খ্রিষ্টানদের পবিত্র বাইবেল কি ধর্ষক তৈরি করে?
বাইবেল স্বামীহারা নারীকে তার দেবরের সাথে সেক্স করার অনুমতি দেয়
বাইবেল অনুযায়ী কারো ভাই মারা গেলে জীবিত ভাইয়ের দ্বায়িত্ব হচ্ছে ভাবির সাথে সহবাস করে তাকে সন্তান প্রদান করা। যাকোবের ছেলে এহুদার পরিবারে এরুপ ঘটনা ঘটেছিল। বড় ছেলে মারা গেলে মেজ ছেলে ওনানকে এহুদা আদেশ করেন ভাবির সাথে শয়ন করে দেবরের দ্বায়িত্ব পালন করা এবং তাকে সন্তান উপহার দেওয়া। বাইবেলের রিভাইজড স্ট্যান্ডার্ড ভার্সনে বলা হয়েছে:“Go in to your brother’s wife and perform the duty of a brother in law to her and raise up offspring for your brother.” অর্থাৎ “তুমি তোমার ভাইয়ের বউয়ের নিকট গমণ কর এবং তার প্রতি দেবরের দ্বায়িত্ব পালন কর এবং তোমার ভাইয়ের জন্য বংশ (অর্থাৎ সন্তান) উতপন্ন কর।” (আদিপুস্তক ৩৮:৮-৯)
এখানে আরেকটা বিষয় ক্লিয়ার করা দরকার। ওনান যখন দেখলেন যে, কষ্ট করে সন্তান দেবেন তিনি, কিন্তু সন্তান তার পরিচয় পাবেনা, বরং তার মৃত ভাইয়ের সন্তান হিসেবেই গণ্য হবে, তখন তিনি তার ভাবির সাথে সহবাসের পর মাটিতে বীর্যপাত করেন। এ অপরাধে ঈশ্বর তাকে হত্যা করেন। অর্থাৎ ওনান যদি তার বীর্য তার ভাবির যোনিতে ফেলতো তাহলে ঈশ্বর তাকে হত্যা করতেননা। এবার বুঝলেন তো বাইবেলের বিধান কী?
বাইবেলের শিক্ষা ঠাট্টা করার জন্য সমালোচক এখানে লুকিয়ে রাখতে চেষ্টা করছে যে এই নিয়ম বিবাহের মধ্যেই, বিয়ের বাইরে নয়। এই প্রাচীন ইহুদি নিয়মকে বলা হয় লেবীয় বিবাহ (Levirate marriage)। সেই বিধবার অধিকার ও উত্তরাধিকার রক্ষা করার জন্য মৃত ভাইয়ের ছোট ভাইয়ের দায়িত্ব ছিল তাকে বিয়ে করা (শুধু সহবাস করা নয়!):
“ভাইয়েরা এক পরিবার হয়ে বাস করবার সময়ে যদি এক ভাই ছেলে না রেখে মারা যায়, তবে তার বিধবা স্ত্রী পরিবারের বাইরে আর কাউকে বিয়ে করতে পারবে না। তার স্বামীর ভাই তাকে বিয়ে করবে এবং তার প্রতি স্বামীর ভাইয়ের যে কর্তব্য তা পালন করবে।” (দ্বিতীয় বিবরণ ২৫:৫)
মৃত ভাইয়ের বিধবাকে বিয়ে করা ইসলামে নিষিদ্ধ নয়। সেটা হয়তো বাঙালি সংস্কৃতিতে অদ্ভুত, কিন্তু বাঙালি সংস্কৃতিতে যেভাবে আপন চাচাতো বোন বা মামাতো বোনের সঙ্গে বিয়ে হয় সেটা অন্য সংস্কৃতিতে অদ্ভুত। মূল বিষয় হল এখানে এমনি সহবাসের কথা বলা হচ্ছে না, বরং বিয়ে করার কথা বলা হচ্ছে।
কোনো প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে আমরা শুনতে চাই! নিচের ফর্ম দিয়ে যোগাযোগ করুন:
Leave a Reply