ঈসা কি প্রত্যেকে ক্ষমা করেছেন?
প্রশ্ন:
খ্রিস্টানদের প্রতি কিছু প্রশ্ন:
১. যীশু (তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক) যদি সবার পাপ নিয়ে মারা যাই তাহলে
- জাহান্নাম কেন সৃষ্টি করা হয়েছে
- আর যিশু যখন পৃথিবীতে আসবে তখন কিসের বিচার করবেন?
আর যারা পাপি তারা যদি শাস্তি পায় তাহলে যীশু কাদের পাপ নিয়ে মারা গিয়েছেন? যদি যীশু আবার পৃথিবীতে আসে পাপপুন্যের বিচার করার জন্য তাহলে তো যার যার কর্মফল অনুযায়ী সে জান্নাত জাহান্নামে যাবে। এখানে তো প্রমান হচ্ছেনা যীশু সবার পাপ নিয়া মারা গেছে। আর যীশু যদি সবার পাপ নিয়া মারা যাই তাহলে তো পৃথিবীতে কোন অন্যায় কাজের বিচার হবেনা। কারন আপনি অন্যায় কাজটা করার আগেই একজন আপনাকে ক্ষমা করে দিয়েছে। তখন পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলা লেগেই থাকবে. একে অন্যকে খুন করবে, ধর্শন করবে,নানা প্রকার অন্যায় কাজ করতেও ভয় পাবেনা. এইটা কেমন দেখাই না?? অতএব প্রমান হয় যে যীশু কারও পাপ নিয়ে মারা যাননি।
খ্রিস্টান প্লিজ এই বিষয়ে একটু বুজাই বললে ভাল হই।
উত্তর:
এই সমালোচক খ্রীষ্টধর্ম সম্বন্ধে কি সত্যি এতো কম জানে? খ্রীষ্টধর্ম এবং বাইবেলের শিক্ষা হল যে সবাই ঈসার আত্ম-কুরবানির মাধ্যমে নাজাত পেতে পারে যদি তারা প্রকৃতভাবে আল্লাহ্র কাছে তওবা করে ঈসাকে অনুসরণ করে। এই নিয়ে খৃষ্টধর্মে কোন দ্বিমত নেই। যারা ঈসার এই নাজাতের সুযোগ বা উপহার অগ্রাহ্য করে, বা যারা তওবা করে না, তাদের জন্য নাজাতের বিকল্প নেই, এবং তারা জাহান্নামে যাবে। বাইবেল অনুযায়ী নাজাতের সুযোগ বা উপহার সবার জন্য (অর্থাৎ প্রত্যেক জাতি বা মানুষ), কিন্তু শুধুমাত্র যারা সেটা সঠিকভাবে গ্রহণ করে তারা সেটা পেতে পারে:
“আল্লাহ্ মানুষকে এখন শরীয়ত ছাড়াই কেমন করে ধার্মিক বলে গ্রহণ করেন তা প্রকাশিত হয়েছে। তৌরাত শরীফ ও নবীদের কিতাব সেই বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন। যারা ঈসা মসীহের উপর ঈমান আনে তাদের সেই ঈমানের মধ্য দিয়েই আল্লাহ্ তাদের ধার্মিক বলে গ্রহণ করেন। ইহুদী ও অ-ইহুদী সবাই সমান, কারণ সবাই গুনাহ্ করেছে এবং আল্লাহ্র প্রশংসা পাবার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কিন্তু মসীহ্ ঈসা মানুষকে গুনাহের হাত থেকে মুক্ত করবার ব্যবস্থা করেছেন এবং সেই মুক্তির মধ্য দিয়েই রহমতের দান হিসাবে ঈমানদারদের ধার্মিক বলে গ্রহণ করা হয়।” (রোমীয় ৩:২১-২৪)
মূল যে ভুল বুঝাবুঝি ছিল সেটা বোঝানোর পরে মনে হয় বাকি ভুল বুঝাবুঝি পরিষ্কার হয়ে গেল।
কোনো প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে আমরা শুনতে চাই! নিচের ফর্ম দিয়ে যোগাযোগ করুন:
Leave a Reply