আয়াতে স্পষ্টভাবে আছে যে ইহুদী ও খ্রীষ্টানরা তাদের কিতাব পরিবর্তন করেছেন”

কোরআনে একটিমাত্র আয়াত আছে (২:৭৯), যাতে মনে হয় কিতাবীয় বিকৃতির কথা বলা হচ্ছে এবং যেটা পুর্ববর্তী-কিতাব বিরোধী সমালোচকদের মুখে প্রায়ই শোনা যায়:

“যখন তাহাদের [ইহুদীদের] একদল (فَرِيق ফারীক ) আল্লাহর বাণী [কোরআন] শ্রবণ করে অতঃপর তাহারা উহা বিকৃত করে, অথচ তাহারা জানে। … তাহাদের মধ্যে এমন কতক নিরক্ষর লোক আছে যাহাদের মিথ্যা আশা ব্যতীত কিতাব সম্বন্ধে কোন জ্ঞান নাই, তাহারা শুধূ অমূলক ধারণা পোষণ করে। সুতরাং দুর্ভোগ তাহাদের জন্য যাহারা নিজ হাতে কিতাব রচনা করে এবং তুচ্ছ মূল্য প্রাপ্তির জন্য বলে ,‘ইহা আল্লাহ্‌র নিকট হইতে’। তাহাদের হাত যাহা রচনা করিয়াছে তাহার জন্য শাস্তি তাহাদের এবং যাহা তাহারা উপার্জন করিয়াছে তার জন্য শাস্তি তাহাদের। (সূরা বাকারা ২:৭৫,৭৮-৭৯)

৭৫ আয়াত থেকে আমরা বুঝি যে, আলোচ্য “কিতাব”টি হচ্ছে কোরআন (আগের আমলের কিতাবগুলি নয়) যা ইহুদীরা বিকৃত করেছে। এই অনুচ্ছেদে মদিনার ইহুদীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে যে এরা নিজের স্বার্থে হযরত মুহাম্মদ(সাঃ)-এর কথা বিকৃত করতেন।

৭৮-৭৯ আয়াতে বলা হচ্ছে যে, ইহুদীদের মধ্যে অবস্থিত কিছু “নিরক্ষর” লোক নিজ হাতে গ্রন্থ লেখে সেটাকে আসমানী কিতাব হিসেবে তুচ্ছ মূল্যে বিক্রি করতেন। প্রথমেই একটি সরাসরি বিরোধ দেখা দিচ্ছে, যেহেতু নিরক্ষর অর্থই হচ্ছে লিখতে অসমর্থ!…

কোরআন অনুযায়ী কি খ্রীষ্টানদের কিতাব পরিবর্তন হয়েছিল?

“কোরআন বলে যে ইহুদী ও খ্রীষ্টানদের কিতাব পরিবর্তন করা হয়েছে”

value=”http://www.youtube.com/v/Geu_Qq-N2iQ&hl=id_ID&fs=1?version=3&autohide=1&rel=0″ > type=”application/x-shockwave-flash”wmode=”transparent”allowscriptaccess=”always”width=”100%”>

বেশ কয়েক জায়গায় কোরআন শরীফে ইহুদীদের (খ্রীষ্টানদেরকে নয়) সমালোচনা করা হয়েছে যে তারা কিতাব থেকে উদ্ধৃতি দেওয়ার সময় শব্দ বিকৃত করে (حُيَرِّفُونَهُ -২:৭৫), গোপন করে (৬:৬১, ২:১৪০), পড়ার সময় তাদের জিহ্বা দ্বারা বিকৃত করে (يَلْؤنَ السِنَتَهُم -৩:৭৮) এবং এমনকি তেলাওয়াত করার সময়ে এরা শব্দগুলি সঠিক স্থান থেকে পরিবর্তন করে বলে (حُيَرِّفُونَ الكَلِمَ عَنْ مَوَاضِعِهِ – ৫:১২-১৪)। উদাহরণস্বরূপ:

আর নিশ্চয় তাহাদের মধ্যে একদল লোক আছেই যাহারা কিতাবকে জিহ্বা দ্বারা বিকৃত করে যাহাতে তোমরা উহাকে আল্লাহ্‌র কিতাবের অংশ মনে কর, কিন্তু উহা কিতাবের অংশ নহে, এবং তাহারা বলে,‘উহা আল্লাহ্‌র পক্ষ হইতে’ ; কিন্তু উহা আল্লাহ্‌র পক্ষ হইতে নহে। (আলে-‘ইমরান ৩:৭৮)

কোরআন কিন্তু একবারের জন্যও বলে না যে, কিতাবের লিখিত কোন অংশ পরিবর্তন করা হয়েছে, বা আসল কিতাবগুলি আজকের কিতাবগুলি থেকে ভিন্ন। এর বদলে, ইহুদী ও খ্রীষ্টান কিতাবগুলি সম্বন্ধে কোরআনে অনেক ভাল কথা বলা হয়েছে:

“ইঞ্জিল অনুসারীগণ যেন আল্লাহ্‌ উহাতে যাহা অবতীর্ণ করিয়াছেন তদনুসারে বিধান দেয়। আল্লাহ্‌ যাহা অবতীর্ণ করিয়াছেন তদনুসারে যাহারা বিধান দেয় না , তাহারাই ফাসিক।” (সূরা মায়িদা ৫:৪৭)

“বল, হে কিতাবধারীগণ!…

জাকির নায়েকের যুক্তি কি নির্ভরযোগ্য?

দারুল উলুম দেওবন্দের দারুল ইফতা (ভারতবর্ষের শীর্ষস্থানীয় ইসলামী মাদ্রাসা) জাকির আব্দুল কারিম নায়েকের বিরুদ্ধে একটি আনুষ্ঠানিক ফতোয়া দিয়েছেন। ২০০৮ সালে এরা নায়েকের সম্বন্ধে বলেছেন—

“…একজন গাইর মুক্বাল্লিদীন প্রচারক …তার কথার উপর নির্ভর করা উচিত নয়”

“…তিনি নির্ভরযোগ্য নন, এবং মুসলমানদের তার কথা শোনা উচিত নয়।”

এরা আরো বলেন যে—

“…ভুল ধারণা ছড়িয়ে তিনি ইলম ও হিকমতের পথ থেকে সরে গেছেন এবং সরল মুসলমানদের ভ্রান্ত পথে নিয়ে যাচ্ছেন।”

আরো অনেক বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও ধর্মীয় নেতা জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে এই ধরনের বিরোধিতা প্রকাশ করেছেন। জুন ২০১০ সালে জাকির নায়েকের যুক্তরাজ্যে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা সমর্থন করেছে যুক্তরাজ্যের ২০লক্ষ সুন্নি মুসলমানদের প্রতিনিধিত্ব British Muslim Forum সংগঠন। মাওলানা আহমাদ নিসার বেগ কাদরি, ব্রিটিশ মুসলিম ফোরামের ভাইস-চেয়ারমান বলেন—

“Dr.

মসীহের বিষয়ে তুলনামূলকভাবে সুস্পষ্ট ভবিষ্যদ্বানী

আসুন আমরা হযরত মুহাম্মদের সম্পর্কে এইসব অসম্ভাব্য ভবিষ্যদ্বাণীগুলো, মসীহের সম্পর্কে তৌরাত, জবুর, এবং নবীদের কিতাবে পাওয়া কয়েকটি অকাট্য পরিষ্কার ভবিষ্যদ্বানীর সংঙ্গে তুলনা করি। আমরা প্রথমে ইশাইয়া কিতাবের ৫৩ অধ্যায়ের সেই বিখ্যাত ভবিষ্যদ্বাণী দিয়ে শুরু করবো। যারা ঈসা নবীর জীবনীর সঙ্গে সুপরিচিত, তাদের কাছে মসীহের বিষয়ে শত শত বছর আগে লেখা এই বর্ণনা কীভাবে হুবহু তার জীবনের সাথে মিলে যায় তা দেখলে সত্যিই আশ্চর্য লাগে:

আমাদের দেওয়া খবরে কে বিশ্বাস করেছে?

কিতাবুল মোকাদ্দস পরিচয়

আরবী ভাষায় ‘আল-কিতাবুল মোকাদ্দস’ (الكتاب المقدس)-এর অর্থ “পবিত্র গ্রন্থ” যেমন ল্যাটিন ভাষা থেকে “বাইবেল” শব্দের অর্থ শুধু “গ্রন্থ”। কিতাবুল মোকাদ্দসের মধ্যে রয়েছে চারটা খণ্ড:

১. তৌরাত শরীফ (হিব্রু ভাষায়: תורה, আরবীতে: التوراة)
অথবা ‘তওরাহ্‌’ হযরত মূসা (আঃ)-এর কিতাব২.

দা ভিঞ্চি কোড ও আসল ইতিহাস

দুঃখের ব্যাপার হল, অনেকে বুঝতে পারেনা যে, দা ভিঞ্চি কোড শুধুই একটি কাল্পনিক গল্প যা মানুষকে বিনোদন দিতে বই বিক্রি করতে লিখা হয়েছেএটি ইতিহাস নয়লেখক যাই দাবি করুক, এটি প্রচুর ঐতিহাসিক ভুল তথ্যে ভরাএমনকি ঈসায়ী বিশ্বাসের তীব্র প্রতিপক্ষ পযর্ন্ত লিখতে বাধ্য হন:

দা ভিঞ্চি কোড অবশ্যই প্রথম থেকে শেষ পযর্ন্ত বানানো, উদ্ভাবিত এবং নির্মিত কল্পসাহিত্য”।

যদি বইটি পড়ে থাকেন অথবা চলচ্চিত্রটি দেখা হয়ে থাকে তাহলে বইটির কোন অংশ বাস্তব আর কোন অংশ কাল্পনিক তা ভালোভাবে এখানে জানতে পারবেন

সূচিপত্র

ঈসা কি বিবাহিত ছিলেন?