হামলাকারী ব্রেন্টন ট্যারান্ট কি বাইবেল থেকে অনুপ্রাণিত ছিল?
একজন সমালোচক লিখেছিলেন:
বাইবেল থেকে মসজিদে হামলায় উদ্বুদ্ধ সন্ত্রাসী ব্রেন্টন ট্যারান্ট
এবার শিরোনাম পড়েই উত্তর দিতে হবে। যেসব জিহাদী সন্ত্রাসী হামলা করে, যদিও আমরা অস্বীকার করতে পারি যে তারা ইসলামের ভুলব্যাখ্যা করে সন্ত্রাসবাদ করছে, তবুও তারা স্পষ্টভাবে জানাই যে এরা ধর্মগ্রন্থের অনুপ্রেরণায়ই এসব করছে। যেমন হোলি আর্টিজান হামলায় অনেক প্রমাণ পাওয়া গেল যে তারা মনে করত (অন্ধভাবে) যে তারা দ্বীনের জন্য ও ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করে আল্লাহ্র জন্যই এসব করে বেহেশত পাবে। আমরা তাদের ব্যাখ্যা অস্বীকার করতে পারি, কিন্তু তাদের ধর্মীয় অনুপ্রেরণা অস্বীকার করা যাবে না। একই ভাবে রেন্টন ট্যারান্ট এবং আন্ডের্স ব্রেভিকের মত সন্ত্রাসীদের অনুপ্রেরণা ও দৃষ্টিভুঙ্গি আমরা জানি, কারণ তারা লম্বা লম্বা ‘ম্যানিফেস্টো’ লিখে তাদের দৃষ্টিভুঙ্গি ও বিশ্বাস জানিয়েছে। সেখানে কিন্তু বাইবেলের অনুপ্রেরণার কোনো উল্লেখ নাই, কারণ তারা খ্রীষ্টধর্মকে পছন্দ করত না। তাদের বিশ্বাস হলো ইউরোপ ও সাদাদের শ্রেষ্ঠ নিয়ে, ধর্ম নিয়ে নয়। তিনি নিজেকে খ্রিষ্টান না বলে নিজেকে “eco-fascist” বলে (নাস্টিক আডল্ফ হিটলারের ধারা)। এই ট্যারান্ট লিখেছেন:
“The origins of my language is European, my culture is European, my political beliefs are European, my philosophical beliefs are European, my identity is European and, most importantly, my blood is European,”
রেন্টন ট্যারান্টের যে বাইবেল থেকে কোনো অনুপ্রেরণা পেয়েছে তা দূরের কথা, বাইবেল যে হিংস্রতা নিরুৎসাহিত করে এইজন্য তার মত লোকজন (যেমন হিটলার, ব্রেভিক) খ্রিষ্টধর্মকে ঘৃণা করে।
বাইবেলের যীশু তার বিরোধীদের গনহত্যা করতে নির্দেশ দেন :-
“But those mine enemies, which would not that I should reign over them, bring hither, and saly them before me” Luke 19:27)
“আমার শত্রুরা যারা চায় নি আমি বাদশাহ্ হই, তাদের এখানে নিয়ে এস এবং আমার সামনে মেরে ফেল” (লুক ১৯:২৭)
এখানে হযরত ঈসা একটি গল্প বলছিলেন, এখানে কোনো নির্দেশ নেই, ‘গণহত্যা’ দূরের কথা। এই গল্পের বিভিন্ন ব্যাখ্যা আছে, কিন্তু কেউ যদি ব্যাখ্যা করেন যে ঈসা সেই বাদশাহ্কে দিয়ে নিজেকে বোঝাচ্ছেন, তাহলে শত্রুদের মেরে ফেলার কথা হলো ঈসার দ্বিতীয় আগমনের কথা (রোজ হাশর)। যে ব্যাখ্যাই হোক, এখানে ঈসায়ীদের কোনো নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে না।
বাইবেলে বিধর্মীদের উপাসনালয় ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দেখুন :-(যাত্রাপুস্তুক ২৩:২৩-২৪ ও ৩৪:১২-১৩)
এখানে সেই আয়াতগুলো দিচ্ছি:
“আমোরীয়, হিট্টীয়, পরিষীয়, কেনানীয়, হিব্বীয় ও যিবূষীয়রা যে দেশে বাস করে আমার ফেরেশতা তোমাদের আগে আগে থেকে সেই দেশে তোমাদের নিয়ে যাবে। আমি তাদের সকলকেই ধ্বংস করে ফেলব। তোমরা তাদের দেবতাদের পূজা কিংবা সেবা করবে না এবং সেখানকার লোকেরা যা করে তা করবে না। তোমরা তাদের দেব-দেবীর মূর্তিগুলো ভেংগে ফেলবে এবং তাদের পূজার পাথরগুলোও টুকরা টুকরা করে ফেলবে।” (যাত্রাপুস্তুক ২৩:২৩-২৪)
“সাবধান! যে দেশে তোমরা যাচ্ছ সেই দেশের লোকদের সংগে তোমরা কোন চুক্তি করবে না; তা করলে তারা তোমাদের মধ্যে একটা ফাঁদ হয়ে থাকবে। তোমরা তাদের বেদীগুলো ভেংগে ফেলবে, তাদের পূজার পাথরগুলো টুকরা টুকরা করে ফেলবে আর তাদের পূজার আশেরা-খুঁটিগুলো কেটে ফেলবে।” (যাত্রাপুস্তুক ৩৪:১২-১৩)
এখানে কাদেরকে ধ্বংশ করতে হয়েছে, যতগুলো অন্যধর্মী লোক? না, সুনির্দির্ষ্ট কিছু জাতি – “আমোরীয়, হিট্টীয়, পরিষীয়, কেনানীয়, হিব্বীয় ও যিবূষীয়রা”। এটা একটাই ঘটনা তিন হাজার বছর আগে, হযরত মূসার বিধানের আমলে, যেটা কেবলমাত্র বনি-ইসরাইলের জন্য প্রযোজ্য ছিল সেই সময়ে। সেখানে আবার অনেক সীমিত ছিল, বলা হয়নি যে কোন শত্রুকে “হত্যা কর যেখানে পাও সেখানেই”। ঈসা মসীহ এসে শত্রুদের ভালোবাসতে শিক্ষা দিয়েছেন:
“কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, তোমাদের শত্রুদেরও মহব্বত কোরো। যারা তোমাদের জুলুম করে তাদের জন্য মুনাজাত কোরো যেন লোকে দেখতে পায় তোমরা সত্যিই তোমাদের বেহেশতী পিতার সন্তান। তিনি তো ভাল-মন্দ সকলের উপরে তাঁর সূর্য উঠান এবং সৎ ও অসৎ লোকদের উপরে বৃষ্টি দেন।” (মথি ৫:৪৪-৪৫)
এছাড়াও সরলপ্রাণ বিধর্মীদের খানাপিনার নামে দাওয়াত দিয়ে ডেকে নিয়ে হত্যা করতে নির্দেশ দেওয়া আছে ।দেখুন 🙁 রাজাবলি ১৮:৪০ ও ২রাজাবলি ১০:১৮-২৮)
এখানে নবী ইলিয়াসের সেই ঘটনার আয়াতগুলো দিচ্ছি:
“তখন ইলিয়াস তাদের এই হুকুম দিলেন, “বাল দেবতার নবীদের ধর। তাদের একজনকেও পালিয়ে যেতে দিয়ো না।” তখন লোকেরা তাদের ধরে ফেলল। ইলিয়াস তাদের কীশোন উপত্যকায় নিয়ে গিয়ে সেখানে তাদের হত্যা করলেন।” (মথি ৫:৪৪-৪৫)
এই ঘটনার পুরো ইতিহাস না জানলে এর সঠিক ব্যাখ্যা বোঝা যাবে না। নবী ইলিয়াসের সময়ে বনি-ইসরাইলের দুষ্ট বাদশাহ্ আহব ও তার স্ত্রী ঈষেবল বাল দেবতার যাজকদের কথা অনুযায়ী সমস্ত আল্লাহ্-ভিরু নবীদের হত্যা করছিলেন। নবী ইলিয়াস ও অবদীয় কোনভাবে পালিয়ে গিয়ে বেঁচে গেল।
“ঈষেবল যখন মাবুদের নবীদের হত্যা করছিলেন তখন আমি কি করেছি তা কি হুজুর শোনেন নি? মাবুদের নবীদের একশোজনকে পঞ্চাশ পঞ্চাশ করে দু’টা গুহায় লুকিয়ে রেখেছি এবং তাদের খাবার ও পানির যোগান দিয়েছি। 14 আর আপনি এখন আমাকে আমার মালিকের কাছে গিয়ে বলতে বলছেন যে, ইলিয়াস এখানে আছেন। তিনি তো আমাকে হত্যা করবেন।” (১ বাদশাহ্নামা ১৮:১৩)
নবী ইলিয়াস তিন বছর ধরেই ফেরারী ছিলেন (১৮:১), বাদ দেবতাদের যাজকদের ষড়যন্ত্র থেকে বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে থাকছিল। তিনি আল্লাহ্ হুকুমে সাহস করে তাদেরকে একটি চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন (এখানে “খানাপিনার” কথা নেই)। পাঠকের সময় থাকলে পুরো ঘটনা এখানে (১ বাদশাহ্নামা ১৮:১৪-৪০)) পড়লে আসল বিষয় বুঝতে পারবে। এই চ্যালেঞ্জে উহ্য ছিল যে, যে পক্ষ হেরে যাবে, তারা মরবে, তাই এখানে কোনো চালাকি ছিল না। নবী ইলিয়াস চ্যালেঞ্জটা হেরে গেলে অবশ্যই বাদ দেবতার পূজাকারীরা নবী ইলিয়াসকেও মেরে ফেলত।
বাইবেলে জিহাদ বা যুদ্ধ রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য নয়, এমনকি অন্যের দেশ দখলের জন্যও নয়, যুদ্ধ মূলত হত্যা ও ধ্বংসের মাধ্যমে আনন্দ লাভের জন্য ।বাইবেলে এসকল কর্মের বিশেষভাবে প্রশংসা করা হয়েছে। দেখুন :- নিউ টেস্টামেন্ট (ইব্রিয় ১১:৩২-৩৪)
প্রমাণ ছাড়া এতো বড় মিথ্যা বলার লজ্জা নেই? ইব্রিয় ১১:৩২-৩৪ দিচ্ছি, এখানে পাঠক নিজেই মূল্যায়ণ করুক:
“এর বেশী আমি আর কি বলব? গিদিয়োন, বারক, শামাউন, যিপ্তহ, দাউদ, শামুয়েল আর নবীদের কথা বলবার সময় আমার নেই। ঈমানের দ্বারাই তাঁরা রাজ্য জয় করেছিলেন, ন্যায়বিচার করেছিলেন, আল্লাহ্র ওয়াদার পূর্ণতা লাভ করেছিলেন, সিংহদের মুখ বন্ধ করেছিলেন, ভীষণ আগুনের তেজ কমিয়ে দিয়েছিলেন, ছোরার আঘাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন, দুর্বল হয়েও শক্তিশালী হয়েছিলেন, যুদ্ধে শক্তি দেখিয়েছিলেন এবং বিদেশী সৈন্যদলগুলোকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। ৩৫ স্ত্রীলোকেরা তাঁদের মৃত লোকদের আবার জীবিত অবস্থায় ফিরে পেয়েছিলেন। অন্যেরা নিজের ইচ্ছায় জেল থেকে খালাস না নিয়ে নির্যাতন ভোগ করেছিলেন, যেন তাঁরা মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে আরও ভাল জীবনের অধিকারী হন। ৩৬ আবার অন্যেরা ঠাট্টা-তামাশা ও ভীষণ মারধর, এমন কি, হাতকড়া ও জেল খাটা পর্যন্ত সহ্য করেছিলেন। ৩৭ লোকে তাঁদের পাথর মেরেছিল, করাত দিয়ে দু’টুকরা করে কেটেছিল এবং ছোরা দিয়ে খুন করেছিল। তাঁরা অত্যাচার ও খারাপ ব্যবহার পেয়েছিলেন, আর অভাবে পড়ে ভেড়া ও ছাগলের চামড়া পরে ঘুরে বেড়াতেন। ৩৮ তাঁরা মরুভূমিতে মরুভূমিতে, পাহাড়ে পাহাড়ে, গুহায় গুহায় এবং গর্তে গর্তে পালিয়ে বেড়াতেন। এই লোকদের স্থান দেবার যোগ্যতা দুনিয়ার ছিল না।” (মথি ৫:৪৪-৪৫)
এখানে “ধ্বংসের মাধ্যমে আনন্দ লাভের” কথা কোথাও আছে? যাদের কথা বলা হচ্ছে, (গিদিয়োন, বারক, ইত্যাদি) তারা বিদেশী জুলুমকারী সাম্রাজ্যের শাসন থেকে ইসরাইলকে মুক্ত করেছেন বা ইসরাইলের নিজের ‘রাজ্য’ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন, আক্রমনাত্মক যুদ্ধ করেন নি। তারা বরং “অত্যাচার” “খারাপ ব্যবহার” ও “অভাবে” সহ্য করেছিলেন আল্লাহ্র জন্যই। শত্রুদের সঙ্গে যুদ্ধ করার ব্যাপারে ইঞ্জিল শরীফের আসল শিক্ষা কী শুনুন:
তখন ঈসা তাঁকে বললেন, “তোমার ছোরা খাপে রাখ। ছোরা যারা ধরে তারা ছোরার আঘাতেই মরে।” (মথি ২৬:৫২)
“যারা তোমাদের জুলুম করে তাদের ক্ষতি চেয়ো না বরং ভাল চেয়ো। ১৫ যারা আনন্দ করে তাদের সংগে আনন্দিত হও; যারা কাঁদে তাদের সংগে কাঁদ। ১৬ তোমাদের একের প্রতি অন্যের মনোভাব যেন একই রকম হয়। বড়লোকের ভাব না দেখিয়ে বরং যারা বড়লোক নয় তাদের সংগে মেলামেশা কর। নিজেকে জ্ঞানী মনে কোরো না। ১৭ খারাপীর বদলে কারও খারাপ কোরো না। সমস্ত লোকের চোখে যা ভাল সেই বিষয়ে মনোযোগ দাও। ১৮ তোমাদের দিক থেকে যতদূর সম্ভব সমস্ত লোকের সংগে শান্তিতে বাস কর।
১৯ প্রিয় ভাইয়েরা, তোমরা নিজেরা প্রতিশোধ নিয়ো না, বরং আল্লাহ্কেই শাস্তি দিতে দাও। পাক-কিতাবে মাবুদ বলেন, “অন্যায়ের শাস্তি দেবার অধিকার কেবল আমারই আছে; যার যা পাওনা আমি তাকে তা-ই দেব।” ২০ কিতাবের কথামত বরং “তোমার শত্রুর যদি খিদে পায় তাকে খেতে দাও; যদি তার পিপাসা পায় তাকে পানি দাও। এই রকম করলে তুমি তার মাথায় জ্বলন্ত কয়লা গাদা করে রাখবে।” ২১ খারাপীর কাছে হেরে যেয়ো না, বরং ভাল দিয়ে খারাপীকে জয় কর।” (মথি ৫:৪৪-৪৫)
এখন সমালোচকের কথায় ফিরে আসি:
মসজিদে হামলাকারী ব্যাক্তি বাইবেলে বিশ্বাসী উগ্র খ্রিস্টান। ধর্মীয় বিদ্বেষের কারণে মসজিদে গিয়ে মুসলিমদের হত্যা করে। এবং বাইবেল অনুযায়ী সে পবিত্র আত্মার শক্তিতে এই পূণ্যময় কাজ করেছেন…
আবার প্রমাণ ছাড়াই মনগড়া মিথ্যা বলছে। আমি এর মধ্যে প্রমাণ করেছি উপরে তার নিজের কথা থেকে যে হামলাকারী খ্রীষ্টধর্ম অনুপ্রাণিত ছিল না। এই সমালোচকের কাছে আমার চ্যালেঞ্জ, যে উনি রেফারেন্স দিয়ে দেখাক যে সেই হামলাকারী কোনোভাবে বাইবেল থেকে অনুপ্রাণিত ছিল। সম্ভব না। আর যদি তাকে পাপী বলা হয় তাহলেও কোন সমস্যা নেই, কারণ বাইবেলের যীশু তার বিশ্বাসীদের জন্য শূলে চরে নিজের জীবন বিসর্জনের মাধ্যমে সমস্ত পাপ মোচন করে চলে গেছেন। তাই আপনি পবিত্র আত্মার শক্তিতে যা কিছু করেন কোন সমস্যা নেই।” (নিউ টেস্টামেন্ট) এই সমালোচক মিথ্যার সীমা নেই। আল্লাহ্ যে রহমতের ব্যবস্থা করেছেন ঈসা মসীহের আত্ম-কুরবানির মাধ্যমে সেটা তাদের জন্য, যারা ঈসাকে অনুসরণ করে। বাইবেলে পরিষ্কার ভাবে লেখা আছে যে:
“তোমরা নিশ্চয়ই জান, যারা জেনা করে, যারা নাপাক এবং যারা লোভী, অর্থাৎ যাদের এক রকমের প্রতিমাপূজাকারী বলা যায় মসীহের ও আল্লাহ্র রাজ্যে তাদের কোন অধিকার নেই।” (ইফিষীয় ৫:৫)
“যারা অন্যায় করে তারা যে আল্লাহ্র রাজ্যের অধিকারী হবে না, তা কি তোমরা জান না? তোমরা ভুল কোরো না। যাদের চরিত্র খারাপ, যারা মূর্তি পূজা করে, যারা জেনা করে, যারা পুরুষ-বেশ্যা, যে পুরুষেরা সমকামী, যারা চোর, লোভী, মাতাল, যারা পরের নিন্দা করে এবং যারা জোচ্চোর তারা আল্লাহ্র রাজ্যের অধিকারী হবে না। ” (১ করিন্থীয় ৬:৯-১০)
“গুনাহ্-স্বভাবের কাজগুলো ষ্পষ্টই দেখা যায়। সেগুলো হল- জেনা, নাপাকী, লমপটতা, মূর্তিপূজা, জাদুবিদ্যা, শত্রুতা, ঝগড়া, লোভ, রাগ, স্বার্থপরতা, অমিল, দলাদলি, হিংসা, মাতলামি, হৈ-হল্লা করে মদ খাওয়া, আর এই রকম আরও অনেক কিছু। আমি যেমন এর আগে তোমাদের সতর্ক করেছিলাম এখনও তা-ই করে বলছি, যারা এই রকম কাজ করে আল্লাহ্র রাজ্যে তাদের জায়গা হবে না।” (গালাতীয় ৫:১৯-২১)
অর্থাৎ যারা নিজেকে ঈসায়ী বলে অথচ জেনে-শুনে বিবেক ও পবিত্র আত্মার নির্দেশ বার বার অমান্য করার অভ্যাস করে, তারা তো ঈসার অনুসারণ করছে না বলে তারা বেহেশত পাবে না।
কোনো প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে আমরা শুনতে চাই! নিচের ফর্ম দিয়ে যোগাযোগ করুন: