ইউনুসের চহ্ন তিন দিন তিন রাত?
মথি ১২:৪০—(প্রথম প্রশ্ন) “ঈসা মসীহ বলেছিলেন যে তিনি কবরে তিন দিন এবং তিন রাত থাকবেন, কিন্তু তিনি করবে শুধু দুই রাত এবং পুরো এক দিন কবরে ছিলেন।”
ইঞ্জিলে বলা হয়নি যে ঈসা শুক্রবারে ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিলেন – বলা হয়েছে যে তিনি বিশ্রামবারের আগে “প্রস্তুতি দিবসে” ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিলেন। চলতি ধারণা ধরে নিয়েছে যে সেটা শুক্রবার, যেহেতু বিশ্রামবার সাধারণত শনিবারে হত। কিন্তু আসলে দুই ধরনের বিশ্রামবার হিল:
- সাপ্তাহিক সাধারণ বিশ্রামবার (সবসময় শনিবারে)
- “বিশেষ’ বা ‘মহাদিন’ বিশ্রামবারগুলো যেগুলো হিজরত ১২ ও লেবীয় ২৩ অধ্যায়ে বর্ণিত আছে; সেগুলো মসলমান ঈদের মত সপ্তাহের যেকোন দিনে পড়তে পারে।
ঈসা মসীহ কোন ধরনের বিশ্রামবারের আগে ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিলেন?…
মথি ৭:৬ – ‘কুকুর’ এবং ‘শূকর’?
<h2 class=”objection”>মথি ৭:৬—“ইঞ্জিল শরীফ কেমন করে অ-ঈমানদারদের বলতে পারে ‘কুকুর’ এবং ‘শূকর’? কোন নবী মানুষকে এমন গালি দিতেন না।”</h2>
এখানে ঈসা মসীহ্ সরাসরি কাউকে ‘কুকুর’ বা ‘শূকর’ বলেন নি, তিনি শুধু একটি তুলনা দিয়ে বোঝাচ্ছে যে, যারা শুনতে চায় না তাদের সঙ্গে সময় নষ্ট করা উচিত না, বরং করে যারা শুনতে প্রস্তুত তাদের কাছে যাওয়া উচিত (দেখুন ১০:১৪)। কোরআন শরীফও বিভিন্ন খারাপ জাতি বা মানুষকে পশুর সঙ্গে তুলনা করা হয়—“কুকুর” (৭:১৭৫-১৭৭), “পশু” (৮:২২,২৫), এবং “গাধা” (৬২:৫), এমনকি “বাঁদর” ও “শূকর” (৫:৬০)।
…
মথি ৫:৩৮-৩৯ – অন্য গালে মারতে দেওয়া বোকামি?
<h2 class=”objection”>মথি ৫:৩৮-৩৯—“অন্য গালে মারতে দেওয়া বোকামি”</h2>
কিছু কিছু লোক দাবি করেছিলেন যে মসীহ্র এই অহিংসার শিক্ষা অন্যায় এবং খারাপ। এটা অদ্ভুত একটি দাবি, যেহেতু সারা বিশ্বে এতো ব্যাপক যুদ্ধ, সন্ত্রাসীর, প্রতিশোধ এবং পালটা-আক্রমন দেখা যায়। অর্থাৎ বর্তমান সমাধানগুলোতে কোনো সমাধান কার্যকর হচ্ছে না, একটি বিকল্প সমাধান খোঁজ করা উচিত।<p>
ইঞ্জিল শরীফে বলা হয়েছে যে আল্লাহ্ সত্যিই শেষ বিচারে অন্যায়ের শাস্তি দেবেন। কিন্তু গোনাহ্গার মানুষ হিসাবে আল্লাহ্র হাতে শাস্তি রাখা উচিত। সমাজে ন্যায্যতা বজায় রাখার জন্য আল্লাহ্তা’আলা প্রশাসনের ব্যবস্থা করেছেন, কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমাদের প্রতিশোধ নেওয়া উচিত না। আমরা মন্দতাকে রুখে দাঁড়াবো অহিংসা, সততা এবং সাহস দিয়ে, বোমা এবং সন্ত্রাসী দিয়ে না। প্রতিশোধের বিপক্ষে মসীহ্র এই শান্তির শিক্ষা হাজার হাজার মানুষকে আকর্ষণ করেছে। <p>
ঈসা মসীহ্ বলেছিলেন, “আমারই শান্তি আমি তোমাদের দিচ্ছি; দুনিয়া যেভাবে দেয় আমি সেইভাবে দিই না।” (ইউহোন্না ১৪:২৭)। রাজনৈতিক নেতারা অনেক সময় রক্তাক্ত সংগ্রামের পরে শান্তির সমাজ প্রতিজ্ঞা করে থাকেন, কিন্তু রক্তপাত ছাড়া কোনকিছু প্রতিষ্ঠিত হয় না। ঈসা মসীহ্ অন্যরকম একটি শান্তি দিতে পারেন; এখনকার, স্থায়ী শান্তি। প্রতিশোধ এবং হিংস্রতা দিয়ে বিজয় আসতে পারে, কিন্তু স্থায়ী শান্তি সেভাবে আসে না।
…
মথি ১১:২ – ইয়াহিয়া ঈসাকে চিনতেন?
<h2 class=”objection”>মথি ১১:২—“তরিকাবন্দিদাতা ইয়াহিয়া এই ঘটনার আগে থেকেই ঈসাকে ‘মসীহ্’ হিসাবে চিনতেন (যেমন ইউহোন্না ১:৩২-৩৩), কিন্তু এই আয়াত অনুযায়ী তিনি তখনও মসীহ্কে চিনতে পারেননি।”</h2>
যখন ইয়াহিয়া নবী ঈসা মসীহ্কে তরিকাবন্দী দিয়েছিলেন, তিনি স্পষ্টভাবে দেখেছিলেন যে ঈসা সত্যই মসীহ্ ছিলেন। কিন্তু ইহুদী সমাজে সবাই চিন্তা করতেন যে মসীহ্ একজন রাজনৈতিক নেতা হবেন এবং সৈন্য নিয়ে রোমীয়দের তাড়িয়ে দিয়ে ইহুদীদের রাজনৈতিক মুক্তি লাভ করবেন। হযরত ইয়াহিয়া এরকম রাজনৈতিক উদ্ধার প্রত্যাশা করছিলেন, তাই এটা না দেখে তিনি একটু সন্দেহ করছিলেন।
…
মথি ১০:৩৪ – হিংস্রতার শিক্ষা?
<h2 class=”objection”>মথি ১০:৩৪—“এখানে ইঞ্জিল হিংস্রতার শিক্ষা দিচ্ছেন, কারণ ঈসা বললেন, ‘আমি শান্তি দিতে আসি নি বরং তলোয়ার’”</h2>
পরিবারের শুধু একজন সদস্য আল্লাহ্র পথে গেলে অবশ্যই অনেক দূঃখজনক অমিল সৃষ্ট হয় এবং অনান্য সদস্য সেই ব্যক্তির উপর অনেক চাপ এবং জুলুম দেয়। “তলোয়ার” দিয়ে ঈসা মসীহ্ রূপকভাবে এই অমিল বোঝাচ্ছে। লূক ১২:৫১ থেকে বোঝা যায় যে এই কথার অর্থ শুধু অমিল। একই ভাবে হিব্রু ৪:১২ আয়াতে ‘তলোয়ার’ (<span class=”greek”>μάχαιρα</span>) শব্দ রূপকভাবে শুধু ‘অমিল’ বোঝাচ্ছে।<p>
ঈসা মসীহ্ যে তলোয়ারের হিংস্রতা উৎসাহিত করছেন তার কোন প্রশ্নই আসে না—ঈসা কোনদিন তলোয়ার ব্যবহার করেন নি এবং তার সাহাবীদের হিংস্রতা থেকে দূরে থাকার হুকুম দিয়েছিলেন:<blockquote>“ছোরা যারা ধরে তারা ছোরার আঘাতেই মরে।“ (মথি ২৬:৫২)</blockquote>
<p>এমনকি, ঈসায়ী জামাতের প্রথম দুই শতাব্দী ধরে তারা সব রকম হিংস্রতার এতো বিপক্ষে ছিলেন যে রোমীয় সমাজ তাদেরকে এইজন্য তুচ্ছ করতেন। তারা অত্যাচারিত হলেও অনেক বৃদ্ধিলাভ করলেন এবং কখনও প্রতিশোধ নেননি বা কোন রাজনৈতিক আন্দোলন করেননি। ঈসা নিজেই বললেন,<blockquote>ঈসা বললেন, “আমার রাজ্য এই দুনিয়ার নয়। যদি আমার রাজ্য এই দুনিয়ার হত তবে আমি যাতে ইহুদী নেতাদের হাতে না পড়ি সেইজন্য আমার লোকেরা যুদ্ধ করত; কিন্তু আমার রাজ্য তো এখানকার নয়।” (ইউহোন্না ১৮:৩৬)</blockquote><p>
“তোমরা শুনেছ, বলা হয়েছে, ‘চোখের বদলে চোখ এবং দাঁতের বদলে দাঁত।’ কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, তোমাদের সংগে যে কেউ খারাপ ব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে কিছুই কোরো না; বরং যে কেউ তোমার ডান গালে চড় মারে তাকে অন্য গালেও চড় মারতে দিয়ো।” (মথি ৫:৩৯,৪০)</p>
হিংস্রতার বিষয় সম্পর্কে আরও পড়ুন : “<a href=”https://www.unchangingword.com/হিংস্রতা/”>here</a>.…
মথি ১০:৯ – লাঠি ছিল?
মথি ১০:৯—“ঈসা মসীহ্ তার সাহাবীদের লাঠি আনতে অনুমতি দিয়েছিলেন (মার্ক ৬:৮) বা নিষেধ করেছিলেন (মথি ১০:৯)?”
ঈসা মসীহ্ তাদের বলেছিলেন যেন তারা নতুন লাঠি ‘জোগাড় করতে’ (κτήσησθε) সময় নষ্ট করে না, কিন্তু হাতের কাছে একটি থাকলে তা নিয়ে নেওয়ার অনুমতি ছিল। অর্থাৎ, যাত্রার জন্য বাড়তি জিনিসপত্র খোঁজে পাওয়ার দরকার ছিল না—তারা যে অবস্থায় ছিল, সেই অবস্থায় যাওয়া উচিত, কোনো বাড়তি জিনিসপত্র কিনবেন না কারণ মাবুদ জোগাড় করবেন।
…
মথি ৯:১৮ – মেয়েটি মারা গেছে?
মথি ৯:১৮—“যায়ীর ঈসাকে কী বলেছিলেন – যে তার মেয়ে “এইমাত্র মারা গেছে” নাকি “মারা যাবার মত হয়েছে” (মার্ক ৫:২৩)?”
সম্ভবত যায়ীর উভয় কথাই বলেছিলেন— প্রথম “আমার মেয়ে মারা যাবার মত হয়েছে”, এবং এই কথা বলার পরপরই বাড়ী থেকে খবর আসল যে তার মেয়ে “এইমাত্র মারা গেছে”।
আবার হয়ত তিনি প্রথমে ঈসার কাছে স্বীকার করতে চাননি যে তার মেয়ে গারা গেলেন, যেন ঈসা চলে আসে। কিন্তু বলতে বলতে তিনি সাহস পেয়ে খুলাখুলিভাবে স্বীকার করলেন যে মেয়েটি মারা গিয়েছিলেন।
…
ঈসার শিক্ষা অনুযায়ী কি শরিয়ত দ্বারা নাজাত পাওয়া যায়?
ঈসা মসীহের অন্যান্য ভূমিকা এড়ানোর জন্য দুএকটি আয়াতের ভিত্তিতে (মথি ৫:১৭, মথি ১৯:১৬-৩০) বলা হয় যে তিনি শুধু শরিয়ত সমর্থন করতে আসলেন। এটাই তাদের অভ্যাস— দুএকটি আয়াত ভুল-ব্যাখ্যা করা এবং বাকি ৯৯ আয়াত অবহেলা করা। তাই আসুন, আমরা তৌরাত থেকে শুরু করে ভালভাবে দেখব কিতাবুল মোকাদ্দসে নাজাত এবং শরিয়তের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করি:
তৌরাত শরীফে নাজাত
হযরত ঈসা যখন বার বার বললেন যে নাজাত শরিয়তের মাধ্যমে অর্জন করা যায় না বরং রহমতের মাধ্যমে আসে, এটা কোন নতুন শিক্ষা ছিল না বরং তৌরাত এবং নবীদের কিতাবের শিক্ষার সঙ্গে মিলে যায়। তৌরাত শরীফ থেকে বলা হয়েছে যে নাজাত আসবে একজন ‘মসীহ্’ এর মাধ্যমে। পয়দায়েশে বলা হয়েছে যে ইবরাহিম “মাবুদের কথার উপর ঈমান আনলেন আর মাবুদ সেইজন্য তাঁকে ধার্মিক বলে গ্রহণ করলেন।” (পয়দায়েশ ১৫:৬)—তার ঈমানের জন্য, প্রচেষ্টার জন্য নয়।
হযরত মূসার শরিয়তে, এমন কথা কোথাও বলা হয় নি যে ‘এই শরিয়ত পালন করলে বেহেশতে যাওয়া যাবে’:
“বনি-ইসরাইলরা, তোমরা আমার কথা শোন এবং সতর্ক হয়ে এই সব মেনে চল, যাতে দুধ আর মধুতে ভরা সেই দেশে যাবার পরে তোমাদের পূর্বপুরুষদের মাবুদ আল্লাহ্র ওয়াদা অনুসারে তোমাদের উন্নতি হয় আর তোমরা সংখ্যায় অনেক বেড়ে উঠতে পার।”(দ্বিতীয়বিবরণ ৬:৩)
বনি-ইসরাইলীয়দের জন্য মূসার শরয়িত পালনের পুরস্কার বেহেশত নয়, বরং প্যালেষ্টাইনে শান্তি ও সফলতা। আবার এই শরিয়তের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল পাপ সম্বন্ধে চেতনা, যেন আমরা বুঝতে পারি যে আল্লাহ্র ইচ্ছা কী কী এবং যে আমরা তা পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পালন করচ্ছি না।
জবুর শরীফে নাজাত
প্রথমত, দাউদ নবীর জবুর শরীফে বলা হয় যে আল্লাহ্র সামনে সকল মানুষ গুনাহ্গার এবং নাজাত পাওয়ার অযোগ্য:
“আমার অন্যায়ের মধ্যে আমি ডুবে গেছি;
তা এমন বোঝার মত হয়েছে যা আমি বইতে পারি না।” (জবুর ৩৮:৪)
“তোমার এই সেবাকারীর বিচার কোরো না,
কারণ তোমার চোখে কোন প্রাণীই নির্দোষ নয়।” (জবুর ১৪৩:২)
“তুমি আমার গুনাহের দিকে চেয়ে দেখো না;
আমার সমস্ত অন্যায় তুমি মাফ কর।” (জবুর ৫১:৯)
“আমার অন্তর নীরবে কেবল আল্লাহ্র অপেক্ষা করছে,
কারণ তিনিই আমার উদ্ধারকর্তা।
কেবল তিনিই আমার উঁচু পাহাড় আর আমার উদ্ধার;
তিনিই আমার কেল্লা আমি সম্পূর্ণভাবে পরাজিত হব না।” (জবুর ৬২:১,২)
“হে মাবুদ, তুমি যদি অন্যায়ের হিসাব রাখ,
তবে হে মালিক, কে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে?
…
মথি ৪:১৮-২২ – গালীল সাগরের তীরে নাকি জর্দান নদীর কাছে?
মথি ৪:১৮-২২—“ঈসা মসীহের সঙ্গে পিতর ও আন্দ্রিয়ের প্রথম দেখা হয়েছে গালীল সাগরের তীরে নাকি জর্দান নদীর কাছে (ইউহোন্না ১:৪২-৪৩)?”
এই দুটি আয়াতে এমন কথা কোথাও স্পষ্টভাবে লেখা হয় নি যে এই সময় ছিল তাদের প্রথম সাক্ষাৎ। সম্ভবত ইউহোন্নাতে এদের প্রথম সাক্ষাতের ঘটনার কথা বলা হয়েছে, এবং মথিতে গালীল সাগরের কাছে দ্বিতীয় সাক্ষাতের কথা বলা হয়েছে। নাহলে তো এমনভাবে অপরিচিত ব্যক্তিকে ডাকা অদ্ভুত হত যদি তাদের আগে থেকে সম্পর্ক না থাকত। জর্দান নদীর কাছে ঈসা মসীহ্ আগেই তাঁর চরিত্র, কুদরতী কাজ ও শিক্ষা তাদের কাছে দেখিয়েছিলেন, যার কারণে তারা পরে গালীল প্রদেশে বিনাপ্রশ্নে ঈসার ডাকে সারা দিয়েছিলেন।
…
মথি ৪:৮ – পৃথিবী সমতল?
মথি ৪:৮—“এখানে বলা হয়েছে যে পৃথিবী সমতল, কিন্তু পৃথিবী গোলাকার।”
সমালোচক যদি ভালভাবে পড়লেন, তিনি লক্ষ্য করতেন যে এটা আসলে এক মুহূর্তের মধ্যে একটি অলৌকিক দর্শন, যেমন লূক ৪:৫ আয়াতে স্পষ্ট আছে: “এর পরে ইবলিস তাঁকে একটা উঁচু জায়গায় নিয়ে গেল এবং মুহূর্তের মধ্যে দুনিয়ার সব রাজ্যগুলো দেখালো…”। লূক এবং মথি অবশ্যই মনে করেননি যে রোম শহর একটি উঁচু পাহাড় থেকে দেখা যাবে—এরা বরং একটি অলৌকিক দর্শনের কথা বলেছিলেন। একই মাপকাঠিতে আমরা প্রশ্ন করতে পারি কেমন করে নবীজীর মি’রাজ হল, কেমন করে তিনি ‘বুরাক’ নামের এক স্বর্গীয় বাহন চড়ে জেরুজালেমে গেলেন। কোরআনেও কিছু আয়াত আছে যেগুলো আপাত দৃষ্টিতে সমতল পৃথিবীর কথা বলে—
“এবং আকাশের প্রতি লক্ষ্য করে না যে, তা কিভাবে উচ্চ করা হয়েছে?
…