বাইবেলে মানুষের মাংস খাওয়ার উপদেশ
বাইবেলে মানুষের মাংস খাওয়ার উপদেশ :
১। তোমরা এত বেশী ক্ষুধার্ত হবে যে তোমরা তোমাদের ছেলেদের এবং মেয়েদের ভক্ষণ করবে| (লেভটিকাস অধ্যায় ২৬ ভার্স ২৯:) পিতা তার সন্তানদের মাংস খাবে।
কত বোকা একটি সমালোচনা – এখানে কি “মানুষের মাংশ খাওয়ার উপদেশ” আছে? বনি-ইসরাইল আল্লাহর শরিয়ত অমান্য করলে তাদের কত ভয়ংকর শাস্তি ও দুর্দশা হবে সেটার সবধানবাণী লেবীয় ২৬ অধ্যায়ে লেখা আছে। তাদের অবস্থা এতো খারাপ হতে পারে যে তারা পিতা সন্তানদের মাংস খাওয়ার মত জঘন্য কাজ করবে। এখানে কোনো ভাবে কোন “উপদেশ” এর ইঙ্গিত নেই।
২। শএু তার সৈন্যবাহিনী নিয়ে এ শহর ঘিরে ফেলবে| সৈন্যরা লোকদের খাদ্যের সন্ধানে শহরের বাইরে য়েতে দেবে না|
ফলে তারা অনাহারে কষ্ট পাবে| অনাহারে যন্ত্রণায় তারা তাদের নিজের সন্তানদের শরীর ছিঁড়ে খাবে| এবং তারপর তারা নিজেরাই একে অন্যের মাংস ছিঁড়ে খাবে|’ (জেরেমিয়া অধ্যায় ১৯ ভার্স ৯:)
এটা একই রকম কথা – ইয়ারমিয়া নবি বনি-ইসরাইলদের সতর্ক করছে যে তারা যদি তাওবা না করে এবং তাদের অবাধ্যতার রাস্তায় চলতে থাকে এমন ভয়ংকর শাস্তি ও যুদ্ধ হবে যে তারা সন্তানদের মাংস খাবে। এখানে ‘উপদেশ’ নেই, সাবধানবাণী বা শতর্ক আছে। এই ধরণের যুক্তি মানলে আমরা একই ভাবে বলতে পারি যে যেহেতু কোরআন শরীফে দোজখের জঘন্য কষ্টের বর্ণনা ও শতর্ক আছে, যেমন আগুনে মানুষের চামড়া পুড়িয়ে যাচ্ছে, তার মানে “কোরআনে মানুষকে পুড়িয়ে ফেলার উপদেশ” আছে। সত্যিই সমালোচকের যুক্তি ও মনোযোগ দিয়ে পড়ার অভাব আছে।
৩। জেরুশালেমের লোকরা এত ক্ষুধার্ত্ত হবে যে পিতামাতা তাদের নিজেদের সন্তানদের এবং সন্তানরা তাদের পিতামাতাদের মাংস খাবে| আমি তোমাদের বহু ভাবে শাস্তি দেব| আর অবশিষ্ট যারা বেঁচে থাকবে, তাদের আমি বাতাসে ছড়িয়ে দেব|”
(এজেকিয়েল অধ্যায় ৫ ভার্স ১০:)
একই কথা…
৪। খাবার কিছু পড়ে না থাকর দরুণ সে নিজের শিশুদের খাবে এবং সেই মাংস সে পরিবারের অন্য কারও সাথে ভাগ না করে নিজেই খাবে| তোমাদের শত্রু এসে তোমাদের নগর অবরোধ করলে এই সমস্ত মন্দ ঘনাগুলি তোমাদের প্রতি ঘটবে এবং তোমাদের কষ্ট দেবে| (ডিউটরনমি অধ্যায় ২৮ ভার্স ৫৫:)
দ্বিতীয় বিবরণ ২৯:৫৫ – একই কথা…
৫। অতীতে তোমাদের খাদ্য হিসেবে আমি শুধু সবুজ উদ্ভিদ তোমাদের দিয়েছিলাম| এখন থেকে সমস্ত জানোয়ারই তোমাদের খাদ্য হবে| পৃথিবীর সমস্ত কিছুই আমি তোমাদের দিচ্ছি| সব কিছুই তোমাদের| (জেনিসিস অধ্যায় ৯ ভার্স ৩:)
আমরা ধরে নিতে পারি যে সাধারণ মানুষ এই সমালোচকের মত বোকা না যে এরা এটা পড়ে মনে করবে ‘তাহলে মানুষ খাওয়া হালাল’। সত্যিই এই সমালোচক নিজেই হাস্যকর।
৫। এমনকি, সমস্ত সুন্দরী মায়েরা তাদের সন্তানদেরই খাদ্যের মতো রান্না করেছে| ওই শিশুগুলি তাদের মায়েদের খাদ্য হয়ে উঠেছিল| আমার লোকদের ধ্বংসের সময় এটা ঘটেছিল| (লামেনটেইশন/বিলাপ গাথা অধ্যায় ৪ ভার্স ১০:)
একই কথা…
৬। তা যাকগে, “তোমার সমস্যাটা কি বলো?”মহিলা উত্তর দিলেন, “দেখুন ঐ মহিলাটি আমায় বলেছিল, ‘আজকে তোমার ছেলেটাকে দাও, মেরে খাওয়া যাক| কাল আমারটাকে খাওয়া যাবে|’ তখন আমরা আমার ছেলেটাকে সেদ্ধ করে খেলাম| আর পরের দিন আমি খাবার জন্য ওর ছেলেটাকে আনতে গিয়ে দেখি, ও ওর ছেলেটাকে লুকিয়ে ফেলেছে!” (২ কিং অধ্যায় ৬ ভার্স ২৮-২৯:)
একই কথা…
৬ জায়গায় মানুষের মাংস খাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
আর কিছু বলার দরকার আছে?
কোনো প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে আমরা শুনতে চাই! নিচের ফর্ম দিয়ে যোগাযোগ করুন: