জাহাজে প্রতিটি প্রজাতি?
পয়দায়েশ ৬:১৯—“হযরত নূহের জাহাজে প্রত্যেকটি জাতি প্রাণী ঢোকানো সম্বব না, কারণ বিশ্বে লক্ষ লক্ষ প্রজাতি আছে”
সমালোচকদের মনে করিয়ে দেওয়া উচিত যে কোরআন শরীফেও একই বর্ণনা পাওয়া যায় যে জাহাজে প্রতিটি প্রজাতি ছিল:
“অতঃপর আমি তাহার নিকট ওহী পাঠাইলাম, ‘তুমি আমার তত্ত্বাবধানে ও আমার ওহী অনুযায়ী নৌযান নির্মাণ কর, অতঃপর যখন আমার আদেশ আসিবে ও উনুন উথলিয়া উঠিবে তখন উঠাইয়া লইও প্রত্যেক জীবের এক এক জোড়া এবং তোমার পরিবার-পরিজনকে …” (সূরা মু’মিনূন ২৩:২৭)
লক্ষ লক্ষ প্রজাতি আছে বটে, কিন্তু অধিকাংশই সমুদ্রে থাকে যাদের নৌকা ওঠার প্রয়োজন নেই। আবারও ডাঙার প্রাণীর মধ্যে শুধুমাত্র প্রধান ২৯০টা প্রজাতি ভেড়া থেকে বড়; অধিকাংশই ছোটখাট কীট বা পোকা। একজন তওরাত বিশেষজ্ঞ লিখেছেন—
জাহাজের মাপ স্থিতি এবং বহন-ক্ষমতার জন্য উত্তম ছিল। Hydrodynamic-ভাবে প্রমাণ করা হয়েছে যে ঐ মাপে সেটা উলটানো প্রায় অসম্ভব এবং বাইরে যত ঝড়তুফান হত ভিতরে মোটামুটি আরাম থাকত। প্রাচীন ‘ক্যুবিত’ মাপের জন্য আমরা যদি ন্যূনতম অনুমান ১৭.৫ ইঞ্চি ব্যবহার করি তাহলে জাহাজের মধ্যে ১২৫ হাজার ভেড়ার মত বড় প্রাণীর জন্য জায়গা হত। যেহেতু ডাঙার প্রাণীর মধ্যে (পাখি,সরীসৃপ, স্তন্যপ্রায়ী এবং উভচর প্রাণী) বিদ্যামান এবং লুপ্ত সর্বচ্চ ২৫,০০০ প্রজাতি আছে, এবং যেহেতু সেগুলো গড়ে ভেড়ার অনেক ছোট, সেহেতু খুব সহজেই সবগুলো নূহের জাহাজে ঢোকানো যেত, প্রাতিটি জোড়া আলাদা কক্ষে।
…প্রাণীগুলো অবশ্য কম বয়সি ছিল যেহেতু এরা জাহাজে এক বছর ধরে সেগুলো বংশবৃদ্ধি করে নি এবং মহাবন্যার পরে দুনিয়াতে আবার বংশবৃদ্ধি করল … যেসব প্রাণী জাহাজে ঢুকল সেগুলো হয়ত জাহাজের মধ্যে সারা বছর অচেতন অবস্থায় কাটাল।
আবার মহাবন্যা যদি কেবলমাত্র আঞ্চলিক হত (পয়দায়েশ ৭ অধ্যায় নিয়ে নিচের আলোচনা দেখুন), তাহলে হয়ত শুধুমাত্র মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক প্রাণীগুলো জাহাজের ভিতরে ছিল।
কোনো প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে আমরা শুনতে চাই! নিচের ফর্ম দিয়ে যোগাযোগ করুন:
Leave a Reply