কোরআনে কি আগেকার কিতাব হেফাজত করে?

“আগের কিতাবসমূহ বিকৃত হওয়ার কারণে কোরআন পাঠানো হয়েছে।”

value=”http://www.youtube.com/v/8Zv-Z3Cc5wQ&hl=id_ID&fs=1?version=3&autohide=1&rel=0″ > type=”application/x-shockwave-flash”wmode=”transparent”allowscriptaccess=”always”width=”100%”>

জাকির নায়েকের মত মৌলবাদীরা কোরআন-বহির্ভূত ধারণা প্রচার করেছে যে, আগের আমলের কিতাবসমূহের পরিবর্তনের কারণেই কোরআন নাজিল করা হয়েছে। কোরআনে কিন্তু এরকম ধারণা কোথাও পাওয়া যায় না। বরং এর বিপরীতেই কোরআন আসলে বলে যে, আগের কিতাবসমূহ সমর্থন করার ( সাদ্দাক্বা ) জন্যই কোরআন দেওয়া হয়েছে:

“ইহার পূর্বে ছিল মূসার কিতাব আদর্শ ও অনুগ্রহস্বরূপ। আর এই কিতাব ইহার সমর্থক, আরবি ভাষায় যেন ইহা জালিমদিগকে সতর্ক করে এবং যাহারা সৎকর্ম করে তাহাদিগকে সুসংবাদ দেয়।” (আল আহকাফ ৫:১২)

কোরআন “আরবী” ভাষায় নাজিল হয়েছিল যাতে আরবের লোকেরা সেই সময় পর্যন্ত তাদের কাছে যেসব খোদায়ী বাণী অজ্ঞাত ছিল, সেসব সম্বন্ধে জ্ঞানলাভ করতে পারে। অভিধান অনুসারে ‘সমর্থন করা” অর্থ ‘অনুমোদন দেওয়া’ বা ‘কার্যকারিতা সম্বন্ধে নতুনভাবে নিশ্চয়তা দেওয়া।’

যারা বলেন কোরআন আগের কিতাবসমূহ প্রতিস্থাপন করে তারা নিচের আয়াতটি ব্যবহার করে:

“আমি তোমার প্রতি সত্যসহ কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছি ইহার পূর্বে অবতীর্ণ কিতাবের সমর্থক ও সংরক্ষকরূপে।” (৫:৪৮)

তাদের মতানুসারে, কোরআন হচ্ছে এক সংরক্ষক ( মুহাইয়িম ) এই অর্থে যে কিতাবসমূহকে কোন বিকৃতিসাধন থেকে তার মূল ও সঠিক বিষয় সংরক্ষণ করে। কিন্তু বিখ্যাত মুসলিম অনুবাদক ইউসুফ আলির মতানুসারে, এই আয়াতে মুহাইয়িম (সংরক্ষক) অর্থ হচ্ছে “যিনি রক্ষা করেন, দেখাশোনা করেন, সমর্থক হিসাবে সাক্ষ্য দান করেন, আগলে রাখেন, এবং উপস্থাপন করেন বা তুলে ধরেন।”

তৌরাতের প্রতি ঈসার মনোভাবের ক্ষেত্রে সেই একই ‘সমর্থন করা’ ( সাদ্দাক্বা ) শব্দটি কোরআনও ব্যবহার করা হয় (৫:৪৬)। ঈসা এমন শিক্ষা দেননি যে, তৌরাতকে অস্বীকার করতে হবে অথবা এর শিক্ষা বিকৃত হয়ে গেছে। বরং তিনি শিক্ষা দেন যে, এটা অপরিবর্তনীয়, পবিত্র বাক্য যা পাঠ করা এবং বোঝা উচিত:

“এই কথা মনে কোরো না, আমি তৌরাত কিতাব আর নবীদের কিতাব বাতিল করতে এসেছি। আমি সেগুলো বাতিল করতে আসি নি বরং পূর্ণ করতে এসেছি। আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, আসমান ও জমীন শেষ না হওয়া পর্যন্ত, যতদিন না তৌরাত কিতাবের সমস্ত কথা সফল হয় ততদিন সেই তৌরাতের এক বিন্দু কি এক মাত্রা মুছে যাবে না।” (মথি ৫:১৭-১৮)

কোরআনও আগের কিতাবসমূহ সম্বন্ধে এই একই কথা বলে।


অন্যান্য সম্পর্কিত প্রবন্ধ:

কোনো প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে আমরা শুনতে চাই! নিচের ফর্ম দিয়ে যোগাযোগ করুন:

Enable javascript in your browser if this form does not load.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *