খৃষ্টান ধর্মের পাপমোচন বিশ্বাস

খৃষ্টান ধর্মের পাপমোচন বিশ্বাস ও তার অসারতার প্রমাণ ৷

ধারণাঃ– খৃষ্টানধর্মের অন্যতম একটি গুরুত্ব পূর্ণ বিশ্বাস হলো, প্রায়শ্চিত্তে বিশ্বাস বা পাপ মোচন বিশ্বাস এই বিশ্বাসটাকে খৃষ্টান ধর্মের প্রাণ বলা হয় । এ বিশ্বাসের সারকথা হলো, আদম ও হাওয়া আল্লাহ কর্তৃক নিষিদ্ধ গাছের ফল খেয়ে পাপ করেছিলেন। আর মানুষ যেহেতু তাদেরই বংশধর, তাই তাঁরা পাপী হওয়ার কারণে তাঁদের সন্তানগণ ও পাপী এবং কিয়ামত পর্যন্ত যতো মানুষ দুনিয়াতে আসবে, সবাই পাপী , এখন দুইটি বিষয় দেখা দিল।

১/ আল্লাহ ন্যায় বিচারক অপরাধী কে পাপের শাস্তি না দিলে? আল্লাহ ন্যায় বিচারক থাকেন না।

আপনার কাছে একটি প্রশ্ন – ১০০% সম্পূর্ণ ন্যায়বিচার মানে অপরাধের ন্যায় শাস্তি থেকে একটুও সরে না যাওয়া, তাই না? অপরাধীকে যে যোগ্য শাস্তি দেওয়া উচিত সেই শাস্তি একটুও কমিয়ে না দেওয়া মানে ন্যায়বিচার। আর ‘রহমত’ বা ‘দয়া’ বলতে কী বোঝায়? আমাদের প্রাপ্য শাস্তি কমিয়ে দেওয়া না?

সহীহ হাদিসে আছে যে আল্লাহর রহমত ছাড়া কেউই বেহেশতে যেতে পারে না। তার মানে সম্পূর্ণ ন্যায়বিচারের রাস্তায় আমাদের কাজের মাধ্যমে আমরা বেশেহত অর্জন করতে পারব না। কিন্তু এই দুটি জিনিস কীভাবে একসঙ্গে থাকতে পারে? হয় আল্লাহ ১০০% ন্যায়বিচারক হবেন, না হয় রহমত দেখাবেন।

ঈসা মসীহের মাধ্যমে এই জটিলয়া কেটে যায়, কারণ বিচারক নিজেই অপরাধীর ঋণ দিয়েছে, শাস্তির ন্যায় দাবি নিজের উপরে নিয়েছে। এইভাবে ন্যায়বিচারও পূর্ণ হল, রহমতও দেখানো হল।

বাইবেলে পাপের শাস্তির কথা বহুবার লেখা আছে, সেটা হচ্ছে সাধারণ নিয়ম। কিন্তু যদি আমরা প্রকৃতভাবে তওবা করে চলি তাহলে ঈসার কাফফারার মাধ্যমে রহমত পাওয়া যায়।

২/ অন্য দিকে মানুষ কে আল্লাহ অনেক ভাল বেসে সৃষ্টি করেছেন, এবং তিনি চান না? তারা জাহান্নামী হোক। আবার সকলে আদমের সন্তান হওয়ার কারণে সকলেই পাপী, …. তাই এমন এক জন ব্যক্তির দরকার ছিল? যিনি স্ব ইচ্ছায় নিজের জীবন বিলিয়ে বা কুরবানী দিয়ে মানুষে কে এই পাপ থেকে মুক্ত করবেন …

তাই আল্লাহ ,নিজের প্রিয় পুত্র যীশু কে পাঠালেন এই পাপ থেকে মুক্ত করার জন্য। .. এ সম্পর্কে বাইবেলে বলা হয়েছে, ঈসা ক্রুশের উপর নিজের শরীরে আমাদের পাপের বোঝা বইলেন (১পিতর ২/২৪,২৫) যে এর উপর বিশ্বাস করবে, তার বিচার হবেনা ,, ….মার্টিন লুথার লিখেছেন, যদি তুমি হাজার হাজার বার পাপ করো ব্যভিচার করো ও নর হত্যা করো, কোন দোষ নেই শুধু মাত্র তোমার বিশ্বাস খাঁটি থাকলেই হবে যে, ঈসা তোমার পাপ বহন করেছে, (ক্যাথলিক হেরাগু ২৭৭ পৃষ্ঠা )

আমরা কি মার্টিন লুথারের বিশ্বাস নিয়ে আলোচনা করছি না কি বাইবেলের শিক্ষা? এই আলোচনায় ইঞ্জিলের উদ্ধৃতি দেওয়া বেশি যুক্তিসঙ্গত, কারণ সেটা আমাদের বিশ্বাসের ভিত্তি, মার্টিন লুথারের শিক্ষা না।

হয়তো এত দিনে বইটা খৃষ্টানরা উধাও করে দিয়েছে,, উপরের আলোচনা থেকে আমরা পেলাম। (ক) আদম পাপ করার কারণে সকল আদম সন্তান পাপী।

মূল বিষয় আদমের পাপ নয়, মূল বিষয় হচ্ছে যে প্রত্যেক ব্যক্তি পাপী। আপনি নিজের অন্তর পরীক্ষা করে দেখে বুঝতে পারবেন যে আপনার মধ্যেও পাপ আছে। আমাদের চোখে যেটা ‘হালকা’ পাপ মনে হয় খাঁটি পবিত্র আল্লাহ্‌র কাছে সেটাও
চরম শাস্তির যোগ্য, কারণ আল্লাহর পবিত্রতাও চরম।

(খ) পবিত্র রক্ত ছাড়া আল্লাহ পাপীদের ক্ষমা করেন না।

আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন, কিন্তু ন্যায়বিচারের পাশাপাশি তার রহমত ও ভালোবাসা প্রকাশ করার জন্যই তিনি ঈসা মসীহের মাধ্যমে কাফফারার ব্যবস্থা করেছেন।

(গ) ঈসা আমাদের আদি পাপের বিনিময় হিসাবে নিজে স্ব ইচ্ছায় পবিত্র রক্ত দিয়েছেন।

ঠিক – শুধু ‘আদি’ পাপ নয়, আমাদের পাপ।

(ঘ) ঈসার কুরবানীর মাধ্যমে সকলআদম সন্তান মুক্তি লাভ করেছে।

সেই কুরবানির মাধ্যমে নাজাতের উপহার পাওয়ার সর্ত আছে – সেটা পেতে হলে তওবা করে ঈসা মসীহের মাধ্যমে আল্লাহ্‌র পথে চলতে হয়, অর্থাৎ ঈসাকে প্রভু বা উস্তাদ হিসেবে তাকে অনুসরণ করতে হয়। ইঞ্জিলের শিক্ষা অনুযায়ি কেউ যদি মন
কঠিন করে চলে তাহলে সে নাজাত পাবে না।

(ঙ) শিশু, কিশোর-কিশোরী সবাই পাপী। কেননা তারা সকলে আদম সন্তান।

না, আমরা পাপী কারণ আমরা পাপ করি। আদমের দোষ বড় না, নিজেরই দোষ বড়। শিশুদের ক্ষেত্রে বাইবেলে ইঙ্গিত আছে যে তাদের ভালো-মন্দ জ্ঞান হওয়ার আগে মারা গেলে আল্লাহ তাদের বিচার করে না।

অসারতা প্রমাণের পূর্বে দুটি কথা

(ক) প্রথম কথা হল মুসলমানদের স্পষ্ট বিশ্বাস হচ্ছে, কেউ কারোর পাপের বোঝা বহন করবেনা, করতে পারেনা এ বিষয়টি পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ পরিষ্কার করে দিয়েছেন।

  • সুরা আনআম ১৬৪ নং আয়াত
  • সুরা বনিইসরীঈল ১৫ নং আয়াত
  • সুরা ফাতির ১৮ নং আয়াত
  • যুমার ৭ নং আয়াত
  • সুরা নাজম ৩৮ নং আয়াত

এই ব্যাপারে আগে বিস্তারিত লিখেছি অন্য উত্তরে।

(খ) আদম আঃ কে, আল্লাহ দুনিয়াতে পাঠানোর পূর্বেই ক্ষমা করে দিয়ে ছিলেন অতএব আদি পাপের প্রশ্নই উঠেনা। (২/৩৭ নং আয়াত)

আপনি খ্রিষ্টধর্মে ‘আদি পাপ’ মতবাদ ভুল বুঝেছেন। সেটার মানে এই না যে সকলকিছু আদমের দোষ, তার মানে আদম থেকেই আমরা সবাই পাপ করি। তাই মূল দোষ আদমের নয় বরং নিজেরই।

পাপমোচন বিশ্বাস, অসারতার প্রমাণ
********************************
সম্পূর্ণ মিথ্যা ও অবাস্তব একটি কথাকে খৃষ্টানগন ধর্মীয় বিশ্বাস বানিয়েছেন। যা
(ক) যুক্তির আলোকে
(খ)বাইবেলের আলোকে (সম্পূর্ণ ভাবে অসার প্রমাণিত হয় আমরা এই তিনটি পয়েন্টে আলোচনার মাধ্যমে অসারতা প্রমাণ করবো ।
*যুক্তির আলোকে অসারতা *
এর থেকে অযুক্তিক আর কোন বিশ্বাস থাকতে পারেনা এটা অযুক্তিক ওয়ার কয়েকটি কারণ।

(ক) পাপী আদমের, সন্তান হওয়ার কারণে যদি? সমস্ত মানুষ পাপী হয় তাহলে যীশু ও পাপী , কারণ যীশু কে ও বাইবেলে আদম সন্তান বলা হয়েছে, তাহলে যীশু ও পাপী যেমন” (মথি ১৭/১৩) 12 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, এলীয় এসে গেছেন, আর লোকে তাকে চেনেনি৷ লোকেরা তাঁর প্রতি যাচ্ছেতাই ব্যবহার করেছে৷ মানবপুত্রকেও তাদের হাতে
সেই একই রকম নির্যাতন ভোগ করতে” হবে।

এ ছাড়া ও অসংখ্যা স্থানে বলা আছে (মথি ১৭/১২, ৮/২০, ৯/৬,১৬/১৩,২৭,১৭/৯,১২,২২,১৮/১১,১৯/২৮,২০/১৮,২৮,২৪/২৭,২৬/২৪,৪৫,৪৬)

আপনার যুক্তি ভুল প্রকাশ পাচ্ছে যে আপনি ‘আদি পাপের’ বিষয়টা বুঝতে পারেন নি। আমরা পাপী কারণ আমরা পাপ করে থাকি। তবুও, একমাত্র ঈসা বিনা পিতায় জন্মগ্রহণ করেছেন, এইজন্য এক দিকে তিনি আদমের সন্তান নয়। হাদিসে এর ইঙ্গিতও
আছে, যে সকল মানুষের শয়তানের ছুঁয়া আছে। এবং কোরআন ও বাইবেলে পরিষ্কার আছে যে একমাত্র ঈসাই নিষ্পাপ ছিলেন।

(খ) যীশু পাপ না করেই? শাস্তি পোহালেন, এতে কি আল্লাহ ন্যায় বিচারক প্রমাণিত হলেন?

বিচারক যদি নিজেই শাস্তি ঋণ শোধ করতে চান, তার অধিকার আছে, বিশেষ করে যদি তিনি ন্যায়বিচারের স্রষ্টা হয়ে থাকে।

(গ) খৃষ্টান্দের বিশ্বাস অনুযায়ী যীশু ঈশ্বর, আবার সে যীশুই মানুষের পাপ বহন করলেন। এটা কোন ধরণের যুকস? ঈশ্বর নিজেই মানুষের পার বহন করে কষ্ট ভোগ করলেন?

হ্যাঁ, সেটা ঈসায়ী বিশ্বাস এবং কিতাবের শিক্ষা, আল্লাহর ভালোবাসার প্রকাশ।

(ঘ) আপনাদের বিশ্বাসের এই যুক্তি অনুযায়ী, যদি কোন খুনি,খুন করার পরে বিবাহ করে? তার পর যত সন্তান জন্ম হয়েছে, তাদের সকল কেখুনা ধরা হবে কারণ আপনারাই বলেছেন যে, আদমের পাপের কারণে
সকল আদম সন্তান পাপী,তাহলে কেন? খুনির সন্তান খুনি হবে না?

আপনার সকল অভিযোগের মূলে শুধু আদমের আদি পাপ সম্বন্ধে আপনার ভুল ধারণা। এই ব্যাপারে তিনবার লিখেছি, আবার লেখার প্রয়োজন নেই।

আর বেশী যুক্তি দিলাম না
(ঙ) যদি আদম সন্তান হওয়ার কারণেই পাপী হয়? তাহলে শিশুরা ও পাপী এখন কথা হলো,
যদি কোন ছোট বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর মারা যায়? সে শিশু কি জাহান্নামে যাবে? কারণ সে তো যীশুর প্রতি ঈমান আনার আগেই মারাগেল, অন্য দিকে সে আদম সন্তান হওয়ার কারণে পাপ বহন করছে?

আমি এর আগে লিখেছি যে বাইবেলে ইঙ্গিত আছে যে শিশুদের ভালো-মন্দ জ্ঞান পাওয়ার আগে মারা গেলে তারা বেহেশতে যাবে।

(চ) হাজার হাজার কোটি মানুষের শাস্তি, এক জনেক দ্বারা শোধ হওয়া? এটা কেমন যুক্তি?

…আবার একই ভুল ধারণা। আমি এখানে উত্তর শেষ করছি কারণ দেখছি বার বার শুধু একই ভুল যুক্তিগুলো দিচ্ছে।

(ছ) আমরা জানি? কোন জিনিস স্ব ইচ্ছায় কুরবানী না দিলে? সেটা আল্লাহর নিকট গ্রহণীয় হয়না। আমরা যদি বাইবেল পড়ি ? তাহলে ও দেখি যে, যীশু স্ব ইচ্চায় ক্রুশ আরোহন করেন নি। তাহলে যীশুর কুরবানীই যদি কবুল না হয়? তাহলে আদি পাপ মাফ হবে কেমনে? প্রমাণ সমূহ মথি ২৬:৩৭-৩৯:

37 “এরপর তিনি পিতর ও সিবদিয়ের দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে চলতে থাকলেন৷ যেতে যেতে তাঁর মন উদ্বেগ ও ব্যথায় ভরে গেল, তিনি অভিভূত হয়ে পড়লেন৷ 38 তখন তিনি তাদের বললেন, “দুঃখে আমার হৃদয় ভেঙ্গে যাচ্ছে৷ তোমরা এখানে থাক আর আমার সঙ্গে জেগে থাকো৷” 39 পরে তিনি কিছু দূরে গিয়ে মাটিতে উপুড় হয়ে পড়ে প্রার্থনা করে বললেন, কিন্তু তোমারই ইচ্ছা পূর্ণ হোক্৷” 40 এরপর তিনি শিষ্যদের কাছে ফিরে গিয়ে দেখলেন, তাঁরা ঘুমাচ্ছেন৷ তিনি পিতরকে বললেন, “একি! তোমরা আমার সঙ্গে এক ঘন্টাও জেগে…” (মথি ২৬:৩৭-৩৯)

বিশ্লেষণঃ-
এখানে লক্ষ্য করুন, যীশু নিজের কথা থেকে বুঝা যায়? যে , সে ক্রোশ আরোহনে রাজি ছিলেন না। তাহলে বুঝাগেল যীশু আমাদের পাপ ও বহন করেন নি, কারণ স্ব ইচ্ছায় কুরবানী না দেওয়ার কারণে তার কুরবানী হয়নি। এখন কি হবে? এ সম্পর্কে আরো বুঝতে দেখুন:

  • মার্ক ১৪/৩২-৪২
  • লূক ২২/৩৯
  • মার্ক ১৪/৩৫-৩৬
  • যোহন ১৮/৩৬
  • মথি ৭/২১-২৩ ইত্যাদি

(১৪ নং পর্ব)
বাইবেলের আলোকে অসারতা.. * নতুন নিয়মের আলোকেঃ-* ১নং যীশুর বক্তব্য দ্বারা //মথি ১৮/১-৩ শ্লোক
1 সেই সময় যীশুর শিষ্যরা তাঁর কাছে এসে বললেন, “প্রভু, স্বর্গরাজ্যের মধ্যে শ্রেষ্ঠ কে?”
2 তখন যীশু একটি শিশুকে ডেকে তাঁদের মধ্যে দাঁড় করিয়ে বললেন, 3 “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যতদিন পর্যন্ত না তোমাদের মনের পরিবর্তন ঘটিয়ে এই শিশুদের মতো হবে, ততদিন তোমরা কখনই স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে না৷ 4 তাই, যে কেউ নিজেকে নত-নম্র করে শিশুর মতো হয়ে ওঠে, সেই স্বর্গরাজ্যের মধ্যে শ্রেষ্ঠ৷//

বিশ্লেষণঃ
এখানে লক্ষ্য করুন, যীশু তার শিষ্যদের শিশুর মত হতে বল্লেন এবং স্বর্গ রাজ্যে ঢুকার জন্য তাদের মত হতে হবে? এ কথা ও বল্লেন, যদি শিশুরা আদম সন্তান হওয়ার কারণে পাপী হতেন? তাহলে যীশু কেন? স্বর্গ রাজ্যে ঢুকার জন্য, তাদের মত হতে বল্লেন?

২নং (মথি ১৯/১৪-১৫)
শিষ্যরা তাদের ধমক দিলেন৷ 14 তখন যীশু তাদের বললেন, “ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের বাধা দিও না, ওদের আমার কাছে আসতে নিষেধ করো না; এদের মতো লোকদের জন্যই তো স্বর্গরাজ্য৷” 15 এরপর যীশু সব ছেলেমেয়েদের মাথায় হাত রাখলেন, তারপর তিনি সেখান থেকে চলে গেলেন৷

বিশ্লেষণঃ-
এখানে স্পষ্ট ভাবেই বুঝা যাচ্ছে? যে শিশুরা নিষ্পাপ যদি শিশুরা পাপী হতো? তাহলে যিশু কেন বল্লেন? যে, এদের মত লোকদের জন্যই স্বর্গ ?
*পুরাতন নিয়মের আলোকঃ*

দ্বিতীয় বিবরণী ২৪/১৬