ইশাইয়া ১১:১২ – পৃথিবীর ‘চার কোণ’?
ইশাইয়া ১১:১২—“এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পৃথিবী সমতল, নাহলে ‘চার কোণ’ থাকত না”
…আর তিনি জাতিগণের নিমিত্ত পতাকা তুলিবেন, ইস্রায়েলের তাড়িত লোকদিগকে একত্র করিবেন, ও পৃথিবীর চারি কোণ হইতে যিহূদার ছিন্নভিন্ন লোকদিগকে সংগ্রহ করিবেন।
(ইশাইয়া ১১:১২)
এখানে “চারি কোণ” দিয়ে যে শুধু “চারদিক থেকে” (উত্তর, দক্ষীণ, পূর্ব, পশ্চিম) বোঝানো হচ্ছে তা খুবই স্পষ্ট। “কোণ” এর মূল হিব্রু শব্দ হল כּנף কানাফ , কার অন্য অনুবাদ “প্রান্ত”, “পোয়া”, সীমা”, এমনকি “পাখা”। প্রাচীনকালে যারা মনে করতে যে পৃথিবী সমতল, তারা আবার মনে করত যে পৃথিবী থালার মত গোল, তাই আক্ষরিকভাবে “কোণ” ব্যাখ্যা করলেও সেটা প্রাচীন কালের সমতল ধারণার সঙ্গে মিলে না। “চারি কোণ থেকে” শুধু “চারদিক থেকে”-এর একটি চলতি কথা। এমনকি বাইবেল সমালোচক আহমেদ দীদাত নিজেই তার লেখায় এমন ভাষা ব্যবহার করেছেন – “to the four corners of the globe”. ১
কোরআনেও কিছু আয়াত আছে যেগুলো আপাত দৃষ্টিতে সমতল পৃথিবীর কথা বলে—
“এবং আকাশের প্রতি লক্ষ্য করে না যে, তা কিভাবে উচ্চ করা হয়েছে? এবং পাহাড়ের দিকে যে, তা কিভাবে স্থাপন করা হয়েছে? এবং পৃথিবীর দিকে যে, তা কিভাবে সমতল বিছানো হয়েছে?” (সূরা গাশিয়াঃ ৮৮:১৮-২০)২
খ্যাতিমান সুন্নি তফসীরে আল-জালালাইন এই আয়াতের তাফসীর করে বলেন—
“তাঁহার سُطِحَتْ (সুতিহাৎ) শব্দটির অর্থ “সমতল হয়ে বিস্তৃত করা” অনুযায়ী আক্ষরিক অর্থে বুঝানো হয়েছে যে পৃথিবী সমতল, যেটা শরীয়তের অধিকাংশ আলেমদেরই মতামত কিন্তু জ্যোতিষবিজ্ঞানীদের গোলাকার ধারণার বিপরীত।”
একই ভাবে মিসরীয় শাফি’ঈ ধর্মতত্ত্ববীদ ঈমাম আল-সুয়ুতি শিক্ষা দিতেন যে পৃথিবী সমতল।
কোনো প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে আমরা শুনতে চাই! নিচের ফর্ম দিয়ে যোগাযোগ করুন:
Leave a Reply