সূর্য দাঁড়িয়ে গেল?
ইউসা ১০:১২-১৩—“সূর্য কীভাবে “দাঁড়াতে” পারেন”?
এই কাহিনী আসলে সাহীহ্ বোখারীতেও পাওয়া যায় –
আবূ হুরায়রা (রা) রাসূলুল্লাহ্ (ছ) থেকে যে সকল হাদীস আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন, এর মধ্যে এটি অন্যতম যে রাসূলুল্লাহ্ (ছ) বলেছেনঃ নবীদের মধ্যে কোন এক নবী জিহাদে রওয়ানা দিলেন … এরপর তিনি জিহাদে গমন করে আসরের নামাযের সময় কিংবা তার কাছাকাছি সময়ে যুদ্ধ ক্ষেত্রের নিকটবর্তী এক গ্রামে পৌঁছেন। তখন তিনি সূর্যকে লক্ষ্য করে বলেন, তুমিও আদিষ্ট এবং আমিও আদিষ্ট। ইয়া আল্লাহ্! তুমি একে আমার জন্য কিছুক্ষণ থামিয়ে রাখ। সূর্যকে থামিয়ে দেয়া হল। অবশেষে আল্লাহ্ তা’আলা তাঁকে বিজয় দান করেন। (হাদীস নং-৪৩২০, সহীহ্ মুসলিম শরীফ, মীনা বুক হাউস, ঢাকা, ২০০৮, পৃষ্ঠা ৬৮২)
তা ছাড়া কিতাবুল মোকাদ্দসের এই ঘটনা বিজ্ঞানের সঙ্গে মিলানো যায়। যেখানে বলা হয়েছে “থেমে গেল” সেই হিব্রু শব্দের আরেক সাম্ভাব্য অনুবাদ ‘নিরব হওয়া’ বা ‘বিরত থাকা’, তাই এইভাবেও ব্যখ্যা করা যায় যে যুদ্ধের সময়ে সূর্য শিলাবৃষ্টির মেঘের পিছনে লুকিয়ে গেল যতক্ষণ পর্যন্ত নবী ইউসা জয়ী হননি। এই অলৌকিক ঘটনার ঠিক ভোরের আগে শত্রু বাহিনী ধ্বংস করার জন্য আল্লাহ্ শিলাবৃষ্টি পাঠিয়েছেন, এবং তারপর একটি লম্বা ঠান্ডা দিন দিয়েছেন যেন এরা রাতে অভিযান করে ১৮ ঘন্টা যুদ্ধ করতে পারলেন। এই যৌথ দিন হল নবী ইউসার “লম্বা দিন”, এবং শিলাবৃষ্টি ও মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ছিল আল্লাহ্র সাহায্যের জন্য মোনাজাতের উত্তর। কিন্তু আরও তথ্যের অভাবে আমরা নিশ্চিত হতে পারি না। তাও আমরা জানি যে কিতাবুল মোকাদ্দসে পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত ভাষা ব্যবহার করে, তাই হয়ত সূর্য আকাশে থেমে গেল না বরং শুধু আল্লাহ্ কুদরতে ঐভাবে প্রতীয়মান হল।
কোনো প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে আমরা শুনতে চাই! নিচের ফর্ম দিয়ে যোগাযোগ করুন:
Leave a Reply