খ্রিষ্টধর্মে হাসপাটাল হারাম?
প্রশ্ন:
খ্রিষ্টধর্মে হাসপাটাল হারাম?
কোনো খ্রিস্টিয়ান অসুস্থ হলে তারা হসপিটালে কেন যায়? ইয়াকুব ৫:১৪-১৬ এখানে উল্লেখ আছে যে কেউ অসুস্থ হলে গীর্জার পাদ্রীর কাছে যাবে। সুতারাং খ্রিস্টিয়ান হসপিটালে যাওয়া হারাম,প্রার্থনা দিয়ে কাজ চালান
উত্তর:
এই অভিযোগ সম্পূর্ণ যুক্তিহীন। ইসলামেও অসুস্থদের জন্য দু’য়া ও রুকইয়াহ করা হয়; হাদিস অনুযায়ী জিব্রাইল নবীজীর অসুখবিসুখের জন্য মোনাজাত করতেন, এবং নবীজী নিজেই সাহাবীদের অসুখের নিরাময়ের জন্য দু’য়া ও রুকইয়াহ করতেন। ইয়াকুব ৫:১৪-১৬ আয়াতে আছে:
“তোমাদের মধ্যে কেউ কি কষ্টভোগ করছে? সে মুনাজাত করুক। কেউ কি সুখী? সে প্রশংসা-কাওয়ালী করুক। কেউ কি অসুস্থ? সে জামাতের প্রধান নেতাদের ডাকুক। তাঁরা প্রভুর নামে তাঁর মাথায় তেল দিয়ে তার জন্য মুনাজাত করুন। বিশ্বাসপূর্ণ মুনাজাত সেই অসুস্থ লোককে সুস্থ করবে; প্রভুই তাকে ভাল করবেন।” (ইয়াকুব ৫:১৩-১৬)
একই ধরনের দুর্বল যুক্তিতে কেউ বলতে পারত যে হাদিসে যেহেতু লেখা আছে “মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের নিরাময় কালোজিরার মধ্যে রয়েছে” (সহীহ বুখারী, মুসলিম) সেহেতু ইসলাম অনুযায়ী ডাক্তারের কাছে যাওয়া প্রয়োজন নেই। আসলে কিতাবুল মোকাদ্দসে ডাক্তার ও চিকিৎসার জন্য অনেক সমর্থন আছে। ঈসা মসীহের উম্মত হযরত লূক নিজেই একজন ডাক্তার ছিলেন (কলসীয় ৪:১৪) এবং ঈসা বলতেন যে অসুস্থদের জন্যই ডাক্তারের “দরকার আছে” (মার্ক ২:১৭)। এখনও অনেক মুলসলমান দেশে সবচেয়ে ভালো ও নামকরা হাসপাটাল হলো খ্রিস্টিয়ান মিশন হাসপাটালগুলো।
কোনো প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে আমরা শুনতে চাই! নিচের ফর্ম দিয়ে যোগাযোগ করুন:
Leave a Reply