বাইবেলে থাকার মাপকাঠি

সমালোচকের এই মতামত দিয়েছে:

Dead Sea Scroll যদি এতই “সহীহ” হয়, তাহলে ওখানে যেসব বই আছে, এর সবগুলো বাইবেলে নাই কেন? ওখানকার book of Enoch, book of Jubilees এগুলো এখনকার বাইবেলে নাই কেন?

এই লেখক সম্ভবত বুঝতে পারেন নি যে ডেড সি স্ক্রল একটি বই না বরং একটি গুহার মধ্যে বই (স্ক্রল) এর ভাণ্ডার। প্রাচীনকালে স্ক্রলের দৈর্ঘ্যের সীমাবদ্ধতার কারণে পুরো পুরাতন নিয়ম একটি স্ক্রলে লেখা যেতো না, বরং ~২০ আলাদা স্ক্রলে লেখা হতো। পিরাতন নিয়মের স্ক্রলের পাশাপাশি অবশ্য অন্য সাহিত্য ও ধর্মীয় লেখালেখি ছিল, তাতে সমস্যা কি? আমরা যদি পুরানো কোরআনের পাণ্ডুলিপির পাশাপাশি কিছু হাদিসের পাণ্ডুলিপি খুঁজে পাই, তাতে কি কোরআনের সংকলনের প্রশ্ন আসে? ডেড সি স্ক্রল মূলত প্রমাণ করে যে শত শত বছর ধরে লিপিকর কত যক্ত করে ও নির্ভরযোগ্য ভাবে সেগুলো সংরক্ষণ করতেন।

Esther কিংবা Nehemiah বলে কোনো বই Dead Sea Scroll এ ছিল না। ওগুলো বাইবেলে আছে কেন? কোনগুলা আসলে হলি স্পিরিটের প্রেরণায় লেখা?

যেহেতু তখনকার স্ক্রলের সীমাবদ্ধতার কারণে পুরাতন নিয়ম আলাদা ২০টি স্ক্রলে লেখা হত, কিছু স্ক্রল সেখানে না থাকা অস্বাভাবিক কিছু নেই। একটি একত্র বাঁধা ছাপানো বইয়ের মধ্যে ইস্টার বা নহিমিয়া অনুপস্থিত থাকা বড় ব্যাপার হতো, কিন্তু এটা অস্বাভাবিক কিছু না।

নিউ টেস্টামেন্টের মধ্যে বহু কিতাব ছিল যা ইউরোপ, আলেকজান্দ্রিয়া এসব জায়গার চার্চগুলোতে প্রচলিত ছিল। যেমন: Epistle of Barnabas, Shepherd of Hermas, Paul’s Epistle to the Laodiceans, 1 Clement, 2 Clement, Preaching of Peter, Apocalypse of Peter (এটার কথা আগেই বলেছি), Gospel According to, the Egyptians, Gospel According to the Hebrews ইত্যাদি।

বিশেষ করে প্রাচীন চার্চগুলোতে Shepherd of Hermas ব্যাপকভাবে পঠিত হত। আরো অনেক বইয়ের ব্যাপারেও আমি পড়েছি যে গুলো আজকের বাইবেলে নেই।

এখানে মূল বিষয় পরিষ্কার করা দরকার। উপরোক্ত প্রতিটি কিতাব আলাদা ভাবে বিশ্লেষণ করলে প্রতিটির ক্ষেত্রে আমরা স্পষ্টভাবে দেখাতে পারি যে সেগুলোর ইঞ্জিলে থাকার কথা না। প্রমাণ দেখলে প্রত্যেকের ক্ষেত্রে সমালোচক আমাদের সংগে একমত হওয়ার কথা যে সেগুলো canon-এ যুক্ত না করা প্রাচীন ঈসায়ী জামাত সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ সেই কিতাবগুলোর পরের লেখার তারিখ এবং প্রাচীন ঈসায়ী জামাতে ব্যবহারের বিস্তৃতি অভাব বা সীমাবদ্ধতার কারণে সমালোচক একমত হবে যে সেগুলো ইঞ্জিলে থাকার কথা না। আমি নিচে প্রতিটি কিতাব আলাদা ভাবে বিশ্লেষণ করব।

কিন্তু আমার মনে হচ্ছে যে সমালোচকের উদ্দেশ্য একটু ভিন্ন। তিনি বোঝাতে চাচ্ছেন যে এই কিতাবের আস্তিত্বই ইঞ্জিলের নির্ভরযোগ্যতার উপর সন্দেহ জাগে। একজন মুসলমান হিসেবে এই যুক্তিও দুর্বল কারণ কোরআনের ক্ষেত্রেও কিছু বাড়তি সূরা ও ভিন্নপাঠ আছে যেগুলো কেউ কেউ বলে কোরআনের মধ্যে থাকার কথা ছিল (উৎস)। আমরা ধরে নিতে পারি যে সেগুলোও বিশ্লেষণ করলে কোরআনে না রাখা যুক্তিসংগত, কিন্তু সেগুলোর আস্তিত্ব কোনো বড় বাধা হওয়া উচিত না। যেমন করে ইঞ্জিলের ক্ষেত্রে এই কিতাবের আস্তিত্ব বড় বাধা না।

ইঞ্জিলের তিনটি মাপকাঠি বা মানদণ্ড ছিল:

  1. Apostolicity – সেই কিতাব কি ঈসা মসীহের একজন সাহাবী (apostle) বা সাহাবীর ঘনিষ্ঠ সঙ্গী লিখেছে
  2. Orthodoxy – পুরাতন নিয়ম বা আগেকার কিতাবের সঙ্গে মিল
  3. Catholicity/Universality – প্রাচীন ঈসায়ী জামাতে ব্যাপক বিস্তৃতি বা ব্যবহার – অর্থাৎ শুধুমাত্র ১-২টি অঞ্চলে ব্যবহার হয়নি বরং সব জায়গায় ব্যবহার ছিল প্রথম যুগ থেকে।

ইঞ্জিল শরিফের খণ্ড বা কিতাব সম্বন্ধে খ্রীষ্টিয়ান তিনটি ধারার মধ্যে (ক্যাথলিক, প্রটেস্টান্ট, অর্থোডক্স) হুবহু মিল আছে। এপিসল অব বার্নাবাসশেপার্ড অব হার্মাস ছাড়া বাকি কিতাব সম্বন্ধে ইঞ্জিলে থাকার কোনো সিরিয়াস প্রশ্ন নেই।

এপিসল অব বার্নাবাস (Epistle of Barnabas)

  1. Apostolicity– এই লেখার প্রথম ঐতিহাসিক উল্লেখ ক্লেমেন্ট অব অ্যালেকজান্ড্রিয়া লিখেছে ১৯০ খ্রিষ্টাব্দে, এবং এর প্রথম পাণ্ডুলিপি ৩৩০-৩৬০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে। বর্তমান কোনো বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করে না যে বার্বাবাস এই লেখা লিখছে, বরং অনেক পরে, ~১৩০ খ্রিষ্টাব্দে (সাহাবিদের প্রজন্মের অনেক পরে) অন্য একজন তার নাম ধরেই লিখেছে। এইজন্য সেটা apostolicity পরীক্ষায় টিকে থাকল না।
  2. Orthodoxy এর ক্ষেত্রে, এপিসল অব বার্নাবাস মূসার শরিয়ত সম্বন্ধে একটি অত্যন্ত খারাপ ধারণা রাখে। এই লেখার মধ্যে দাবি করা হয় যে আল্লাহর সঙ্গে ইহুদিরা কখনো কোনো চুক্তি ছিল না এবং শুধু শয়তানে প্রভাবেই তারা আল্লাহর শরিয়ত আক্ষরিকভাবে পালন করেছে (উৎস)। এইজন্য সেট apostolicity পরীক্ষায়ও টিকে থাকল না।
  3. Catholicity – এই লেখার প্রাচীন উল্লেখ শুধু মিসরের অ্যালেকজান্ড্রিয়া থেকেই পাওয়া যায়, এবং সেটা প্রাচীন পশ্চিম জামাতে কখনো গ্রহণ করা হয়নি। এই লেখা যখন কিতাবের তালিকায় উল্লেখ ছিল তখন সেটা “বিতর্কিত” বা “ক্রোড়পত্র” বিভাগের মধ্যে উল্লেখ ছিল – ইঞ্জিল থেকে আলাদা।

শেপার্ড অব হার্মাস (Shepherd of Hermas)

এই লেখা প্রাচীন ঈসায়ী জামাতের মধ্যে একটি জনপ্রিয় লেখা ছিল, কিন্তু ইঞ্জিলের অংশ হিসেবে নয়:

  1. Apostolicity – অধিকাংশ বিশেষজ্ঞদের মতামত হল এটা ~১৪০ খ্রিষ্টাব্দে লেখা হয়েছিল, এবং কেউই দাবি করে না যে সেটা একজন সাহাবি বা সাহাবির ঘনিষ্ট সঙ্গী লিখেছে। প্রাচীন (২য় শতাব্দির) মুরাতরিয়ান ক্যাননের মধ্যে সেটা ক্যাননে না থাকার ব্যাখ্যা আছে:

    “হার্মাস অনেক সম্প্রতিকালে ‘শেপার্ড’ লিখেছে, আমাদের সময়েই, রোম শহরে, যখন তার ভাই পিয়ুস রোম শহরের জামাতের পরচালনা করছিলেন। এইজন্য সেটা অবশ্যই পড়া উচিত, কিন্তু সেটা চার্চের জনগণের সামনে নবীদের কিতাবের পাশে (যার সংখ্যা সমাপ্ত) বা সাহাবিদের লেখার মধ্যে পড়া উচিত না, কারণ সেটা তাদের আমলের পরেই।” (“But Hermas wrote the Shepherd very recently, in our times, in the city of Rome, while bishop Pius, his brother, was occupying the chair of the church of the city of Rome. And therefore it ought indeed to be read, but it cannot be read publicly to the people of the church either among the prophets, whose number is complete, or among the apostles, for it is after [their] time.”)

    অর্থাৎ সেটা ভালো একটি লেখা, কিন্তু ইঞ্জিলের অংশ নয়।

  2. Orthodoxy – শেপার্ড জনপ্রিয় একটি লেখা ছিল কারণ পুরাতন ও নতুন নিয়মের সঙ্গে এর ভালো মিল আছে, কিন্তু সেটার মধ্যে বিশেষ নতুন বা ভিন্ন শিক্ষা নেই।
  3. Catholicity – যদিও Irenaeus শেহার্ড থেকে উদ্ধৃতি দিয়েছে, কোনো প্রাচীন ঈসায়ী নেতা কখনো বলেন নি যে সেটা ইঞ্জিল শরিফের অংশ। উত্তর আফ্রিকান বিশিষ্ট ঈসায়ী নেতা টের্টুলিয়ান Tertullian ~২০০ খ্রিষ্টাব্দে লিখেছেন: “শেহার্ড লেখা … প্রতিটি চার্চ পরিষদের বিবেচনায়, এমনকি আপনাদের চার্চের বিবেচনায়, ভুল এবং আপক্রিফাল।” (apocryphal মানে যার নামে সেই কিতাব ছড়িয়ে গেছে তিনি আসলে সেটা লিখননি) (“The North African Christian leader Tertullian (~200 AD) wrote around 200 AD: “The Shepherd … [is] judged by every council of the Churches, even of your own Churches, among the apocryphal and false.”)

শেহার্ড অব হার্মাসের আরো অনেক বিস্তারিত আলোচনা এখানে পাওয়া যায়।

লায়দিকেয়াদের কাছে পৌলের এপিসল (Paul’s Epistle to the Laodiceans)

আমরা জানি হযরত পৌল বেশ কিছু চিঠি লিখেছে, যার মধ্যে লায়দিকেয়াদের কাছে একটি চিঠির উল্লেখ কলসীয় ৪:১৬-তে আছে। অনেক পরে লেখায় কয়েকটি কিতাব দাবি করে যে এরা এই হারানো চিঠি, কিন্তু সেগুলো সেই সময়েও জাল বলে গণ্য ছিল, এবং বর্তমানও জাল বলে ধরা হয়। সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প (একটি ল্যাটিন Epistola ad Laodicenses) বিশেষজ্ঞরা একটি “clumsy forgery” বলে (Miracle and mission Page 151 James A. Kelhoffer – 2000)।

১ম ও ২য় ক্লেমেন্ট (1 Clement, 2 Clement)

কেলেমেন্টের চিঠিগুলো ভালো (আমি আগে পড়েছি), কিন্তু তিনি একজন সাহাবিও ছিল না, এমনকি ঈসা মসীহের ক্রুশবিদ্ধ ও পুনরুত্থানের সময়ে তার জন্মও হয়নি (~৯৫ খ্রিষ্টাব্দ)। এইজন্য স্পষ্টই তার এই দুই চিঠি ইঞ্জিলে থাকার কথা না। ১ ক্লেমেন্ট সম্ভবত তার লেখা একটি আসল চিঠি, কিন্তু ২ ক্লেমেন্ট সম্ভবত জাল। ক্লেমেন্টের লেখা মূলত ইঞ্জিল-সম্মত, এবং ক্লেমেন্টের চিঠির মধ্যে তার পাঠকদের বলে “ধন্য হযরত পৌলের চিঠি পড়ার” জন্য উৎসাহিত করে, অর্থাৎ ইঞ্জিল সম্বন্ধে উচ্চ চিন্তা আছে।

প্রিচিং অব পিটার (Preaching of Peter)

প্রিচিং অব বিটার হল ক্লেমেন্টের লেখা থেকে কিছু উদ্ধৃতি (সেগুলো এখানে পড়া যায়)। এগুলো ইঞ্জিলের অংশ নয় কারণ সেটা Catholicity/universality-এর পরীক্ষায় টিকে থাকে না, অর্থাৎ কেউ কখনও বলে নি যে সেগুলো ইঞ্জিলের অংশ। কোনো প্রাচীন ইঞ্জিলের তালিকায় কোথাও এর উল্লেখ নেই যে সেটা ইঞ্জিলের অংশ।

আপকালিপ্স অব পিটার (Apocalypse of Peter)

যদিও এটা মুরাটরিয়ান ক্যাননে উল্লেখ আছে সেটার পাশে শর্ত আছে যে “আমাদের মধ্যে অনেকে সেটা চার্চে পড়তে দেয় না”। কেন? কারণ সেটা apostolicity পরীক্ষায় টিকে থাকে না: একজন সাহাবি সেটা লিখেননি। বিশেষজ্ঞরা একমত যে সেটা ২য় শতাব্দিতে লেখা হয়েছিল, হযরত পিতরের মৃত্যুর কয়েক দশক পরে। সেটা আবার catholicity/universality পরীক্ষাও টিকে থাকে না, কারণ সেটার ব্যাপক বিস্তৃতি বা ব্যবহার ছিল না।

গসপেল অব দি ইজিপচিয়ানস (Gospel of the Egyptians)

কৌমার্যের মহত্ত্ব সম্বন্ধে এই অ্যালেক্স‍্য‍ান্ড্রিয় লেখা ১২০-১৫০ খ্রিষ্টাব্দে লেখা হয়েছিল, সাহাবিদের যুগের অনেক পরে। এইজন্য সেটা স্পষ্টই ইঞ্জিলের অংশ নয়। “কপ্টিক গসপেল অব দি ইজিপচিয়ানস” বা “দি হোলি বুক অব দি গ্রেট ইনভিজিবল স্পিরিট” নামে নাগ হাম্মাদি গ্রন্থাগারের আরেকটি লেখা ১২০-১৮০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে, যেটা সাহাবিদের যুগের অনেক পরেই (আরও পড়ুন এখানে)।

গস্পেল আকর্ডিং টু দি হিব্রুজ/নাজরিয়ান্স/ইবিয়নাইটস/সেরিন্থাস (Gospel According to the Hebrews/Nazoraeans/Ebionites/Cerinthus)

এই সব লেখা সম্ভবত ভিন্ন নামে একই লেখা, এবং সবগুলোর লেখার সন ২য় শতাব্দী থেকে, সাহাবিদের যুগের অনেক পরেই। এইজন্য সেগুলো apostolicity পরীক্ষায় সেগুলো ব্যর্থ এবং catholicity/universality পরীক্ষায়ও সেগুলো টিকে না কারণ সেগুলো শাস্ত্র হিসেবে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা বা ব্যবহার ছিল না। এখানে আরও পড়ুন।

এর কারণ কী? কিসের ভিত্তিতে এগুলোকে “যঈফ” বা “জাল” বিবেচনা করে বাইবেলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি? হলি স্পিরিট এগুলো লেখার সময়ে প্রেরণা দেননি এর কী প্রমাণ আছে?

উপসংহার

এই সব কিতাব আলাদা ভাবে দেখে আমরা সুস্পষ্টই বুঝতে পারি কেন সেগুলো ইঞ্জিলের মধ্যে থাকল না, কারণ সেগুলো ইঞ্জিলে থাকার মাপকাঠিতে ব্যর্থ হয়েছে। এইসব non-biblical কিতাবের তুলনা ইঞ্জিলের মূল খণ্ডগুলো (যেমন মথি, মার্ক, লূক, ইউহোন্না, প্রেরিত, রোমীয়, ১ ও ২ করিন্থীয়, গালাতীয়, ইত্যাদি) এর জন্য ১০০ গুণ বেশি attestation (প্রাচীন উল্লেখ ও প্রমাণ) আছে প্রাচীন ঈসায়ী লেখা ও ঐতিহাসিক দলিলের মধ্যে।

বর্তমান প্রোটেস্টান্ট Old testament আর New Testament এর এই ৬৬টা বই হুবহু এভাবে যিশু বা তাঁর শিষ্যরা পড়তেন এমন কোনো প্রমাণ আছে কিনা সেটাই আমার মূল প্রশ্ন। আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন?

ঈসা মসীহের সময়কার কিতাবের পাণ্ডুলিপি কেউ তো দেখাতে পারবে না – যেমন করে মুহাম্মদ (সা.)-এর সময়কার কোরআনের পাণ্ডুলিপিও কেউ দেখাতে পারবে না। কিন্তু পুরানো পাণ্ডুলিপি থেকে আমাদের বহু পাণ্ডুলিপির প্রমাণ আছে (এখানে পড়ুন) যে তখনকার কিতাব এবং বর্তমান কিতাব একই।

যান, উত্তর দিতে আপনাকে একটু হেল্প করি।
James এর চিঠিটা (যাকোবের পত্র), Hebrews, Jude এবং Revelation এই বইগুলোকে আপনারা এখনকার খ্রিষ্টানরা হলি স্পিরিটের প্রেরণায় লিখিত বলে বিশ্বাস করলেও প্রটেস্টান্ট চার্চের প্রতিষ্ঠাতা মার্টিন লুথার এগুলোকে হলি স্পিরিটের প্রেরণায় লেখা বলে মানতেন না।
কেন? কারণ এগুলো প্রটেস্টান্টদের কিছু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে যায়। অন্তত লুথার এটাই মনে করতেন। O:)

Luther made an attempt to remove the books of Hebrews, James, Jude and Revelation from the canon (notably, he perceived them to go against certain Protestant doctrines such as sola gratia and sola fide) but this was not generally accepted among his followers. However, these books are ordered last in the German-language Luther Bible to this day.” (https://en.wikipedia.org/wiki/Luther%27s_canon.)

তবে লুথারের অনুসারীরা তার কথা মেনে নেয়নি বলে প্রটেস্টান্টরা আজও সেগুলো পড়ে। 😉

উইকিপিডিয়া খুব একটি নির্ভরযোগ্য সোর্স নয়, এবং এই ক্ষেত্রে সেটা ভুল। লুথার ‘ইয়াকুব’ (James) এবং প্রকাশিত কালাম (Revelations) অন্যান্য ইঞ্জিলের খণ্ডের মত পছন্দ করতেন না, কিন্তু তিনি কখনও সেগুলো বাইবেল থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করেন নি। লিথারের বর্তমান প্রতিপক্ষরাও (ক্যাথলিক চার্চ) সেটাও স্বীকার করে। যাই হোক, বাইবেল থেকে কিছু বাদ দেওয়া বা যোগ করার অধিকার লুথারের নেই, অন্য কারও নেই। ]

আসলে আপনাদের বিভিন্ন ফির্কার চার্চগুলো নিজেরা আগে একটা বিশ্বাস সিলেক্ট করেছে। এরপর সেই অনুযায়ী (মানুষের লেখা) যেই কিতাবগুলো টিকেছে, ওগুলো রেখেছে; যেগুলো টেকেনি, ওগুলো আর “হলি স্পিরিটের প্রেরণায় লেখা” কিতাব থাকেনি। বাতিল হয়ে গেছে, “হেরেটিক” হয়ে গেছে। B-)

বর্তমান ইঞ্জিল ছাড়া উপরোক্ত অন্যান্য প্রাচীন ঈসায়ী লেখা যে ইঞ্জিলের অংশ নয় সেটা আমরা উপরে প্রমাণ করে দেখিয়েছি।

কোনো প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে আমরা শুনতে চাই! নিচের ফর্ম দিয়ে যোগাযোগ করুন:

Enable javascript in your browser if this form does not load.

Comments are closed.