বিষাক্ত গাছ?
পয়দায়েশ ২:১৬-১৭—“এখানে বলা হচ্ছে সব গাছ পালা খাওয়া যায়, কিন্তু কিছু কিছু গাছ বিষাক্ত”
যখন কিতাবে হালাল-হারামের বিধান দেয়া হয় যে শূকর, মরা জন্তু, রক্ত এবং মদ ছাড়া সবকিছু খাওয়া যায়, শুধুমাত্র যাদের সাধারণ জ্ঞানের খুব অভাব আছে তারা তাতে বিষাক্ত গাছ ও মাংস এড়িয়ে যাবে না। যখন আল্লাহ্পাক হযরত আদম (আঃ)-কে প্রতিটি গাছের ফল খেতে অনুমতি দিন, তিনি তাতে সবকিছু খাওয়ার হুকুম দিচ্ছেন না বরং শুধু তাঁকে স্বাধীনতা দিচ্ছেন।
এই আয়াত একটু বিশ্লেষণ করলে দুটি জিনিস দেখা যায়। প্রথমত ‘যে কোন গাছ’ অবশ্য প্রত্যেকটি গাছ বোঝাচ্ছে না কারণ শেষে বলা হয়েছে যে অন্তত একটা গাছের ফল নিষিদ্ধ। দ্বিতীয়ত বলা হয়েছে ‘এই বাগানের যে কোন গাছের ফল’। হয়ত ঐ বাগানে কোন বিষাক্ত গাছ ছিল না, আবার হয়ত দুনিয়াতে পাপ ঢোকার আগে বিষাক্ত গাছ ছিল না। পয়দায়েশ ৩:১৭-১৮ আয়াতের শিক্ষা অনুযায়ী, হযরত আদমের অবাধ্যতার ফলে মাটি এবং গাছপালা একটু পরিবর্তিত হল এবং মানুষের জন্য আরও কষ্টকর হয়ে গেল।
কোরআন শরীফের ক্ষেত্রেও আয়াতগুলো অত আক্ষরিক ভাবে ব্যাখ্যা করা যাবে না। সূরা যারিয়াতে লেখা আছে:
“আর প্রত্যেক বস্তু আমি সৃষ্টি করিয়াছি জোড়ায় জোড়ায়, যাহাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর।” (সূরা যারিয়াতে ৫১:৪৯)
কিন্তু কিছু কিছু প্রাণী আছে যেগুলোর স্ত্রী-পুরুষ লিঙ্গ নেই, যেমন নিউ মেক্সিকো ওয়িপ্টেইল লিজার্ডের (Cnemidophorus neomexicanus ) মত বেশ কিছু লিজার্ড প্রজাতি শুধু স্ত্রীলিঙ্গে হয় এবং নিজে নিজে গর্ভোৎপাদন করে ডিম পারে। আবার আধুনিক বিজ্ঞান অনুযায়ী একটি খুব ব্যাপক ছাতলা প্রজাতি আছে ( Schizophyllum commune ) যার অনেক বেশী লিঙ্গ আছে। এতে আমি কোরআনের সমালোচনা করছি না বরং শুধু দেখাচ্ছি যে কিতাব সবসময় আক্ষরিকভাবে ব্যাখ্যা করা যাবে না।
কোনো প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে আমরা শুনতে চাই! নিচের ফর্ম দিয়ে যোগাযোগ করুন:
Leave a Reply